ডিপ্লোমা পাশ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন জেএম রিয়াজ মোর্শেদ। একসময় চাকরি ছেড়ে শুরু করেন চাষাবাদ। এখন মন দিয়েছেন ড্রাগন চাষে। এখন তাঁর বাগানে গেলে গাছে গাছে ঝুলতে থাকা ড্রাগন ফল আর রিয়াজের মুখের হাসিই আপনাকে বলে দেবে চাকরি ছেড়ে মোটেই ভুল করেননি এই যুবক।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলও চাষ হচ্ছে। উৎপাদিত ফল স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে জেলার বাইরে।
ফরিদপুরে বিদেশি ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ উদ্যোক্তাদের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল। এ ছাড়া বিদেশি জাতের আঙুর ও মাল্টার চাষ হচ্ছে। তবে এগুলো অনেকে পরীক্ষামূলক চাষ করলেও সফলতা পেয়েছেন।
এক হাজার কংক্রিটের খুঁটিতে লাগানো হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। এসব গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হাজারো হলুদ ও লাল রঙের ফল। ঘুরে ঘুরে পরম যত্নে এ ড্রাগন বাগানের পরিচর্যা করছেন স্নাতক পড়ুয়া মেহেদী হাসান রাজু। পড়াশোনার ফাঁকে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর এ পরিশ্রম। আর প্র
বছর দু-এক আগের কথা। ইউটিউব দেখেই শেখা হয় ড্রাগন ফল চাষের খুঁটিনাটি। এরপর শখের বসে ১০০ পিলার দিয়ে শুরু হয় চাষ। শুরুতে শখ হলেও এখন প্রায় সাত বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেন ড্রাগন ফল। নিজের ড্রাগন ফল চাষি হয়ে ওঠার পেছনের কথাগুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসমা বেগম।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন টিলায়, বাড়ির আঙিনা ও ছাদে ড্রাগন চাষ করছেন মানুষ। ক্যাকটাস জাতীয় বৃক্ষ ড্রাগন মূলত ‘বেটা কেরোটিন ও ভিটামিন সি’ সমৃদ্ধ সুস্বাদু ও উচ্চ ফলনশীল ফল। শাঁস গাঢ় গোলাপি রঙের দানাযুক্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ এই ফল চাষাবাদে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
দুই সহপাঠী মাজহারুল কবীর ও মালেক শিকদার। পড়াশোনা করতেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মালেক লেখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ড্রাগন ফলের চাষ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেই প্রায় সময় মালেক নিজের ড্রাগন ফলের বাগানের গল্প শোনাতেন। বন্ধুর মুখে গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন মাজ
কয়েক বছর আগেও ড্রাগন ফল বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে দেশে চাষ বাড়ার কারণে এটি দেশি ফল হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এই ফল চাষ করে অনেকেই সফলতা পেয়েছেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর কাজী। ২০১৫ সালে প্রথমে প্রদর্শনী হিসেবে ড্রাগন ফলের চাষ করলেও এখন তিনি
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রাতের আঁধারে প্রায় ৪০০ ড্রাগনগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় বাগানের মালিক বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
চাকরি নয়, চাচ্ছেন উদ্যোক্তা হতে। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবে বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ দেখা শুরু করেন। সেখান থেকে ধারণা নিয়ে ও অন্যের বাগান দেখে নিজেদের জমিতে রোপণ করেন ড্রাগন ফলের গাছ। বছর ঘুরতেই ফল এসেছে বাগানে। আর সপ্তাহখানেক পরে পরিপক্ব ফল যাবে বাজারে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইদিলকাঠী গ্রামের পারভেজ মাহমুদ সংযুক্ত আরব-আমিরাতের চাকরিতে ফিরে না গিয়ে দেশেই থেকে যান। এখন ড্রাগন চাষে আশার আলো দেখছেন তিনি।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় মো. মশিউর রহমানের খেতে ড্রাগনের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন মণ ড্রাগন ফল তুলছেন তিনি। তবে এ বছর এক শ মণ ড্রাগন তুলতে পারবেন বলে জানান মশিউর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, গত মৌসুমে মানিকছড়িতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছিল ৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর আরও ২ হেক্টর বেশি জমিতে এর চাষ হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ টন। প্রতি কেজি ড্রাগন গড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় শুরু হয়েছে ড্রাগন ফলের চাষ। উপজেলায় এ পর্যন্ত সাতটি ড্রাগনবাগান সম্পূর্ণ সরকারি খরচে সাতজনকে দেওয়া হয়েছে। ড্রাগন ফলের চাষ লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক চাষি। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। টক-মিষ্টি ও মিষ্টি স্বাদের ড্রাগনের চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন তার। পরীক্ষামূলকভাবে এক একর জমিতে ড্রাগন চাষ করা কৃষকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ফলটির চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।
ড্রাগন চাষে সফলতা পাওয়ায় ও লাভজনক হওয়ায় এই ফল চাষে ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষকেরা। এরই মধ্যে ড্রাগন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। ড্রাগন চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে জেলা কৃষি বিভাগ।
কাপ্তাই হ্রদের জেগে থাকা ছোট ছোট দ্বীপ মিলে গড়ে উঠেছে বন্দুক ভাঙার মুবাছড়ি গ্রাম। এ গ্রামের একটি দ্বীপে শোভা পাচ্ছে রঙিন ড্রাগন ফল।