ভোজ্যতেল পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নন-ফুড গ্রেডেড উপকরণে তৈরি কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্ট, মবিল বা অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত ড্রাম। এসব অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর ড্রামে সরবরাহ করা ভোজ্যতেল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। নন-ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ড্রাম বারবার ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের প্রধানতম হলো ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন এ, ত্বক সুরক্ষায় ভিটামিন বি এবং সি, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ডি প্রয়োজ
তেল শুধু রোস্টিং বা সিজনিংয়ের মাধ্যম নয়। এটি খাবারের স্বাদ, টেক্সচার ও ঘ্রাণ পরিবর্তন এবং উন্নত করার কাজ করে। একেক তেলের গুণাগুণ, সুবিধা-অসুবিধা একেক রকম। জেনে রাখা ভালো, পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কোন তেল শরীরে কোন ধরনের সুবিধা দিতে পারে।
আমরা যেমন মলা–ঢেলার মতো ছোট মাছ খেতে অভ্যস্ত, তেমনি দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের অধিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। তাদের মধ্যে হোয়াইট বেট, আটলান্টিক ক্যাপেলিন কিংবা ছোট শুকনো সার্ডিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস আছে। মাথা, হাড় কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনো কিছু না ফেলে সম্পূর্ণ ছোট মাছ খাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, ম
শিশুদের অপুষ্টিজনিত অসুখের মধ্যে অন্যতম রিকেটস রোগ। কিন্তু এ রোগ সম্পর্কে খুব কম মানুষ জানে। এটি মূলত শিশুদের বাড়ন্ত হাড়ের গঠনগত ত্রুটিজনিত রোগ। সাধারণত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে এ রোগ হয়।
বাহারি নামের মোড়কে ডিমে বিশেষ পুষ্টিমান যোগ করার কথা লিখে ভোক্তাদের পকেট কাটছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। প্যাকেট বা মোড়কের গায়ে অর্গানিক ডিম, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ডিম ইত্যাদি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করে কোম্পানিগুলো প্রতিটি ডিমে দাম বেশি রাখছে ৩ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বাস্তবে সেই বিশেষ পুষ্টি ডিমে যোগ
জেরোপথ্যালমিয়া নামের একটি রোগ আছে যা ভিটামিন এ এর অভাবে হয়ে থাকে। এই রোগের ৮ থেকে ৯টি পর্যায় আছে। এর শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং রোগীর দৃষ্টিশক্তি হারানো। এই রোগের প্রথম পর্যায় রাতকানা রোগ।
আগামী ১ জুন (শনিবার) সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এদিন ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে। করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১ জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙে
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে রাজশাহীতে এবার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী শনিবার জেলা ও মহানগরে এই ক্যাম্পেইন চলবে।
ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। এর মধ্যে আছে ভিটামিন ডি১, ডি২ ও ডি৩। সরাসরি সূর্যের আলোয় আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপন্ন করে। তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
হাড়ের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা উচিত। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস শক্তিশালী হাড়ের জন্য একটি ব্লিডিং ব্লক তৈরি করে। এটি পরে হাড়জনিত বিভিন্ন সমস্যা, যেমন অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস কিংবা রিউমা-আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হাড় সুস্থ রাখতে বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজের
শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অন্যতম ভিটামিন ‘ডি’। বর্তমান সময়ে প্রমাণিত, নানা শারীরিক সমস্যার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি। ভিটামিন ‘ডি’ হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য খুবই দরকারি। এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হওয়ার পাশাপাশি বড়দের অস্টিওপোরোসিস বা হাড় পাতলা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অথচ এই
শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। পুষ্টির ঘাটতি হলে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে। ফলে তাদের বারবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এতে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশে ৪৩ দশমিক ৭০ শতাংশ শিশু স্বল্পমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতিতে (মাইল্ড ডেফিশিয়েন্সি) ভুগছে। তবে শিশুদের মধ্যে গুরুতর মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি নেই বললেই চলে। এর অভাবে ভোগা শিশুদের মধ্যে ছেলের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় বেশি।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর আওতায় চট্টগ্রামে এবার জেলা ও মহানগরে সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেলের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।