‘দুঃখ পিছু ছাড়ছে না। ঘরে বন্যার পানি ঢুকায় আট দিন ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। সঙ্গে মেয়ের তিন সন্তান রয়েছে। ছেলেমেয়ে ঢাকায় থাকে। গত আট দিনে তিনবার ভাত খেয়েছি, বাকি বেলা চলেছে চিড়া-মুড়ি খেয়ে। নাতিদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ঘরে এখনো কোমরপানি। তা কমতে আরও ৫-৭ দিন সময় লাগবে।’
টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো।
টানা পাঁচ দিন যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে কাজীপুর পয়েন্টে ৯৩ ও শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৯০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তাতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এবারের বন্যায় ফুলপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ২৪ হাজার মানুষ। আজ বুধবার সকালে সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ভাটপাড় ও সিংহেশ্বর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পানি কমছে। মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ার বিষয়টা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম। এ নিয়ে এই তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তবে নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে সেখানকার পানি। বানভাসিরা জানিয়েছেন, সুপ
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে সদর ও নকলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীসহ জেলায় আমন ধান-সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড় শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ। পানিব
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের ১২টি জেলা। বন্যাকবলিত এলাকার কিছু পরিবারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পাঠকবন্ধু। সংগঠনটির সদস্যদের সংগ্রহ করা অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে বিতরণ করা হয়।
ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গত সেপ্টেম্বরে বন্যাকবলিতদের জন্য উত্তোলন করা নগদ অর্থের মধ্যে অবশিষ্ট ৮ কোটি টাকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা উত্তরবঙ্গের বন্যায় খরচ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। এদিকে তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে লালমনিরহাটে
যশোরের কেশবপুরে বন্যার পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় করে লাশ নেওয়া হয়েছে কবরস্থানে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানেও পানি থাকায় পাশের উঁচু জায়গায় লাশ দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩। এখনো নিখোঁজ আছেন অন্তত ৮৯ জন মানুষ। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় চলমান ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৫ জনে। দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ) গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি
মৌলভীবাজারে বন্যার পরে খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। ধান ও শীতকালীন সবজিরখেতে সেচ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
ভয়াবহ বন্যার পানিতে এখনো গ্রামের পর গ্রাম ডুবে রয়েছে লক্ষ্মীপুরে। কিছু এলাকার পানি সামান্য কমলেও এখনো পানিবন্দী জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পর প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ঘরে ফিরলেও এখনো প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বানভাসি এসব মানুষের অভিযোগ, তারা পর্যাপ্ত ত্রাণও পাচ
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম মানিক। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে একই ইউনিয়নের সমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। পরে ছোটখাটো ব্যবসার পরিকল্পনা করেন শহিদুল। পুঁজি হিসেবে শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া হয় কয়েক লাখ টাকা। আরও কয়েকটি এন
কুমিল্লায় পানি কমতে থাকায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। বাড়িঘর পরিষ্কার করার পাশাপাশি আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো আসবাব নিয়ে নিজের ঘরে ফিরছে। ঘরদোর ঘষামাজা করতে দেখা যায় অনেককে।