আষাঢ়ের আকাশ দখল করে আছে ছাইরঙা মেঘ। সেই মেঘ ভেঙে যখন-তখন নামছে বৃষ্টি। বর্ষা মানেই স্নিগ্ধতা, তা বসনে হোক বা প্রকৃতিতে। এই ঋতুতে বদলে যায় প্রকৃতি ও রোমান্টিক মানুষের মন। আর সেই রোমান্টিকতার ছাপ থাকে পোশাকের ধরন ও রঙে।
দুদিন আগেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু গরম কাটেনি; বরং ভ্যাপসা গরম ভাবটা যেন গায়ে লাগছে আরও বেশি। গতকাল শনিবার দিনভর আকাশ ভারী থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়েনি প্রশান্তির শীতল ফোঁটা। রাজধানীবাসী তাই বৃষ্টি নামার অপেক্ষায়। বৃষ্টির জন্য এমন অপেক্ষা সঙ্গী করেই শুরু হলো বর্ষা ঋতু। গতকাল ছিল আষাঢ়ের প্রথম দিন।
আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাসকে বর্ষাকাল বলা হয়। অথচ শ্রাবণ মাস চলছে, দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির দেখা নেই। দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা যৎ সামান্য। বৃষ্টি কম হওয়ার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা হচ্ছে...
এবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহা আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি উদ্যাপিত হবে। এ সময়ে ঝড়-বৃষ্টি বেশি হয় বলে ঈদ যাত্রা থেকে শুরু করে নৌপথে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
আষাঢ় শেষ হয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র রোদে বীজতলায় শুকিয়ে যাচ্ছে আমন ধানের চারা। পানির অভাবে চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি করা যাচ্ছে না। যেসব জমি ইতিমধ্যে আবাদ করা হয়েছে, তা ফেটে চৌচির।
আষাঢ় যাই যাই করছে। আবহাওয়ায় নরম-গরম একটা ভাব রয়েছে এখন। এই ঝরছে অঝোর ধারার বৃষ্টি তো এই ঠা ঠা রোদ। এমন সময় আরামের পোশাক দরকার। আবার শুধু পরার জন্যই নয়, রংও হতে হবে মনের মতো।
এই শহরের অব্যবস্থাপনা একদিনে তৈরি হয়নি। তিন দশকের কুফল এগুলো। এ জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করে লাভ নেই। রাজউক একটা পরিকল্পনা করে ৫ থেকে ১০ বছরের চিন্তা করে। এটি বাস্তবায়ন হতে হতে শহরে নতুন সমস্যা দেখা দেয়।
ঢাকায় আষাঢ়ের বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ভারতের উপকূলে গিয়ে দুর্বল হয়ে গেছে। তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সাগর উত্তাল আছে
বর্ষার আগমনী নিয়ে মেঘ ভেঙে নামল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি–হ্যাঁ আবার এসেছে আষাঢ়, আকাশ ছেয়ে গেছে মেঘে। প্রকৃতিতে আজ প্রাণের স্পন্দন।