অবশেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে খরা কেটেছে। ব্যাংকে আস্থাহীনতার কারণে মানুষ এখন ফের সঞ্চয়পত্রমুখী হতে শুরু করেছে। এ কারণে এর বিক্রিও আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। এতে টানা ১১ মাস পর সঞ্চয়পত্রের বিক্রির নেতিবাচক প্রবণতা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন নেওয়ার মতোই হঠাৎ ইতিবাচক রূপে ধরা দিয়েছে। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সঞ
দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন আমানত ও সুদের হারের মধ্যে ৯-৬ স্তরের সিলিং প্রচলিত ছিল। গত বছরের জুলাইয়ে সেটি তুলে দেওয়া হয়। এতে সুদহার বেড়ে যায়; যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা মেলে ব্যাংকগুলোতে। আমানতকারীরা বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সুদের হার বাজারভিত্ত
বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সরকারনির্ধারিত বর্তমান সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। অপরদিকে ব্যাংকের ঋণ ও আমাতের সুদহার যথাক্রমে ১৮ শতাংশ ও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ২০-২২ শতাংশে। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে সুদহার তুলনামূলক কম হওয়ায় সঞ্চয়ধারীর
দুই পয়সা সঞ্চয় করে সঞ্চয়পত্র কিনে মুনাফার টাকায় নির্ভর যাঁরা করেন, তাঁদের স্বস্তি নেই। একদিকে বাজারে পণ্যমূল্য লাগামহীন। অস্বাভাবিক এই মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ মুনাফা পাচ্ছে কম। আবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সরকার নানা কড়াকড়িও দিয়েছে। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। বরং পুরোনা
তদন্তে উঠে এসেছে, তানোরের পারুল বেগমসহ ৫১ জনের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তানোরের পোস্টমাস্টার মোকসেদ আলম। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জিপিওতে ২৯ কোটি টাকা, নোয়াখালী পোস্ট অফিসে সাড়ে ৯ কোটি টাকা, বরিশাল মেডিকেল কলেজ পোস্ট অফিসে ২ কোটি, পটুয়াখালী পোস্ট অফিসে ২ কোটি, যশোর পোস্ট অফিসে ১ কোটি ৮৪ লা
রাজশাহীর তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে নিজের সঞ্চয়পত্রের দুই লাখ টাকার হদিস না পেয়ে পারুল বেগম নামে এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে পুলিশসহ পোস্ট অফিসের লোকজন তাঁকে থামান। এমন একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে...
রাজশাহীর তানোরে গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন পোস্ট মাস্টার মুখছেদ আলী। তানোর পৌরশহরের কুঠিপাড়াস্থ উপজেলা পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে।
ছয় বছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা না তুললে তা তামাদি হয়ে যাবে। এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলন না করলে সরকারের দায় তামাদি হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সার্কুলারটি জারি হয়।
সঞ্চয়পত্র ছেড়ে ব্যাংকমুখী হচ্ছে মানুষ। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের চেয়ে সম্প্রতি ব্যাংকে আমানতের সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ ঝুঁকছে সেদিকে। ফলে বিক্রি কমছে সঞ্চয়পত্রের আর আমানত বাড়ছে ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। অন্যদিক
পেনশনের সব টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা। তাঁকে প্রলোভন দেখানো হয়, ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামে অ্যাপে বিনিয়োগ করলে মুনাফা মিলবে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে অনেক বেশি। প্রলোভনে পড়ে অবসর জীবনের শেষ সম্বলটুকু এই ব্যক্তি বিনিয়োগ করেছিলেন ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টে। তা
সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এ জন্য সরকারের আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না। আবার আর্থিক দৈন্যের কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। চলতি ২০২৩-২৪
১৯ বছর পর কুড়িগ্রামে বাতিল সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলায় ডাকঘরের সাবেক ছয় কর্মকর্তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় দেন।
টাকা জমানোর অভ্যাস যেমন বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে, তেমনি পূরণ করা যায় অনেক অসাধ্য শখও। তবে অনেকেরই টাকা জমানোর ইচ্ছা থাকলেও খরুচে স্বভাবের কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। এ সমস্যা উত্তরণে জাপানিরা দারুণ একটি উপায় খুঁজে বের করেছেন।
ভালো মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহীর একটি সমবায় সমিতি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করেছিল শতকোটি টাকা। সেই টাকা আবার বিনিয়োগ করা হয়েছিল বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপে (এমটিএফই)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক অ্যাপটি বন্ধ হওয়ার পর রাজশ
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট দ্রব্যমূল্যের চাপ সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভেঙে খাচ্ছে মানুষ। আর যে হারে সঞ্চয়পত্র ভেঙে খাচ্ছে তার চেয়ে কম হারে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আর্থিক সংকট, ব্যাংকে মুনাফা কম ও বিনিয়োগে নানা শর্তের কারণে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। যার ফলে তিন মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না বেড়ে উল্টো ঋণ
দৈনন্দিন খরচের ধাক্কা সামলাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাড়তি ব্যয়ের অর্থ জোগাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা বেড়েছে। এ ছাড়া সুদের হার হ্রাসসহ অতিরিক্ত শর্ত জুড়ে দেওয়ায় সঞ্চয়পত্র কেনায় ভাটা পড়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বার পেট ফেটে বেরিয়ে আসা শিশু ফাতেমা ও তার পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেলা প্রশাসকের কাছে থাকা ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা দিয়ে এ সঞ্চয়পত্র কিনতে বলা হয়েছে।