ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম। এ নিয়ে এই তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তবে নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে সেখানকার পানি। বানভাসিরা জানিয়েছেন, সুপ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী ও নেতাই নদীর পানি বেড়ে ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে দুই জেলার দুই শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পানির তোড়ে কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছে। ভেঙে গেছে অনেক এ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১৭ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার অন্তত ৮৫ হাজার মানুষ।
তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড় শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ। পানিব
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহে জেলার সিমাস্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। তাতে চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের, সবজি খেত ও বোরো ধানের বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। ভৈরব, কালীগঙ্গা ও চিত্রা নদীর পাড়ে বসবাস করা মানুষের ভিটেবাড়ির ওপর চলছে জোয়ার-ভাটা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্যার কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মহাসড়কের কিছু জায়গা এবং সংযোগ সড়ক পানিতে প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ দশা। শুধু মহাড়ক নয়, এই অঞ্চলের জেলাগুলোর অন্যান্য সড়ক ও রেল যোগাযোগও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। এ অচলাবস্থার কারণে সড়ক-মহাসড়কে এখন হাজার হাজার পণ্যবাহী গাড়
ভারতের মিজোরাম ও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। পানিতে হ্রদের তীরবর্তী ১০ হাজারের অধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাওড়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে আর কোনো গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়নি।
কয়েক দিন ধরে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে কুমিল্লার গোমতী নদীতীরের বাসিন্দাদের। সময়ে সময়ে বিভিন্ন মসজিদ থেকে দেওয়া হয় সতর্ক থাকার ঘোষণা। স্থানীয় মানুষের মধ্যে গোমতীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ধসে গিয়ে লোকা
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেন তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
টানা ও ভারী বৃষ্টিতে ১৬ আগস্ট থেকে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। সঙ্গে পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে আটকা পড়েছেন ২৮০ জন পর্যটক। দীঘিনালা উপজেলার লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব জায়গার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরে ঘরবন্দী
কুমিল্লায় গত চার দিন টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কুমিল্লা উপজেলাসহ দেবীদ্বার ও বুড়িচং এলাকার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অনেক এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি উঠেছে বসতবাড়িতে। ভেসে গেছে কয়েক শ মাছের ঘের, শাকসবজি ও আমন ধানের বীজতলা। পানিবন্দী হয়ে বিপাকে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। জলাবদ্ধ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৭৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১৭টি অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। দেড় মাসের মধ্যে পরপর তিন বার বন্যার কবলে পড়েছে এ দুই উপজেলা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজারো মানুষ।
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি এখনো থামেনি।