জাহীদ রেজা নূর
আজ হঠাৎ চোখ পড়ল রাস্তার কৌতুকের দিকে। আগেই বলেছি, রুশ দেশটাই রসিকতার কারখানা। সেখানে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয় নতুন রসিকতা। তাই আজ ট্রামলাইনের পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যারা নিজেদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তাদের দিকেই কান পাতব।
আমি ছিলাম রাশিয়ার ক্রাসনাদার শহরে। শহরটি রাশিয়ার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে। এখানেই উত্তর ককেশাস। শহর থেকে কিছু দূর এগোলেই পাহাড় দেখা যায়। আর দেখা যায় কৃষ্ণসাগর। কৃষ্ণসাগর পাড়ে এসে স্থিত হয় রুশি ছাড়াও আর্মেনিয়ান, জর্জিয়ান আর আজারবাইজানের মানুষ। ফলে, এক ধরনের মিশ্র সংস্কৃতির মর্যাদা পেয়ে গেছে শহরটা। আর এখানে কসাকরা এখনো টিকে আছে। কুবান আর রস্তোভের কসাকদের কথা ছড়িয়ে আছে রুশ সাহিত্যে।
আমরা যখন সে দেশে সময় কাটিয়েছি, তখন কেবল সমাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে দেশ। গণতন্ত্র শব্দটা উচ্চারিত হচ্ছে বটে, কিন্তু কাকে বলে গণতন্ত্র—সেটা ছিল ধোঁয়াশার মতো। সে গল্প হবে আরেকদিন। আজ তো কান পেতেছি, এখনকার রাস্তায়।
সরকার নিয়ে নানা জল্পনা–কল্পনা রুশীদের একটা প্রিয় বিষয়। অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় সব সময়ই সরকার সম্পর্কে কোনো কথা বলা মানেই সরকারের প্রশংসা করা। কারণ, সোভিয়েত যুগ থেকেই নাগরিকেরা জানত, দেয়ালেরও কান আছে।
কিন্তু ইদানীং একটু একটু করে সরকার সম্পর্কেও মুখ খুলছে মানুষ। কিন্তু তারা নিজেদের অজ্ঞাতনামা কিংবা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবে পরিচয় দিতে আগ্রহী।
যেমন ধরুন সরকার সম্পর্কে কোনো স্বাভাবিক কথা বলা। আপনার সামনে হেঁটে যাচ্ছে আন্তন, সের্গেই আর ইভান। আনমনে চলতে চলতে আপনার কানে এল, সামনে এই তিনজনের কারও মুখ থেকে বের হয়েছে এই বাক্যটি, ‘আরে জানিস, সরকার মানে হচ্ছে ইঞ্জিনে তেল দেওয়া। বেশি দিন তেল না দিলে তা দিন দিন খারাপ হতে থাকে!’ যে কেউ বুঝবে, তেল বলতে সেখানে গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। আপনি যদি ওদের কাউকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে বলল কথাটা?’
দেখবেন, স্পিকটি নট। ওরা হেসে উড়িয়ে দেবে। বলবে, এটা আপনার স্বকপোলকল্পিত ভাবনা।
কিংবা ধরুন আপনি রাশিয়ায় স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক খুঁজতে চান। টক শোর পুকুরে ছিপ ফেলুন, দেখবেন এ রকম হাজারটা মাছ টোপ গিলছে। কিন্তু রাশিয়ায় সত্যিকার স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক কে হতে পারবে জানেন? হতে পারবেন আঙ্কেল ফেদিয়া, তবে তা কয়েক পেগ মদ খেয়ে পুরো মাতাল হয়ে যাওয়ার পর। এর আগে—নেভার!
গণতন্ত্রের ব্যাপারে যদি সত্যিই প্রশ্ন জাগে মনে, তাহলে তার প্রকাশ করতে হবে একেবারে নিজের কানে কানে। যেমন, এ কথা বলা যেতেই পারে, সত্যিকার গণতন্ত্রের মানে এই না যে, গাধাদের নির্বুদ্ধিতার মূল্য দিতে হয় দেশের নাগরিকদের, বর্তমান গণতন্ত্রের মানে হচ্ছে প্রত্যেক গাধাই নিজের ভুলের মাশুল দিচ্ছে।
এ রকম নির্মম কথা রুশেরা বলে অবলীলায়। শুধু কে কথা বলল, তাকে কখনোই চিনতে পারবেন না।
আপনারা বলবেন, এবার যা বলা হবে, সেটা শুনে হাসি পাচ্ছে; কিন্তু আমি প্রতিটা শব্দের ভেতর শুনতে পাচ্ছি কান্না। বাক্য দুটো বলি:
রাজনীতিবিদরা বলছেন, ‘আমরা খুব ভালো আছি এখন!’
