সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে চুক্তির শুরু থেকেই ফিফাকে নিয়ে সমালোচনা। এবার বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাকে সৌদি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বলছেন নারী ফুটবলাররা। এরই মধ্যে একটি চিঠিতে স্বাক্ষরও করেছেন নারী ফুটবলাররা।
সৌদি সুপার কাপ ফাইনালে আল নাসরের হারের রেশ এখনো কাটেনি। হারের হতাশা তৎক্ষণাৎ প্রকাশ করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই ক্ষত না শুকাতেই রোনালদোর দলকে ফিরতে হলো মাঠের খেলায়। এবারও জয় পাওয়া হলো না আল নাসরের।
দলবদলের মৌসুম এলেই শোনা যায় নানারকম গুঞ্জন। তারকা ফুটবলারদের ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবলে যাওয়ার ব্যাপারে ইদানীং বেশি কথাবার্তা চলছে। ব্রাজিলের রিচার্লিসনের কাছে তেমন প্রস্তাব এলেও সেটা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো বাকি ১০ বছর। সেই বিশ্বকাপ যে সৌদি আরবে হচ্ছে সেটা জানা গেছে অনেক আগেই। ১০ বছর পরের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে মহাপরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে সৌদি।
বয়স চলে ৩৯। এই বয়সে অনেক ফুটবলাররা অবসরজীবন যাপন শুরু করেন। বন্ধু-পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। কেউ হয়তো শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একেবারে ব্যতিক্রম। খেলে চলেছেন এখনো। মাতিয়ে চলেছেন যেখানেই যাচ্ছেন।
চোট নিয়ে লড়াই যেন থামছে না নেইমারের। আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্লাব ফুটবল—সব জায়গাতেই চোটের কারণে একের পর এক ম্যাচ খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এবার সৌদি প্রো লিগের নতুন মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের খেলা নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৩৯ বছর পূর্ণ করেছেন কদিন আগে। ম্যাচের ব্যস্ত সূচিও রয়েছে। তবে রোনালদোকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তাঁর ওপর ম্যাচ খেলার ধকল বয়ে যাচ্ছে। গোলমেশিন রোনালদো এখন যেন হয়ে গেলেন ‘হ্যাটট্রিক মেশিন।’
পিএসজি ছেড়ে বিপুল অঙ্কের চুক্তিতে গত বছর সৌদি ফুটবলে যোগ দেন নেইমার। নাম লেখান আল হিলালে। তবে চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তারপরও থেমে নেই আল হিলালের জয়রথ। এবার তো বিশ্ব রেকর্ডই গড়েছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি।
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ডে আগেই এক পা দিয়ে রাখে আল হিলাল। নেইমারের নতুন ক্লাবের জন্য তা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি গতকাল নিজের নামে করে নেয় তারা। তবে দলটির কোচ থেমে থাকতে চান না এখানেই।
দীর্ঘ চার মাস পর আল হিলালে ফিরেছেন নেইমার। দুই দিন আগে ব্রাজিলিয়ান তারকা সৌদি আরবে ফেরায় তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ক্লাব কর্মকর্তারা। তবে ক্লাব কর্মকর্তারা হাসিমুখে নেইমারকে বরণ করে নিলেও তাঁর ফিটনেস নিয়ে খুশি নন সমর্থকেরা।
এ মৌসুমের শুরুতে সৌদি আরবে যাওয়ার ধুম পড়েছিল ফুটবলারদের মধ্যে। ইউরোপ ছেড়ে করিম বেনজেমা, নেইমার, জর্ডান হেন্ডারসন, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো, ফাবিনহো, এদুয়ার্দ মেন্দি, রিয়াদ মাহরেজের মতন তারকা যোগ দেন সৌদি প্রো লিগে।
সফরে বেরিয়ে একের পর এক হার—সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিল ইন্টার মায়ামির। সৌদি সফরে তো গত শুক্রবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন আল নাসরের কাছে ৬-০ গোলে উড়ে গেছেন লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজরা। তার আগে সৌদি প্রো লিগের আরেক ক্লাব আল হিলালের কাছে রোমাঞ্চ জাগিয়ে হেরেছিল ৪-৩ গোলে।
সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পথচলা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালেই। নতুন ক্লাবে এসে ছন্দ ফিরে পেতেও তাঁর বেশ সময় লেগেছিল। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন রোনালদো। দলকে জেতাতে অবদান রেখেছেন অসংখ্য ম্যাচে।
লুটনের কেনিলওয়ার্থ রোড স্টেডিয়ামে গতকাল হয়েছে গোলের বন্যা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে লুটন টাউন-আর্সেনাল ম্যাচে গোল হচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতে। কখনো লুটন টাউন, কখনো বা আর্সেনালের ফুটবলাররা করেছেন গোল। শেষ পর্যন্ত লুটন টাউন-আর্সেনাল ম্যাচে হয়েছে ৭ গোল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয়ে ভিন্ন রকম এক রেকর্ড গড়েছে আর্সেনাল।
আল-নাসরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এসেছিলেন গত মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে। ক্লাবটিতে আসার পর থেকেই আছেন দারুণ ছন্দে। ২০২৩-২৪ মৌসুমের ফর্মটা আগের মৌসুমের চেয়েও দুর্দান্ত। নিজে যেমন গোল করছেন, তেমনি সতীর্থদের দিয়ে গোলও করাচ্ছেন। ছন্দে থাকা রোনালদোকে ছাড়া গতকাল খেলতে নেমেছিল আল-নাসর। তবে জয়ের দেখা পায়নি সৌদি ক্ল
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে কে সেরা—এ নিয়ে দুই ফুটবলারের ভক্ত-সমর্থকদের আলোচনা যেন থামার নয়। দুজনে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে চলে গেলেও সেটার রেশ এখনো রয়ে গেছে। সৌদি প্রো লিগেও দেখা গেছে একই চিত্র।
চোটের থাবা থেকে যেন মুক্ত হতেই পারছেন না নেইমার। একবার চোট থেকে সেরে ওঠেন তো দ্রুতই আবার আক্রান্ত হচ্ছেন। নতুন ক্লাব আল হিলালে এসে ম্যাচ খেলারই সুযোগ পাচ্ছেন না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তিনি খেলতে না পারলেও দারুণ ছন্দে আছে আল হিলাল।