ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে খেলোয়াড়দের ছুটি নেওয়ার ঘটনা বেশ পরিচিত। ব্যক্তিগত কারণ, মানসিক সুস্থতা—নানা কারণে টুর্নামেন্টের আগে বা মাঝপথে হঠাৎ করেই তারকা ক্রিকেটাররা ছুটি নিয়ে নেন। ২০২৪ আইপিএলের মাঝপথে অনির্দিষ্টকালের ছুটি নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে গত রাতে হয়েছে রানের মহোৎসব। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)—দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জমে ওঠে বাউন্ডারি মারার প্রতিযোগিতা। অথচ এমন ম্যাচেই দেখা যায়নি বর্তমান টি-টোয়েন্টির অন্যতম মারকুটে ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি, সেই প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই নিল অস্ট্রেলিয়া। ধবলধোলাই করল প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডকে। বৃষ্টি আইনে শেষ ম্যাচ ২৭ রানে জিতে কিউইদের তাদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে অজিরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—সংস্করণ যেমনই হোক, সেঞ্চুরি করা এক রকম অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে রোহিত শর্মার পাশে বসলেন ম্যাক্সওয়েল।
ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিবেচনায় নিলে ২০২৩ সালকে ‘ডাবল সেঞ্চুরির বছর’ বলাটাও ভুল হবে না। শুবমান গিল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-দুই তারকা ক্রিকেটার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সদ্য বিদায় নেওয়া বছরে।
ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসটি বিশ্বকাপে খেলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসের রেশ এখনো কাটেনি। সেই অতিমানবীয় ইনিংসের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছেন ম্যাক্সি।
চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গত ৭ নভেম্বর মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অসাধারণ নৈপুণ্যে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য ২৯৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে পায়ের পেশিতে টান (ক্র্যাম্প) নিয়েও দাপুটে
বিশ্বকাপে রূপকথার এক গল্প লিখে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসটির বর্ণনা ব্যাখ্যাতীত। এক পায়ের দুর্দান্ত ইনিংসটিকে যেন বোঝানোই যাচ্ছে না অভিধানের কোনো শব্দে।
একটি ভুল সারা জীবনের কান্না—এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে সমাজে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসের পর এমনটিই মনে হচ্ছে হয়তো মুজিব উর রহমানের। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারের ক্যাচ মিসের মাশুল যে পুরো আফগানিস্তান দলকে দিতে হয়েছে।
সাফল্যের জন্য নিবেদন লাগে, লাগে পরিশ্রমও। কিন্তু ছাইভস্মের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখি হয়ে ওড়ার জন্য পরিশ্রম ও নিবেদনের চেয়েও বেশি কিছু লাগে। সেই ‘বেশি কিছু’টা কী, গতকাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেটাই দেখালেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ‘নেভার সে ডাই’ মানসিকতা নিয়ে লড়াই করলেন, তাতে ‘সাহসী’ হয়ে ওঠায় পেলেন ‘ভ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসকে অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়—এসব শব্দেও যেন সঠিকভাবে বোঝানো যায় না। আসলে তাঁর দানবীয় ইনিংসকে বোঝাতে গিয়ে শব্দেরই কমতি পড়ছে। বিশ্বকাপের দুর্দান্ত এক রূপকথার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
জীবন পেলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যে কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন, সেটাই যেন আজ আবার নতুন করে প্রমাণ করলেন। আফগানিস্তানের পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে হারতে থাকা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। একটা পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় ও তাঁর (ম্যাক্সওয়েল) ডাবল
গলফ চায় না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা তার সঙ্গে সখ্য গড়ুক। তা না হলে এই খেলা খেলতে গিয়ে অজি ক্রিকেটারদের তো চোটে পড়ার কথা ছিল না। সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কোয়াডে থাকার পরও খেলা হয়নি জশ ইংলিশের। গলফ খেলতে গিয়েই যে চোটে পড়েন উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
‘বয়স শুধুই একটি সংখ্যা’-বহু ক্লিশে এই কথারই বাস্তব প্রমাণ যেন এবারের বিশ্বকাপে সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেঞ্চুরি করা দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ওয়ার্নার। পাকিস্তানের পর আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। ওয়ার্নারের প
বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আনন্দ করতে গিয়ে গত নভেম্বরে পা ভেঙেছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় পর আবারও মাঠে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
গতকাল শনিবার এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সেই পার্টিতেই অনাকাঙ্ক্ষিত এক দুর্ঘটনায় পড়লেন অস্ট্র্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। পা ভেঙে বসেছেন ‘ম্যাক্সি’।
নিজেদের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দর্শক হিসেবে থেকে গেল অস্ট্রেলিয়া। আর বর্তমান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এখনও কিছু জানাননি। তবে রিকি পন্টিং যেন এক ধাপ এগিয়ে ভেবে রেখেছেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ভবিষ্যৎ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মনে করছেন পন্টিং।