কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা টানাব্রিজ-মন্দবাগ (কসবা) সড়কের তিন স্থান বন্যায় ভেঙে গেছে। এ ছাড়া পিচ-খোয়া উঠে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ভাঙা স্থানে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে মানুষের। সড়কে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার প্রায় ২০ গ্রা
বরিশালের মুলাদীতে একটি লোহার সেতু ভেঙে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিন গ্রামের মানুষ। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের খালের সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে সেতু একাংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে একটি বাঁশের ভাঙা সাঁকো। ভ্যান চলাচলের মতো অবস্থাও নেই। বাধ্য হয়ে হেঁটে পার হওয়ার সময় সাঁকোর ওপরই সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি ১ নম্বর পাড়ার যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ৭০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি পানিতে ভেঙে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বর্ষণের ফলে নারানগিরি খালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এই সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ সময় জলের তোড়ে সাঁকোর অনেকটা ভেসে যায়।
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মধ্যভাগে প্রবাহিত হয়েছে ভৈরব নদের শাখা বুড়িভৈরব। নদের পূর্বপাশে ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম আর পশ্চিমে ৮টি। এই নদের ওপর তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ভৈরব নদের শাখা বুড়িভৈরব নদ। এর পূর্ব পাশে ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম আর পশ্চিমে আটটি গ্রাম। এর মধ্যে ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য পেরোতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামগুলোর আনুমানিক ২০ হাজার মানুষ।
নির্মাণের কয়েক মাস পরেই ভেঙে পড়েছে পিরোজপুরের কাউখালীর একটি আয়রন ব্রিজ। ব্রিজের স্ল্যাবগুলো মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে। ভাঙার পরেই জানা গেল, কংক্রিটের স্ল্যাবে লোহার রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে সুপারিগাছ! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্য।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুদুখান পাড়া খালের এক পাড় থেকে আরেক পাড়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ৬০ বছর ধরে স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চার গ্রামের চার-পাঁচ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একসময়ের খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদী আজ মৃতপ্রায়। সেই ডাকাতিয়ার একাংশ পারাপারে অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের ৪০ বছর ধরে একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সাঁকো উপজেলার চরপাতা
রাজধানীর ডেমরার ডগাইর এলাকায় খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সাঁকোটি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চার মাসেও সংস্কার হয়নি একটি সেতুর ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়ক। ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুতে উঠতে হলে এখন বাঁশের সাঁকোই ভরসা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আট গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নে চেত্রা নদীর ওপর প্রায় ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা ২০ গ্রামের মানুষের। বছরের সাত মাস সাঁকোতে যাতায়াত করতে হয় এখানকার মানুষদের। বাকি পাঁচ মাস পানি বেশি থাকায়...
ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধুলন্ডী গ্রামে একটি সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি দিয়ে পাশের শিবালয় উপজেলারও কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী নদীতে সেতু নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হচ্ছে ৩৫ গ্রামের মানুষকে। ভারী পণ্য নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হলে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা ১২ কিলোমিটার ঘুরতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছামতী নদীর শাখা খালে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় ৩০টি পরিবারকে। নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে খাল পারাপারের সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুশিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।
নানা সংকটে জর্জরিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতিমধ্যে চারবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বিদ্যালয়টি।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ডাংধরা ইউনিয়নের সংযোগ খালের ওপর সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তিন গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এলাকাবাসীর অর্থায়নে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।