জনগণ বলছে, ‘আপনারা ভালো আছেন দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে।’
কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন বলে, পেনশনভোগীদের সাহায্য করা সময়সাপেক্ষ, তবে কোটিপতিদের জন্য ঋণের দরজা খোলা—তখনো জনগণ একইভাবে বলে, ‘আপনারা ভালো থাকুন।’
আমাদের দেশের মতোই রাশিয়াতেও কিছু মানুষ আছে, যারা ঘরে অলস সময় কাটায় এবং ফেসবুকে রেখেঢেকে বিপ্লব করে। তার পোস্টে নতুন বিপ্লবীদেরও দেখা পাওয়া যায় মন্তব্যের ঘরে। রাশিয়ায়ও একই ব্যাপার, সেখানে তো বলাই হয়, সোফায় কাত হয়ে শুয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা সবচেয়ে সোজা।
তালেবান যখন ক্ষমতায় এল, তখন রাস্তার কৌতুকে আফগানিস্তানও জায়গা করে নিয়েছিল। শ্লেষ মাখা কিছু কথাও শোনা গেছে তখন। তারই একটা এ রকম, ‘তালেবান জানিয়েছে, তাদের দেশ এখন সবচেয়ে নিরাপদ দেশ।’ এর পর রুশ খুনসুটি, ‘এর কারণ বোধ হয় এই যে, নারীদের গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছে তালেবান। তাই নিরাপদ হয়ে গেছে দেশ!’
কখনো কখনো কোনো কোনো রুশ নাগরিক সাহসী হয়ে কিছু কথা বলে ফেলে। খুব বেশি গায়ে না লাগলে সরকার তাকে সহ্য করে। যেমন, নিচের এই কথা যিনি বলেছেন, তিনি এখনো গ্রেপ্তার হননি:
দেশে স্কুল গড়ে দিলে, হাসপাতাল নির্মাণ করলে কিংবা সেতু গড়ে দিলে রাজনীতিবিদদের বাহবা দেওয়ার মানে হলো রাষ্ট্রের টাকায় পোদ্দারি করাকে বাহবা দেওয়া। ব্যাংক থেকে নিজের চেক দিয়ে নিজের টাকা তোলার জন্য ব্যাংককে আর এ সব কাজের জন্য রাজনীতিবিদদের বাহবা দেওয়া একই কথা।
এখন যারা যুবক, তাদের অনেকেই শৈশব কাটিয়েছে সোভিয়েত শাসনামলে। তাদের কেউ কেউ এখনো বলে, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করতাম আর কমেডিয়ানদের কথায় হাসতাম। আর বড় হয়ে এখন আমি রাজনীতিবিদদের কথায় হাসি আর কমেডিয়ানদের কথা বিশ্বাস করি।
দুর্নীতিবাজদের কথা তো হরহামেশাই আসে রাস্তার আলোচনায়। তবে আপনি শুধু ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে একটা নিরপরাধ রসিকতার মধ্যেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। রসিকতাটা হলো এ রকম, ‘রাস্তায় যদি কোনো ট্রাফিক সার্জেন্টকে ঘুষ নিতে দেখেন এবং যদি সে ঘুষ নেওয়ার সময় ধরা পড়ে, তাহলে নিশ্চিত জানবেন, সে হচ্ছে শত্রু দেশের এজেন্ট। ধরা না পড়লে সে দেশপ্রেমিক ট্রাফিক সার্জেন্ট!’
‘পুলিশি রাষ্ট্র’ কথাটা খুব খারাপ কথা না। আসলে শেষবিচারে যেকোনো রাষ্ট্রই তো শান্তি বজায় রাখে লাঠির সাহায্যে, তাহলে পুলিশি রাষ্ট্রের দোষ কোথায়?
