ব্যাংক খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চরম অবনতি হয়েছে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যাংক খাতে অলিগার্ক বা গোষ্ঠীগত দুঃশাসন তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য সামনে কী আছে?’ শীর্ষক এক সংলাপে এমন অভিমত দিয়েছেন সিপিড
বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলা সাহিত্যের বলিষ্ঠ এই কথাশিল্পী শওকত ওসমান তাঁর লেখনীর মাধ্যমে শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে কথা বলেছেন সারা জীবন। তাঁর রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সব সময় প্রেরণা জুগিয়ে আসছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘লাইব্রেরি’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেউ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই পাঠাগারের তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে। মানবাত্মার অমর আলোক কাল অক্
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের প্রধান (প্রেসিডেন্ট) ডক্টর ক্লাউডিন গের বিরুদ্ধে গবেষণামূলক প্রবন্ধে লেখা চুরি বা কুম্ভিলকবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে পদত্যাগ দাবির কিছুদিন পরই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন এ অভিযোগ উঠল। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে
রূপকথা শহরে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটা মেয়ে। বয়স এখনো দশের ঘর পার হয়নি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। সেই রূপকথার একজন কাকু আছে। তার নাম রুদ্র।
কবি আসাদ চৌধুরী নেই—তিনি লোকান্তরিত হয়েছেন। খবর পেয়েছিলাম অফিসে বসেই। সংবাদপত্র অফিসে মৃত্যুর খবরগুলো শোক হওয়ার সুযোগ পায় না। কারণ, শোক যাদের ছড়াতে হয়, তাদের শোক করার সময় কোথায়? কিন্তু আসাদ চৌধুরীর মৃত্যু আমার কাছে অত সহজ বিষয় নয়।
‘তবক দেওয়া পান’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরী ৫ অক্টোবর, ২০২৩ স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৩টার দিকে টরন্টোর অদূরে আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যু শব্দটির সাথে স্তব্ধ হয়ে গেল কাঁধে ঝোলা, পানের রঙে রঞ্জিত লাল ঠোঁটে সদা হাস্য একজন কবির
‘সভ্যতার ইতিহাস হচ্ছে বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির সংগ্রামের ইতিহাস’, চেক সাহিত্যিক মিলান কুন্দেরার এই মন্ত্রবাক্য বিস্মৃতির বিরুদ্ধে আমাদের স্মৃতিচর্চাকে উৎসাহিত করে। বিস্মৃতির ছাইয়ে চাপা শত বছর আগের একজন মানুষ, হীরালাল সেনকে নিয়ে চলচ্চিত্রের
আমাদের জীবন আয়নাজীবন। আয়না আমাদের উল্টো করে দেখায় আমাদের সত্যি চেহারা, উল্টো আমাদের দেখায় সোজা করে। নারীর কাছে আয়না নিভৃত আশ্রয়। নির্জন বন্ধু নারীর এই আয়না, সারা জীবনের সঙ্গে জড়ানো বিশ্বস্ত সঙ্গী। আধুনিক বিবাহব্যবস্থার শিকার,
কাঁঠালিচাঁপার ঝোপের পাশে এক সন্ধ্যাকালে পিতাকে সে দেখেছিল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে। তখন মেয়েটির চোখ থেকে ঝরছিল বিস্ময়ের বৃষ্টি। এক কি দুপলক। পরমুহূর্তেই বাড়ি ছুটে গিয়েছিল মাকে কথাটা জানাতে। মা ঘরে ছিল না। শাক কুড়াতে গিয়েছিল মাঠের ধানখেতের আলে। কার্তিকের মাঠে তখন কুয়াশা কিংবা ওস্ ঝরছিল। ওস্ ভেজা ঘেসো পথ
বাদলার মরসুম এলেই ঘোড়াউত্রার জলে যেন কী এক রহস্য খেলে যায়। এমনিতেই বছর-কাবারি তার ভাব-সাবের তেমন অদল-বদল নাই। আর দশটা নদ-নদী যেভাবে চলে-ফেরে, ঘাড়-ঘুরিয়ে, কোমর বাঁকিয়ে অন্য পথে ধায়—ঘোড়াউত্রাও তেমনি চলে। সারা বৎসর তেমন চেত-বেধ নাই, শুধু বাদলার মরসুম এলেই ভিন্নকথা। তখন আষাঢ়ে-জলধর আসমানে সামান্য
দ্বিজেন শর্মা-উত্তর পরিবেশ ও বাস্ততন্ত্রচর্চা প্রসঙ্গে অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এমনই একজন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মোহাম্মদ। তাঁর অভিমত, যেভাবে দ্বিজেন শর্মাকে মূল্যায়নের কথা ছিল, সেভাবে করছি না। আসলেই আমরা তা করছি না। কারণ, তাঁর কাজের প্রয়োজন আমরা অনুধাবন করিনি। এ সমাজ সেই বোধ থেকে অনেক দূরে, তা স
সুকুমার রায় এক অমর সাহিত্যিক। আজ ১০ সেপ্টেম্বর এই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষটির প্রয়াণ দিবস। এক এক করে পেরিয়ে গেছে তাঁর মৃত্যুর ১০০টি বছর। সুকুমারের নিজের ভাষায়
ময়মনসিংহের মসূয়া গ্রামের সৃষ্টিশীল রায়চৌধুরী পরিবার। বংশানুক্রমে ছেলেপুলের হাতে সাহিত্য সৃষ্টির ব্যাটন ধরিয়ে দিয়েছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। রবিঠাকুরের রাজর্ষি উপন্যাসের দুটি চরিত্র হাসি ও তাতার নামানুসারে তাঁর বড় মেয়ে এবং বড় ছেলের ডাকনাম রেখেছিলেন সুখলতা ও সুকুমার। এই তাতা বা আমাদের প্রিয় সুকুমা
বিছানার পাশে সোফায় হেলান দিয়ে টিভি দেখছিলেন বাবা। হঠাৎ তার সামনে লম্বালম্বি করে সাইকেলটি রাখল নিধি। : বাবা, শক্ত করে ধরে রাখো। : কেন? : আ রে ধরো না। না ধরলে কিন্তু তোমার অনেক লস হয়ে যাবে। কথা শুনে বাবার তো আক্কেল গুড়ুম।
একটি অন্ধ ভিখারি রোজ মন্দিরে পূজা করতে যায়। প্রতিদিন ভক্তিভরে পূজা শেষ করে মন্দিরের দরজায় প্রণাম করে সে ফিরে আসে; মন্দিরের পুরোহিত সেটা ভাল করে লক্ষ্য করে দেখেন। এইভাবে কত বৎসর কেটে গেছে কেউ জানে না। একদিন পুরোহিত ভিখারিকে ডেকে বললেন, “দেখ হে! দেবতা তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। তুমি কোন একটা বর চাও। ক
বছর কুড়ি আগেও প্রতিটি শৈশবে উঁকি দিলে একটি নাম খুব পরিচিত তিনি সুকুমার রায়। শৈশবের পাঠে সুকুমার নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। শিশুদের সুখপাঠ্য ছড়া লিখে অতি সহজেই সুকুমার রায় প্রতিটি শিশুমনে স্থান দখল করে আছেন। শিশুদের ছাড়িয়ে তাঁর লেখা বড়দের মনেও বিশেষ ভালো লাগার সৃষ্টি করে। তাঁর লেখা পড়লে পাঠের দো