নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে নীতু। গ্রাম ছেড়ে পড়াশোনার জন্য শহরে এলেও জীবনযুদ্ধ তার নিত্যসঙ্গী। ডে কেয়ার সেন্টারে বেবিসিটারের কাজ করে। থাকে শহরতলির শেষে একটি পুরোনো হোস্টেলে। ইদানীং হোস্টেলে ফেরার নির্জন পথে মাঝেমধ্যে অদ্ভুত ধরনের শব্দ শুনতে পায় সে। মনে হয় কিছু একটা ফলো করছে তাকে।
প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
আরতি বর্মন। বয়স পঞ্চাশের বেশি। চেহারায় বোঝা যায় জীবনযুদ্ধের ছাপ। স্পষ্ট করে কথা বলতে পারেন না। কোনো জমিজমা না থাকায় দুর সম্পর্কের চাচার বাড়ির এক কোণে দুই ছেলেকে নিয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন ৩০ বছর আগে। এর মধ্যে স্বামী গত হয়েছে ১৫ বছর আগে। অভাবে অনটনেও দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। অভাবের কারণে নিজের জায়গা বা
একজনের বয়স ৭০ বছর। আরেকজনের বয়সও মধ্য ষাট হয়ে গেছে। শরীরে কুলায় না। তবু বয়সের ভারে ন্যুব্জ দুজন চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধ। ভোরে পাখির কলবে ঘুম ভাঙে তাঁদের। সারা দিন চলে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙার কাজ। একজন শাল্লা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের সাহেরা বেগম (৬৫) আরেকজন কলেজ রোডের জুহেরা খাতুন (৭০)।
পাঁচ মাসের গর্ভবতী এক নারী বস্তাবন্দী অবস্থায় পড়ে ছিলেন কুমার নদে। শরীরে তাঁর নির্যাতনের চিহ্ন। তারপর স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে উদ্ধার ও বেঁচে ফেরা। একেবারে মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা সেই নারী জীবনের নানা ধাপে লড়াই করতে করতে পরিণত হন এক আইকনে। তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়া।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে ফেলে দেন হাওরে। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় এক জেলে উদ্ধার করেন। বেঁচে ফিরে আবারও শুরু করেন পড়ালেখা। সাহসিকতায় তিনি হয়েছেন জয়িতা। নাম হাসনা হেনা মনির। ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর’ ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হন তিনি।
জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক প্রতিবন্ধী যুবক মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা মোল্লা পাড়া গ্রামের আক্তার হোসেন। এক হাত ও দুই পা বিকলাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা জীবন শেষ করে বর্তমানে গ্রামের একটি একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করছেন তিনি
কুয়াশা ভরা সকাল। ঘাড়ে মোটর গাড়ির ফুলানো টিউব, সঙ্গে ঢাকি কোদাল এবং চালনি। গন্তব্য মহানন্দার ঠান্ডা জলরাশি। উদ্দেশ্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যস্ত নদীর বুক থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসারের জোগান। সঙ্গে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা চাপ। এই হলো জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লাগাতার যুদ্ধ করা যোদ্ধা রহম
সকালে ডিম পোচ করার পর আম্মুকে বলো খোসাগুলো রেখে দিতে। এগুলো দিয়ে মজার সব জিনিস বানানো যায়। তবে সে জন্য ডিম মাঝখান থেকে না ভেঙে যেকোনো একদিকে ছিদ্র করে কুসুম ও সাদা অংশ বের করে নিতে হবে। খোসাগুলো মুছে রোদে শুকিয়ে নাও।
ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। ১১ জুলাই ২০২০, ধানমন্ডি লেক। রিয়াদের পকেটে ৪২০ টাকা। কথায় কথায় পরিচয় হয় শামসুল হকের সঙ্গে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মেপে যার রোজগার। পরিবারের অবস্থা শুনে শামসুল হকই রিয়াদকে পরামর্শ দেন মাস্কের ব্যবসা শুরু করার