আবারও আফগানিস্তানের কথা দিয়ে আজকের কৌতুকের আয়োজন শেষ করি।
বাইডেন সরকার নাকি ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানের সেই সব নাগরিকদের কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যারা প্লেনের পাখায় করে মার্কিন দেশে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন
আজ হঠাৎ চোখ পড়ল রাস্তার কৌতুকের দিকে। আগেই বলেছি, রুশ দেশটাই রসিকতার কারখানা। সেখানে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয় নতুন রসিকতা। তাই আজ ট্রামলাইনের পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যারা নিজেদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তাদের দিকেই কান পাতব।
আমি ছিলাম রাশিয়ার ক্রাসনাদার শহরে। শহরটি রাশিয়ার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে। এখানেই উত্তর ককেশাস। শহর থেকে কিছু দূর এগোলেই পাহাড় দেখা যায়। আর দেখা যায় কৃষ্ণসাগর। কৃষ্ণসাগর পাড়ে এসে স্থিত হয় রুশি ছাড়াও আর্মেনিয়ান, জর্জিয়ান আর আজারবাইজানের মানুষ। ফলে, এক ধরনের মিশ্র সংস্কৃতির মর্যাদা পেয়ে গেছে শহরটা। আর এখানে কসাকরা এখনো টিকে আছে। কুবান আর রস্তোভের কসাকদের কথা ছড়িয়ে আছে রুশ সাহিত্যে।
আমরা যখন সে দেশে সময় কাটিয়েছি, তখন কেবল সমাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে দেশ। গণতন্ত্র শব্দটা উচ্চারিত হচ্ছে বটে, কিন্তু কাকে বলে গণতন্ত্র—সেটা ছিল ধোঁয়াশার মতো। সে গল্প হবে আরেকদিন। আজ তো কান পেতেছি, এখনকার রাস্তায়।
সরকার নিয়ে নানা জল্পনা–কল্পনা রুশীদের একটা প্রিয় বিষয়। অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় সব সময়ই সরকার সম্পর্কে কোনো কথা বলা মানেই সরকারের প্রশংসা করা। কারণ, সোভিয়েত যুগ থেকেই নাগরিকেরা জানত, দেয়ালেরও কান আছে।
কিন্তু ইদানীং একটু একটু করে সরকার সম্পর্কেও মুখ খুলছে মানুষ। কিন্তু তারা নিজেদের অজ্ঞাতনামা কিংবা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবে পরিচয় দিতে আগ্রহী।
যেমন ধরুন সরকার সম্পর্কে কোনো স্বাভাবিক কথা বলা। আপনার সামনে হেঁটে যাচ্ছে আন্তন, সের্গেই আর ইভান। আনমনে চলতে চলতে আপনার কানে এল, সামনে এই তিনজনের কারও মুখ থেকে বের হয়েছে এই বাক্যটি, ‘আরে জানিস, সরকার মানে হচ্ছে ইঞ্জিনে তেল দেওয়া। বেশি দিন তেল না দিলে তা দিন দিন খারাপ হতে থাকে!’ যে কেউ বুঝবে, তেল বলতে সেখানে গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। আপনি যদি ওদের কাউকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে বলল কথাটা?’
দেখবেন, স্পিকটি নট। ওরা হেসে উড়িয়ে দেবে। বলবে, এটা আপনার স্বকপোলকল্পিত ভাবনা।
কিংবা ধরুন আপনি রাশিয়ায় স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক খুঁজতে চান। টক শোর পুকুরে ছিপ ফেলুন, দেখবেন এ রকম হাজারটা মাছ টোপ গিলছে। কিন্তু রাশিয়ায় সত্যিকার স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক কে হতে পারবে জানেন? হতে পারবেন আঙ্কেল ফেদিয়া, তবে তা কয়েক পেগ মদ খেয়ে পুরো মাতাল হয়ে যাওয়ার পর। এর আগে—নেভার!
গণতন্ত্রের ব্যাপারে যদি সত্যিই প্রশ্ন জাগে মনে, তাহলে তার প্রকাশ করতে হবে একেবারে নিজের কানে কানে। যেমন, এ কথা বলা যেতেই পারে, সত্যিকার গণতন্ত্রের মানে এই না যে, গাধাদের নির্বুদ্ধিতার মূল্য দিতে হয় দেশের নাগরিকদের, বর্তমান গণতন্ত্রের মানে হচ্ছে প্রত্যেক গাধাই নিজের ভুলের মাশুল দিচ্ছে।
এ রকম নির্মম কথা রুশেরা বলে অবলীলায়। শুধু কে কথা বলল, তাকে কখনোই চিনতে পারবেন না।
আপনারা বলবেন, এবার যা বলা হবে, সেটা শুনে হাসি পাচ্ছে; কিন্তু আমি প্রতিটা শব্দের ভেতর শুনতে পাচ্ছি কান্না। বাক্য দুটো বলি:
রাজনীতিবিদরা বলছেন, ‘আমরা খুব ভালো আছি এখন!’
জনগণ বলছে, ‘আপনারা ভালো আছেন দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে।’
কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন বলে, পেনশনভোগীদের সাহায্য করা সময়সাপেক্ষ, তবে কোটিপতিদের জন্য ঋণের দরজা খোলা—তখনো জনগণ একইভাবে বলে, ‘আপনারা ভালো থাকুন।’
আমাদের দেশের মতোই রাশিয়াতেও কিছু মানুষ আছে, যারা ঘরে অলস সময় কাটায় এবং ফেসবুকে রেখেঢেকে বিপ্লব করে। তার পোস্টে নতুন বিপ্লবীদেরও দেখা পাওয়া যায় মন্তব্যের ঘরে। রাশিয়ায়ও একই ব্যাপার, সেখানে তো বলাই হয়, সোফায় কাত হয়ে শুয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা সবচেয়ে সোজা।
তালেবান যখন ক্ষমতায় এল, তখন রাস্তার কৌতুকে আফগানিস্তানও জায়গা করে নিয়েছিল। শ্লেষ মাখা কিছু কথাও শোনা গেছে তখন। তারই একটা এ রকম, ‘তালেবান জানিয়েছে, তাদের দেশ এখন সবচেয়ে নিরাপদ দেশ।’ এর পর রুশ খুনসুটি, ‘এর কারণ বোধ হয় এই যে, নারীদের গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছে তালেবান। তাই নিরাপদ হয়ে গেছে দেশ!’
কখনো কখনো কোনো কোনো রুশ নাগরিক সাহসী হয়ে কিছু কথা বলে ফেলে। খুব বেশি গায়ে না লাগলে সরকার তাকে সহ্য করে। যেমন, নিচের এই কথা যিনি বলেছেন, তিনি এখনো গ্রেপ্তার হননি:
দেশে স্কুল গড়ে দিলে, হাসপাতাল নির্মাণ করলে কিংবা সেতু গড়ে দিলে রাজনীতিবিদদের বাহবা দেওয়ার মানে হলো রাষ্ট্রের টাকায় পোদ্দারি করাকে বাহবা দেওয়া। ব্যাংক থেকে নিজের চেক দিয়ে নিজের টাকা তোলার জন্য ব্যাংককে আর এ সব কাজের জন্য রাজনীতিবিদদের বাহবা দেওয়া একই কথা।
এখন যারা যুবক, তাদের অনেকেই শৈশব কাটিয়েছে সোভিয়েত শাসনামলে। তাদের কেউ কেউ এখনো বলে, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করতাম আর কমেডিয়ানদের কথায় হাসতাম। আর বড় হয়ে এখন আমি রাজনীতিবিদদের কথায় হাসি আর কমেডিয়ানদের কথা বিশ্বাস করি।
দুর্নীতিবাজদের কথা তো হরহামেশাই আসে রাস্তার আলোচনায়। তবে আপনি শুধু ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে একটা নিরপরাধ রসিকতার মধ্যেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। রসিকতাটা হলো এ রকম, ‘রাস্তায় যদি কোনো ট্রাফিক সার্জেন্টকে ঘুষ নিতে দেখেন এবং যদি সে ঘুষ নেওয়ার সময় ধরা পড়ে, তাহলে নিশ্চিত জানবেন, সে হচ্ছে শত্রু দেশের এজেন্ট। ধরা না পড়লে সে দেশপ্রেমিক ট্রাফিক সার্জেন্ট!’
‘পুলিশি রাষ্ট্র’ কথাটা খুব খারাপ কথা না। আসলে শেষবিচারে যেকোনো রাষ্ট্রই তো শান্তি বজায় রাখে লাঠির সাহায্যে, তাহলে পুলিশি রাষ্ট্রের দোষ কোথায়?
আবারও আফগানিস্তানের কথা দিয়ে আজকের কৌতুকের আয়োজন শেষ করি।
বাইডেন সরকার নাকি ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানের সেই সব নাগরিকদের কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যারা প্লেনের পাখায় করে মার্কিন দেশে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে