ইমরান খান
ঢাকা: এ তো এক নতুন উপদ্রব দেখা যায়। বলা নেই, কওয়া নেই চোখ কটকট। শুধু তা হলেও হতো, ভীষণ লাল; একেবারে রক্তবর্ণ বলা যায় যাকে। এমন নানা কথা বিড়বিড়িয়ে গজগজ করতে করতে আরও একজন এসে দাঁড়ালেন লাইনে। সবাই একদিন না একদিন লাইনে আসবে—এটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে মেডিকেলের লাইনে! তা, এ কি যে সে লাইন—সটান চলে গেছে জিলা স্কুল বরাবর। মধ্যরাত থেকেই শুরু। অতি স্বাস্থ্য সচেতন ভূগোল বিভাগের মাঝবয়সী এক অধ্যাপক এ লাইনের গর্বিত সূচনা–ব্যক্তি।
সে যা–ই হোক, সকাল থেকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যাপক ভিড়। সবার সে কী অসহ্য যন্ত্রণা! প্রায় সবার অবস্থা ভয়াবহ। এদের চোখ ভয়ংকর রকম ফোলা, কারও–বা টকটকে লাল, পানি ঝরছে; কারও আবার আস্ত চোখ বেরিয়ে ঝুলছে, হাতে ধরে রেখেছে। কারও এক চোখ, আবার কারও দুই চোখেরই এমন পরিণতি। কারও একেবারে বিস্ফোরিত দশা।
এমন অবস্থা দেখে চিকিৎসক, নার্সরাও ভয়ে কাঁপছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। দিন বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগী। বাড়তে বাড়তে লাইন পৌঁছে গেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবন পর্যন্ত।
লাইন বেরোবিতে পৌঁছানোর পর থেকে খুলতে থাকে জট। সরেজমিনে দেখা যায়, এরা সবাই বেরোবির শিক্ষক। অবশ্য ভয়ানক শিক্ষানুরাগী কেউ কেউ অন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রান্ত থেকেও ছুটে এসেছেন। কী কলেজ, কী স্কুল, কী বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বাছবিচার নেই। অবশ্য বেরোবির দাপটে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা এই শিক্ষানুরাগীরা একটু ঘাপটি মেরেই আছেন। প্রটোকল ভেঙে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, লেকচারার সবাই আজ একই কাতারে; সবাই চক্ষুরোগী! রহস্যটা কী?
রহস্য উদ্ঘাটনে গঠিত হলো বিনা সদস্যের তদন্ত কমিটি। বেরিয়ে এল রহস্য। এবার আর গোপনীয়তা নয়, বাদ্য বাজিয়ে প্রকাশিত হলো তদন্ত প্রতিবেদন! কী পাওয়া গেল?
পাওয়া গেল—বিদায়ের আগে আগে নিজের ওস্তাদিটা দেখিয়ে দিয়ে গত রাত ৩টায় ক্লাস নিয়েছেন জনৈক উপাচার্য। তা করবেন না কেন? ওস্তাদের মার তো শেষ রাতেই। তাই ভোর হওয়ার আগে আগে ‘হে শিক্ষানুরাগী, হে জ্ঞানের ব্র্যাডম্যান’ ইত্যাদি উপাধি পেয়ে না পেয়েই সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন—কীভাবে শিক্ষকতা করতে হয়! মুরুব্বি মানুষের আঙুল; চোখে একটু আধটু লেগে গেলে তাঁরই বা কী করার আছে? অভিভাবক এমনই হন!
ঢাকা: এ তো এক নতুন উপদ্রব দেখা যায়। বলা নেই, কওয়া নেই চোখ কটকট। শুধু তা হলেও হতো, ভীষণ লাল; একেবারে রক্তবর্ণ বলা যায় যাকে। এমন নানা কথা বিড়বিড়িয়ে গজগজ করতে করতে আরও একজন এসে দাঁড়ালেন লাইনে। সবাই একদিন না একদিন লাইনে আসবে—এটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে মেডিকেলের লাইনে! তা, এ কি যে সে লাইন—সটান চলে গেছে জিলা স্কুল বরাবর। মধ্যরাত থেকেই শুরু। অতি স্বাস্থ্য সচেতন ভূগোল বিভাগের মাঝবয়সী এক অধ্যাপক এ লাইনের গর্বিত সূচনা–ব্যক্তি।
সে যা–ই হোক, সকাল থেকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যাপক ভিড়। সবার সে কী অসহ্য যন্ত্রণা! প্রায় সবার অবস্থা ভয়াবহ। এদের চোখ ভয়ংকর রকম ফোলা, কারও–বা টকটকে লাল, পানি ঝরছে; কারও আবার আস্ত চোখ বেরিয়ে ঝুলছে, হাতে ধরে রেখেছে। কারও এক চোখ, আবার কারও দুই চোখেরই এমন পরিণতি। কারও একেবারে বিস্ফোরিত দশা।
এমন অবস্থা দেখে চিকিৎসক, নার্সরাও ভয়ে কাঁপছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। দিন বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগী। বাড়তে বাড়তে লাইন পৌঁছে গেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবন পর্যন্ত।
লাইন বেরোবিতে পৌঁছানোর পর থেকে খুলতে থাকে জট। সরেজমিনে দেখা যায়, এরা সবাই বেরোবির শিক্ষক। অবশ্য ভয়ানক শিক্ষানুরাগী কেউ কেউ অন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রান্ত থেকেও ছুটে এসেছেন। কী কলেজ, কী স্কুল, কী বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বাছবিচার নেই। অবশ্য বেরোবির দাপটে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা এই শিক্ষানুরাগীরা একটু ঘাপটি মেরেই আছেন। প্রটোকল ভেঙে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, লেকচারার সবাই আজ একই কাতারে; সবাই চক্ষুরোগী! রহস্যটা কী?
রহস্য উদ্ঘাটনে গঠিত হলো বিনা সদস্যের তদন্ত কমিটি। বেরিয়ে এল রহস্য। এবার আর গোপনীয়তা নয়, বাদ্য বাজিয়ে প্রকাশিত হলো তদন্ত প্রতিবেদন! কী পাওয়া গেল?
পাওয়া গেল—বিদায়ের আগে আগে নিজের ওস্তাদিটা দেখিয়ে দিয়ে গত রাত ৩টায় ক্লাস নিয়েছেন জনৈক উপাচার্য। তা করবেন না কেন? ওস্তাদের মার তো শেষ রাতেই। তাই ভোর হওয়ার আগে আগে ‘হে শিক্ষানুরাগী, হে জ্ঞানের ব্র্যাডম্যান’ ইত্যাদি উপাধি পেয়ে না পেয়েই সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন—কীভাবে শিক্ষকতা করতে হয়! মুরুব্বি মানুষের আঙুল; চোখে একটু আধটু লেগে গেলে তাঁরই বা কী করার আছে? অভিভাবক এমনই হন!
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে