অনলাইন ডেস্ক
বই নিষিদ্ধ করার ইতিহাস নতুন নয়, বহু পুরোনো। লেখকদেরও কম দহনজ্বালা সইতে হয়নি বই লেখার জন্য। লেখক ওভিদকে কৃষ্ণ সাগরের এক অন্ধকার গ্রামে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার, শুধু বই লেখার অপরাধে। ওভিদের বই ‘দ্য আর্ট অব লাভ’ রোমান গ্রন্থাগার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।
১১২১ সালে ক্যাথলিক চার্চের চাপে যুক্তিবিদ্যার লেখক পিটার অ্যাবেলার্ড তাঁর বই পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর আধুনিক যুগে সম্ভবত সালমান রুশদিই একমাত্র লেখক, যাঁর বই নিষিদ্ধ হওয়ার বিখ্যাত হওয়ার পাশাপাশি সীমাহীন দুর্ভোগও সহ্য করেছেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর বই ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করা হয়। সেনেগাল থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে এই বই আজও নিষিদ্ধ।
বই নিষিদ্ধ করাকে স্বৈরাচারী শাসকদের সবচেয়ে প্রিয় হাতিয়ার হিসেবে মনে করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু বইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা দেখলে এখন চমকে উঠতে হয়। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট এমন সাতটি বই নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
লজ্জা
লজ্জা নামে বইটির লেখক তসলিমা নাসরিন। এটি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন অঞ্চিতা ঘটক। ৩৩৭ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া।
১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা একটি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের মুসলিম জনতা ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে নিজ দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চালান। তসলিমা নাসরিন সেই ঘটনা নিয়েই লিখেছেন ‘লজ্জা’। বাংলাদেশের সরকার বইটি নিষিদ্ধ করেছে।
তারপরেও বইটির শত শত ফটোকপি ভারতে ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘বইটি মানবতা ও বর্বরতার গল্প। যারা স্বাধীনতাকে মূল্য দেয় এবং যারা দেয় না, তাদের গল্প।’
উপন্যাসটি নিষিদ্ধের পর তসলিমা নাসরিন দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাড়ি জমান। ১৯৯৪ সালে তিনি চিন্তার স্বাধীনতার জন্য জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের শাখারভ পুরস্কার জিতেন। পরে তিনি ভারতে থিতু হন।
ফ্রেন্ড
উত্তর কোরিয়ার লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের বই ‘ফ্রেন্ড’ ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইমানুয়েল কিম। এটি প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস।
ফ্রেন্ড হচ্ছে প্রথম উপন্যাস, যেটিকে উত্তর কোরিয়া সরকার ইংরেজিতে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। বইটি ১৯৮৮ সালে উত্তর কোরিয়ায় প্রকাশিত হয়। দেশটিতে এই বই এর মধ্যে ধ্রুপদী উপন্যাসের মর্যাদা পেয়েছে।
উপন্যাসটির কাহিনি কী নিয়ে? এর উপজীব্য হচ্ছে, বৈবাহিক কলহের মধ্যে আটকে পড়া কয়েকজন মানুষের গভীর হতাশার বিবরণ। আদালতে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের শুনানি দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি উপন্যাসটি লিখেছিলেন।
আশ্চর্যজনক শোনালেও সত্য, বইটি উত্তর কোরিয়া সরকার নয়, বরং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনা সদস্যদের জন্য ২৩টি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই তালিকায় এই বইটিও রয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারণা, এই বইটি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারে।
দ্য ডেভিলস ড্যান্স
উজবেকিস্তানের লেখক হামিদ ইসমাইলভ লিখেছেন ‘দ্য ডেভিলস ড্যান্স’। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডোনাল্ড রেফিল্ড। প্রকাশ করেছে টিলটেড এক্সিস প্রেস।
উজবেক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘অগ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রবণতার’ অভিযোগ এনেছিল। পরে ১৯৯২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। নির্বাসিত জীবনে তিনি এক ডজনেরও বেশি বই লিখেছেন। তাঁর সব বইই উজবেকিস্তানে নিষিদ্ধ। দ্য ডেভিলস ড্যান্স ইংরেজিতে অনূদিত তাঁর প্রথম উপন্যাস।
দ্য ব্লুয়েস্ট আই
উপন্যাসটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক টনি মরিসন। এটি প্রকাশ করেছে ভিনটেজ ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও জাতিগত বিদ্বেষ বইটির উপজীব্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিভাবকদের অভিযোগ, উপন্যাসটিতে যৌন সহিংসতার ব্যাপার রয়েছে। এটি শিশুদের বিপথগামী করতে পারে।
পেন আমেরিকা নামে লেখকদের এক সংগঠন বলছে, বইটি নিষিদ্ধ করা নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।
আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন (আলা) বলছে, লাইব্রেরি থেকে বইটি সরানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ এসেছে।
টনি মরিসনের আরেক উপন্যাস ‘বিলাভেড’ নিয়ে ২০১৬ সালে ভার্জিনিয়ার আইনসভা ‘বিলাভেড বিল’ পাস করে। ওই বিলে বলা হয়, অভিভাবকেরা চাইলে তাদের সন্তানকে ওই বই পড়ানো থেকে বিরত রাখতে পারবেন। কারণ, বইটিতে যৌনতাপূর্ণ বিষয় রয়েছে।
চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস
চীনের জনপ্রিয় লেখক ইউ হুয়া। তাঁর বই ‘চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস’ অনুবাদ করেছেন অ্যালান এইচ বার। এটি নন-ফিকশন বই। বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধের সংকলন এটি। অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে নানা স্মৃতিকথা রয়েছে বইটিতে।
বইটির প্রথম প্রবন্ধের নাম ‘মানুষ’। এটিতে ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কয়ারে রক্তপাতের কথা বলা হয়েছে। চীনে এই বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। চীন সরকার মুদ্রিত বইয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় প্রকাশক ছাড়া অন্যদের বইয়ের আইএসবিএন নম্বর দেয় না দেশটি। বই প্রকাশের আগে ব্যাপক যাচাই করা হয়।
পিকোলো উওভো ও অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি
‘পিকোলো উওভো’ লিখেছেন ইতালির লেখক ফ্রান্সেসকা পার্দি এবং ‘অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি’ লিখেছেন পিটার পার্নেল ও জাস্টিন রিচার্ডসন। দুটিই শিশুতোষ বই।
২০১৫ সালে লুইগি ব্রুগনারো ভেনিসের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই অন্তত ৪৯টি বইকে ভেনিসের নার্সারি স্কুলগুলোতে নিষিদ্ধ করেছিলেন। সেই তালিকায় পিকোলো উওভো রয়েছে। মেয়র বলেছিলেন, বইটি ইতালির প্রথাগত পরিবারের জন্য হুমকি।
এ ঘটনার পর ভেনিসে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে দুটি বই ছাড়া বাকিগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন লুইগি ব্রুগনারো। নিষেধাজ্ঞায় থাকা বইটির নাম পিকোলো উওভো।
পিকোলো উওভো শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ছোট্ট ডিম’। বইটি একটি পেঙ্গুইনের ডিমকে ঘিরে। ডিমটি ফুটতে ভয় পায়, কারণ সে ভাবছে, তার পরিবার কেমন হবে। এ ধরনের ভাবনাকেই বলা হচ্ছে প্রথাবিরোধী ভাবনা। এটি শিশুদের মনস্তত্ত্বে প্রভাব ফেলবে— এই আশঙ্কা থেকে এখনো নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে বইটি।
প্রায় একই ধরনের গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি। এটিও যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরিগুলোতে নিষিদ্ধ।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম
বই নিষিদ্ধ করার ইতিহাস নতুন নয়, বহু পুরোনো। লেখকদেরও কম দহনজ্বালা সইতে হয়নি বই লেখার জন্য। লেখক ওভিদকে কৃষ্ণ সাগরের এক অন্ধকার গ্রামে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার, শুধু বই লেখার অপরাধে। ওভিদের বই ‘দ্য আর্ট অব লাভ’ রোমান গ্রন্থাগার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।
১১২১ সালে ক্যাথলিক চার্চের চাপে যুক্তিবিদ্যার লেখক পিটার অ্যাবেলার্ড তাঁর বই পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর আধুনিক যুগে সম্ভবত সালমান রুশদিই একমাত্র লেখক, যাঁর বই নিষিদ্ধ হওয়ার বিখ্যাত হওয়ার পাশাপাশি সীমাহীন দুর্ভোগও সহ্য করেছেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর বই ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করা হয়। সেনেগাল থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে এই বই আজও নিষিদ্ধ।
বই নিষিদ্ধ করাকে স্বৈরাচারী শাসকদের সবচেয়ে প্রিয় হাতিয়ার হিসেবে মনে করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু বইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা দেখলে এখন চমকে উঠতে হয়। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট এমন সাতটি বই নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
লজ্জা
লজ্জা নামে বইটির লেখক তসলিমা নাসরিন। এটি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন অঞ্চিতা ঘটক। ৩৩৭ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া।
১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা একটি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের মুসলিম জনতা ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে নিজ দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চালান। তসলিমা নাসরিন সেই ঘটনা নিয়েই লিখেছেন ‘লজ্জা’। বাংলাদেশের সরকার বইটি নিষিদ্ধ করেছে।
তারপরেও বইটির শত শত ফটোকপি ভারতে ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘বইটি মানবতা ও বর্বরতার গল্প। যারা স্বাধীনতাকে মূল্য দেয় এবং যারা দেয় না, তাদের গল্প।’
উপন্যাসটি নিষিদ্ধের পর তসলিমা নাসরিন দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাড়ি জমান। ১৯৯৪ সালে তিনি চিন্তার স্বাধীনতার জন্য জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের শাখারভ পুরস্কার জিতেন। পরে তিনি ভারতে থিতু হন।
ফ্রেন্ড
উত্তর কোরিয়ার লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের বই ‘ফ্রেন্ড’ ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইমানুয়েল কিম। এটি প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস।
ফ্রেন্ড হচ্ছে প্রথম উপন্যাস, যেটিকে উত্তর কোরিয়া সরকার ইংরেজিতে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। বইটি ১৯৮৮ সালে উত্তর কোরিয়ায় প্রকাশিত হয়। দেশটিতে এই বই এর মধ্যে ধ্রুপদী উপন্যাসের মর্যাদা পেয়েছে।
উপন্যাসটির কাহিনি কী নিয়ে? এর উপজীব্য হচ্ছে, বৈবাহিক কলহের মধ্যে আটকে পড়া কয়েকজন মানুষের গভীর হতাশার বিবরণ। আদালতে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের শুনানি দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি উপন্যাসটি লিখেছিলেন।
আশ্চর্যজনক শোনালেও সত্য, বইটি উত্তর কোরিয়া সরকার নয়, বরং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনা সদস্যদের জন্য ২৩টি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই তালিকায় এই বইটিও রয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারণা, এই বইটি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারে।
দ্য ডেভিলস ড্যান্স
উজবেকিস্তানের লেখক হামিদ ইসমাইলভ লিখেছেন ‘দ্য ডেভিলস ড্যান্স’। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডোনাল্ড রেফিল্ড। প্রকাশ করেছে টিলটেড এক্সিস প্রেস।
উজবেক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘অগ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রবণতার’ অভিযোগ এনেছিল। পরে ১৯৯২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। নির্বাসিত জীবনে তিনি এক ডজনেরও বেশি বই লিখেছেন। তাঁর সব বইই উজবেকিস্তানে নিষিদ্ধ। দ্য ডেভিলস ড্যান্স ইংরেজিতে অনূদিত তাঁর প্রথম উপন্যাস।
দ্য ব্লুয়েস্ট আই
উপন্যাসটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক টনি মরিসন। এটি প্রকাশ করেছে ভিনটেজ ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও জাতিগত বিদ্বেষ বইটির উপজীব্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিভাবকদের অভিযোগ, উপন্যাসটিতে যৌন সহিংসতার ব্যাপার রয়েছে। এটি শিশুদের বিপথগামী করতে পারে।
পেন আমেরিকা নামে লেখকদের এক সংগঠন বলছে, বইটি নিষিদ্ধ করা নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।
আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন (আলা) বলছে, লাইব্রেরি থেকে বইটি সরানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ এসেছে।
টনি মরিসনের আরেক উপন্যাস ‘বিলাভেড’ নিয়ে ২০১৬ সালে ভার্জিনিয়ার আইনসভা ‘বিলাভেড বিল’ পাস করে। ওই বিলে বলা হয়, অভিভাবকেরা চাইলে তাদের সন্তানকে ওই বই পড়ানো থেকে বিরত রাখতে পারবেন। কারণ, বইটিতে যৌনতাপূর্ণ বিষয় রয়েছে।
চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস
চীনের জনপ্রিয় লেখক ইউ হুয়া। তাঁর বই ‘চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস’ অনুবাদ করেছেন অ্যালান এইচ বার। এটি নন-ফিকশন বই। বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধের সংকলন এটি। অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে নানা স্মৃতিকথা রয়েছে বইটিতে।
বইটির প্রথম প্রবন্ধের নাম ‘মানুষ’। এটিতে ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কয়ারে রক্তপাতের কথা বলা হয়েছে। চীনে এই বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। চীন সরকার মুদ্রিত বইয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় প্রকাশক ছাড়া অন্যদের বইয়ের আইএসবিএন নম্বর দেয় না দেশটি। বই প্রকাশের আগে ব্যাপক যাচাই করা হয়।
পিকোলো উওভো ও অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি
‘পিকোলো উওভো’ লিখেছেন ইতালির লেখক ফ্রান্সেসকা পার্দি এবং ‘অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি’ লিখেছেন পিটার পার্নেল ও জাস্টিন রিচার্ডসন। দুটিই শিশুতোষ বই।
২০১৫ সালে লুইগি ব্রুগনারো ভেনিসের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই অন্তত ৪৯টি বইকে ভেনিসের নার্সারি স্কুলগুলোতে নিষিদ্ধ করেছিলেন। সেই তালিকায় পিকোলো উওভো রয়েছে। মেয়র বলেছিলেন, বইটি ইতালির প্রথাগত পরিবারের জন্য হুমকি।
এ ঘটনার পর ভেনিসে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে দুটি বই ছাড়া বাকিগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন লুইগি ব্রুগনারো। নিষেধাজ্ঞায় থাকা বইটির নাম পিকোলো উওভো।
পিকোলো উওভো শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ছোট্ট ডিম’। বইটি একটি পেঙ্গুইনের ডিমকে ঘিরে। ডিমটি ফুটতে ভয় পায়, কারণ সে ভাবছে, তার পরিবার কেমন হবে। এ ধরনের ভাবনাকেই বলা হচ্ছে প্রথাবিরোধী ভাবনা। এটি শিশুদের মনস্তত্ত্বে প্রভাব ফেলবে— এই আশঙ্কা থেকে এখনো নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে বইটি।
প্রায় একই ধরনের গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি। এটিও যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরিগুলোতে নিষিদ্ধ।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে