ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষার মর্যাদা আদায়ের লড়াইয়ে শহীদ ১১ জনকে রাজশাহীতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে। শিলচর শহীদ দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা পরিবর্তন
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সকল সংকটময় মুহূর্তে তরুণেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে গোষ্ঠীতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি-বৈষম্যসহ নানাবিধ সমস্যা সংকটে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে একটা নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরেও একুশে ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন বিষয়টি আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ, আজকেও আমাদের কাছে এর আবেদন বহমান, আজকেও আমাদের ডাকে, আমাদের মনে এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেন করে? সে কি শুধু এ কারণেই করে যে, বাংলা ভাষা শিক্ষার সর্বস্তরে প্রযুক্ত হয়নি? স
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ছিলেন একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ছেলের কাছে মায়ের যতনে লেখা চিঠি। জানতে চাওয়া—‘খোকা তুই কবে আসবি? কবে ছুটি?’ খোকা আসেনি। ফাগুনরঙা এক বিকেলে লুটিয়ে পড়ে পথে। পিচের বুকে শিমুল-পলাশের লালে মিশে যায় খোকার খুন। সেই খুনে গজিয়ে ওঠে বর্ণমালা অ আ ক খ। এই তো এই দিনে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে।
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে হইচই আর সাদাকালো পোশাক নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। তারপর আবার পরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নীরবতা। মাঝখানে পয়লা বৈশাখে আবার বাঙালিত্ব জেগে ওঠে। লাল-সাদা পোশাক নিয়ে পান্তা-ইলিশ। এতে দোষের কিছু নেই; বরং সংস্কারমুক্ত দুটো বিষয় বাঙালিদের অল্প সময়ের জন্য হলেও এক ও ধর্মনিরপেক্ষ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও সাম্যবাদী চিন্তক যতীন সরকার। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পাকিস্তানের জন্মম
ভাষা আন্দোলনের সাত দশক পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার ৭৩ শতাংশেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালনে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে কাজ চালাতে দেখা যায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। অন্যদিকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৮৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ ম
সকালের সভাটি আমতলায় হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দরজা দিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার মিছিলগুলো বেরিয়েছিল একের পর এক, সে কথা আগেও বলেছি। সামনের রাস্তায় পুলিশের নৃশংসতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেতরের ছোট দরজা পেরিয়ে সবাই প্রথমে মেডিকেল কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন এবং এরপর মেডিকেলের ভেতর দিয়ে পরিষদ ভবনের
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো তৈরি হয়নি কোনো শহীদ মিনার। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
এ কথা সত্য যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার ব্যাপারে ২০ ফেব্রুয়ারি (১৯৫২) রাতে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড়ে ১১ জন ছাত্রনেতার বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভাষা আন্দোলনের গবেষকদের কেউ কেউ অবশ্য বলার চেষ্টা করেন, সে সময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন; তাই ওই ১১ জনের বৈঠক না হলেও কিছু
জাতিগতভাবে আমরা বহন করছি ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলনের একটা অংশজুড়ে ছিলেন নারীরা। ভারতের মানভুমে (বর্তমান পুরুলিয়া) ১৯১২ সালে শুরু হয়েছিল বাংলা ভাষার আন্দোলন। ১৯৫৬ সালে তা সফল হয়। সেই ধারাবাহিক আন্দোলনে ১৯৫৪ সালে হয়েছিল টুসু সত্যাগ্রহ।
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ফেব্রুয়ারি মাস এলে আমরা আবেগদীপ্ত হই। স্মরণ করি, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের নানা ঘটনা এবং এই ইতিহাসনির্মাতাদের। সময়-সময় নকলদের ভিড়ে আসল নামগুলো বিস্মৃত হতেও দেখা যায়।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে বাঙালি যে গৌরবের সমাচার তৈরি করেছে, তা তুলনাহীন। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি হেঁটেছে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশের মানুষ নবীন রাষ্ট্রকে উন্নত করতে ছিল ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ভাষার প্
উনিশ শতকের শেষে এবং বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলমান এক অদ্ভুত ভাষা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। ধর্মের ভাষা আরবি, সংস্কৃতির ভাষা ফারসি, ভারতের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ভাষা উর্দু, রাজভাষা ইংরেজি এবং মাতৃভাষা বাংলা। কোনটা রেখে কোনটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সে প্রশ্নে খানিকটা বিহ্বল হয়েছিল বাঙালি।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ভাষার প্রশ্নটি সামনে এসে গেল, গড়ে উঠল ইতিহাস। কিন্তু সে ইতিহাস আলোচনার আগে একটু বুঝে নেওয়া দরকার, বাংলা ভাষাকে কী চোখে দেখত সে কালের অভিজাতশ্রেণি। কেন বাংলা ভাষা নিয়ে সংশয় কাটাতে পারছিল না সাধারণ বাঙালি।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পটভূমি তৈরি হয়েছিল আরও অনেক আগেই। ভাষা-বিতর্ক চলছিল। সে সময় যাঁরা ভাষা-বিতর্কে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন, আবদুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভাষা প্রসঙ্গে তাঁর সেই লড়াই নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।