৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন জন্মলাভ করেন তখন আরবসহ পুরো বিশ্ব অন্যায়, অবিচার ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল। আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ ত
মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ নবীজির শুভ জন্ম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কার বিখ্যাত বনি হাশিম গোত্রে সোমবার দিন জন্মগ্রহণ করেন। গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে, দিনটি ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ বা ২২ এপ্রিল ছিল বলে জানা যায়, যা আরবি ক্যালেন্ডারের হিসাবে রবিউল আউয়াল মাসের ৯ তারিখ বা ১২ তারিখ।
যে কেউ নেতা হতে পারে না। চাইলেই নেতা হওয়া সম্ভব নয়। নেতা হওয়ার জন্য কিছু গুণ লাগে, কিছু যোগ্যতা লাগে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইউসুফ (আ.) বললেন, আপনি আমাকে দেশের অর্থ-সম্পদের (ব্যবস্থাপনার) কাজে নিযুক্ত করুন। আপনি নিশ্চিত থাকুন আমি রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ভালো পারি এবং এ কাজের পূর্ণ জ্ঞান রাখি।’ (সুরা ই
মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী।
নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–এর নবুওয়াতের বয়স নিয়ে কদিন আগেই দ্বন্দ্বে জড়ান সময়ের আলোচিত দুই ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। এই দ্বন্দ্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তাঁদের ভক্তসহ পুরো সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে পড়ে দুই ভাগে বিভক্ত।
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন নিয়ে রচিত গ্রন্থের সংখ্যা কত—তার হয়তো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে এখনো বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে। এতে ভক্তিমূলক রচনা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সঠিক ইতিহাসচর্চার প্রয়াসও। রয়েছে যুগের চাহিদার আলোকে বিশ্বমানবতার পাথেয় জোগাতে নতুন নতু
ইবাদতের মৌসুম রমজানে রয়েছে এমন এক ফজিলতপূর্ণ রাত, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতকে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বলা হয়। কদর অর্থ মর্যাদা, সম্মান, ভাগ্য ইত্যাদি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কৌতূহলোদ্দীপক ভাষায় শবে কদরের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি কি জানো, শবে কদর কী? শবে কদর
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
হযরত মুহাম্মদ (সা.)– এর নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদন পেতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) আবেদন করা হয়েছে দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেজ থেকে তথ্যটি শেয়ার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সংবাদ’ নামে ১ লাখ ১৬ হাজার ফলোয়ারের একটি
নেতা নির্বাচনের পর শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং দেশের প্রতি জবাবদিহির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ইসলামে এমন শপথ ও অঙ্গীকার গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে এমন তিনটি বড় ঘটনা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি সাহাবিদের বিশেষ দলকে বিশেষ উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক
জান্নাতে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করা মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্য। সব মুমিনের হৃদয়েই জান্নাত লাভের আগ্রহ এবং জান্নাতে নবীজির সঙ্গে বসবাসের স্বপ্ন থাকে। সাহাবিরা জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভের গভীর আগ্রহ লালন করতেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় সরাসরি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেন।
দড়ি দিয়ে বাঁধা দুটি পাথরের ভিডিও প্রচার করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাবি করা হচ্ছে, পাথর দুটি হজরত মুহাম্মদ (সা.) বেঁধেছিলেন। এরপর ১ হাজার ৪০০ বছর ধরে পাথরগুলো ঝুলে আছে। ফেসবুকে এমন এক ভিডিও আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার বার শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েক্ট পড়েছে ১ হাজ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধের পোশাক দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তা ২ লাখ ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার বার।
রাসুল (সা.)-এর উম্মত হওয়ার গৌরব অর্জন করার জন্য তাঁর সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ করা চাই। এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা চাই, যা সম্পাদনকারীকে তিনি তাঁর উম্মত নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিচে হাদিসের আলোকে এমন ১০টি কাজের কথা
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ ১২ রবিউল আউয়াল। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
গ্রহণযোগ্য বর্ণনা মতে, ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে সাহাবিরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। এখানে সাহাবিদের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো।
নবীপ্রেম প্রতিটি মুমিনের এক অমূল্য সম্পদ। নবীপ্রেম সবার অন্তরে থাকলেও সবকিছুর ওপরে তাঁকে প্রাধান্য দেওয়া ইমানদারের জন্য ফরজ। প্রতিটি ইমানদারের উচিত একে ধারণ করা এবং অন্তরে লালন করা। নবীপ্রেম ছাড়া কেউ কখনো ইমানদার হতে পারে না।