মা রান্নাঘরে বসে ডাঁটাশাক কাটার সময় তুলি গিয়ে বসল মায়ের পাশে। রাতের পড়ার পাট চুকে গেছে। এবার তার অফুরন্ত সময়। বাবাও ফেরেননি অফিস থেকে। মায়ের পাশে বসে বসে সে এক মনে খেলতে আরম্ভ করল। খেলতে খেলতে পাশে রাখা সাদা ট্রে টেনে নিল। ডাঁটা শাকের লম্বা লাল ডাঁটার অবশিষ্ট অংশ একপাশে জমিয়ে রাখছিলেন মা। ছোট একটা ড
মা তো রোজই তোমাদের কত খাবার বানিয়ে দেন, তাই না? আজ যদি তোমরাই বানাও নিজের খাবারটা আর মাকে দেখাও, কেমন হয়? দেরি না করে চলো মায়ের রান্নাঘরে যাই। আর খুঁজে দেখি কী কী আছে। ওই তো টেবিলে রাখা আছে একটা পাউরুটির প্যাকেট। জলদি করে প্যাকেট খোলো আর নিয়ে নাও এক পিস পাউরুটি। একটা গ্লাস নিয়ে গোল করে কেটে নাও পাউর
ঈদে তো অনেক সেমাই, পায়েস, বিরিয়ানি খেয়েছ। এসব খাবারের পাশাপাশি ফল খেয়েছ তো? সব খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন ফলও খেতে হবে। ফলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
রোজ কিছু পরিমাণে ফল খেলে শরীর ভালো থাকে। কেন বলো তো? কারণ ফলে থাকে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। আর এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে। তোমার ছোট ভাই বা বোন যদি ফল খেতে না চায়, তাকে মজা করে ফল খাওয়াবে তুমি। চলো শিখিয়ে দিই। আঙুর, নাশপাতি ও গাজর দিয়ে একটা ময়ূর বানিয়ে নাও।
কমলা, মাল্টা ও গাজর শরীরের জন্য খুব উপকারী। এই ফলগুলোতে আছে ভিটামিন সিসহ আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাঁচি, কাশি ও জ্বরে আরামও দেবে। আজ তোমাদের কমলা, মাল্টা ও গাজর দিয়ে বানানো যায় এমন একটি ফুড আর্টের কথা জানাব। মা কিংবা পরিবারের বড়দের
জরি ইদানীং বিকেলের নাশতায় ভাজাপোড়া ও ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার খেতে চায়। কিন্তু এই খাবারগুলো তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। রোজ রোজ ভাজাপোড়া ও বাইরের খাবার খেলে যে শরীর খারাপ করবে। শরীর পুষ্টি পাবে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে না। তবে হ্যাঁ, মাঝে মাঝে ভাজাপোড়া ও ফাস্ট ফুড তো খাওয়াই যায়। রোজ রোজ নয়।
বাবুকে ডিম খাওয়াতে গেলে কত যে কাণ্ড করতে হয়, তা আর বলতে! মাকে তো পুরো ঘর দৌড়োতে হয়-ই, সঙ্গে ছয় বছরের বড় ভাই তুতানকেও করতে হয় ভুংভাং। তাই আজ সকালে তুতান মাকে বলল, ‘ডিম সেদ্ধ করে, খোসা ছাড়িয়ে আমার কাছে দাও মা। আমি এমন কাণ্ড করব, বাবু না খেয়ে কোথায় যাবে?’ মা তুতানের কথামতো একটা বাটিতে দুটো সেদ্ধ ডিমের
স্কুল বন্ধ বলে কি মন খারাপ? শোনো, আজ তোমাকে ফল দিয়ে মজার একটা প্রজাপতি বানানোর নিয়ম শেখাব। এর জন্য কী কী লাগবে, জানো? একটি আপেল, গাজর, শুকনো কিশমিশ ইত্যাদি। এই ফল ও সবজিগুলো তোমার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। আর এই ফুড আর্ট করে ভীষণ মজাও পাবে। তোমার অবসর সময়টা আনন্দে কাটবে।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরির স্কুল বন্ধ। স্কুলের বন্ধুদের খুব মিস করছে সে। মা খাবার খেতে ডাকলেও খেতে চায় না। এটা খাব না, সেটা খাব না—এমন অনেক কথা বলে। কিন্তু না খেলে যে তার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে।
শীতের ভোরে বৃষ্টি ভাবা যায়! কী দুর্বিষহ! কাঁথা-কম্বল দিয়েও মাঘের শীত থেকে রক্ষা নেই। যা হোক। খাবার প্লেটে যদি তোমার পছন্দের বৃষ্টি নামাতে পারো, তাহলে কেমন হয় বলো তো? চলো, আজ বৃষ্টি নামানো যাক। বাসায় বসে এটি বানাতে পারবে।
তুমি যদি ক্লাস সিক্স, সেভেন বা এইটে পড়ো, তাহলে এখন কথাগুলো তোমাকেই বলছি। এখন থেকে নিজের কাজগুলো নিজেই করতে শেখো। তাতে করে মায়ের ওপর চাপ কমবে, পাশাপাশি তোমারও শেখা হবে
তোমরা তো জানোই বিভিন্ন দেশে শীতকালে তুষারপাত হয়। যখন অনেক তুষারপাত হয়, তখন সেখানকার শিশুরা বরফ মুঠো করে করে স্নোম্যান বানায়। স্নোম্যান দেখতে কেমন হয় তা তো তোমরা জানোই। বিভিন্ন কার্টুন বা গল্পের বইয়ের পাতায় তো দেখেছ নিশ্চয়ই। আমাদের দেশে তো আর তুষারপাত হয় না, তাই তুমি চাইলেই বানাতে পারবে, তা তো নয়। তব
বিকেলবেলা খেলাধুলা করে পেটের ভেতর ইঁদুর দৌড়াচ্ছে রিনতির। ঘরে ঢুকেই দেখল মা স্যান্ডউইচ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাউরুটি মাত্র টোস্ট করে রাখা হয়েছে। এখনো মাংসের কিমা ভাজা হয়নি। অতক্ষণ সবুর করার উপায় নেই। বেসিনে হাত ধুয়ে এসে ডাইনিংয়ে টোস্ট করে রাখা দুই টুকরো রুটি নিল সে।
আজও জেরির মন খারাপ। খেতে চাইছে না। না খেলে যে জেরির শরীর খারাপ করবে। দুর্বল হয়ে যাবে। জেরির মায়ের মাথায় বুদ্ধি এল। আজ তিনি জেরিকে নতুন কিছু বানিয়ে খাওয়াবেন। চট করে ভাত, ডিম, আপেল, জেমস চকলেট দিয়ে তিনি বানিয়ে ফেললেন খরগোশ। কীভাবে? বলছি।
জেরির রোজ রোজ একই খাবার খেতে ভালো লাগে না। সে চায় ভিন্ন কিছু। ওর মা ভীষণ ভাবনায় পড়ে গেলেন। তারপর তিনি কী করেছেন, জানো? নুডলস ও মিটবল দিয়ে জেরিকে বানিয়ে দিয়েছেন পাখির বাসা। কীভাবে করেছেন বলছি।
বাবার খুব জ্বর করেছে। তুতুল দাঁড়িয়ে আছে ডাইনিং টেবিলের সামনে। মা স্যান্ডউইচ বানাচ্ছেন। একটা পাউরুটি রেখে মাঝখানে মুরগির পেটি আর লেটুসপাতা গুঁজে দিলেন। তার ওপর আরেকটি পাউরুটি দিয়ে ঢেকে দিলেন। ট্রেতে স্যান্ডউইচের প্লেট তোলার পর তুতুল বলল, ‘আম্মু, আমি একটু কাজ করব।’ মা ট্রেটা টেবিলের ওপর রাখলেন। তুতুল
রাতে প্যাঁচার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিল পুষ্পা। কোনোভাবেই ঘুমোতে চাচ্ছিল না। দিদা বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমাও, সকাল হলেই দেখবে একটা ছোট্ট প্যাঁচা খাবার টেবিলে চলে এসেছে। পুষ্পা অবাক হয়ে বলেছিল, সত্য়ি! কিন্তু খাবারের টেবিলে আসবে কেন? দিদা বললেন, সেটা সকাল হলেই দেখবে।