দুজনই খেলাপাগল পরিবারের মানুষ। শিরায় বইছে ‘ক্রিকেটীয়’ রক্ত। সেই টান থেকেই ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মিচেল স্টার্ক ও অ্যালিসা হিলি। তখন থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবেই পরিচিত তাঁরা। এবার তো অনন্য এক কীর্তিই গড়ে ফেললেন এই তারকা দম্পতি।
শেষ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ-টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় সব দেখে ফেলার আর একটা জিনিসেই হয়তো সবার আগ্রহ ছিল! বিশ্বকাপে আইসিসির সেরা একাদশ। অপেক্ষা বাড়ায়নি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করেছে এবারের বিশ্বকাপের সেরা একাদশ।
প্রথম যেকোনো সাফল্যের আনন্দ একটু বেশিই হয়। অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিং রুমে তাই বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ হলো বাঁধ ভাঙা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে ড্রেসিং রুমে ব্যতিক্রম ধর্মী উদ্যাপন করলেন ম্যাথু ওয়েড-মার্কাস স্টয়নিসরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে দুর্দান্ত ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পুরো আসর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অজি ওপেনার।
শেন ওয়ার্ন-ব্রেট লিরা তো পারলে ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শকে নিয়ে বাজি ধরেন! ওয়ার্নার-মার্শ নিজেরাও বোধ হয় নিজেদের নিয়ে এতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না, যতটা আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়েছিল দুই পূর্বসূরির মুখ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটা ছবি খুব ভাইরাল হয়। ছবিটা আইসিসির সর্বশেষ তিনটি ইভেন্টের ফাইনালে অধিনায়কদের ফটোসেশন নিয়ে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ছিলেন বাবর আজম। সর্বোচ্চ রানের দিক দিয়ে ফাইনালেও তাঁকে টপকে যেতে পারলেন না কেউ। আর ১৬ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অজিরা। আজকের আজ পর্যন্ত একটাই আক্ষেপ ছিল, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপ জিততে না পারা।
আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ বলে ফেবারিটদের তালিকার ধারে কাছেও ছিল না অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। সব ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে ট্রান্স-তাসমানিয়ান দুই প্রতিপক্ষ
২০১৫ সালের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে শেষ চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই ফাইনাল উঠেছে নিউজিল্যান্ড। আগের দুটিতে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেও এবার সুযোগ আছে বিশ্বকাপটা উঁচিয়ে ধরার। আজ তাসমান প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে ক্রিকেটের যেকোনো বৈশ্বিক আসরের প্রথম শিরোপা হাতে তোলার সুযোগ পাবে নিউজিল্যান্
জমজমাট দুই সেমিফাইনাল দেখে কে বলবে, তার আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ সেভাবে রোমাঞ্চের ছাপ রাখতে পারেনি। আজ দুবাইয়ে সে রকমই আরেকটি লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ফাইনালের আগে দর্শকদের হতাশ করছেন না অ্যারন ফিঞ্চও। ফাইনাল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক নিজেই রোমাঞ্চ অনুভব করছেন। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বক
আরও একটি ‘অল অস্ট্রেলিয়া’ মহারণ দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। দুটি দলই একই মহাদেশের। একই রকম উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। অন্য মহাদেশের উইকেটে দুই দেশের লড়াইটা সমানে সমানেই হবে।
আইসিসি একাডেমি মাঠে গতকাল বিকেলে অস্ট্রেলিয়া দলের অনুশীলন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর নিউজিল্যান্ড যখন এল, সূর্যটা ডুবতে চলেছে পশ্চিম আকাশে। ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুশীলন শুরুর আগে কিউইরা গা গরম করে নিল রাগবি খেলে।
বড় ম্যাচে স্নায়ুচাপ কীভাবে ধরে রাখতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কেউ ভালো জানে না। সে কারণেই তো অজিরা ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম দল। রিচি বেনো থেকে অ্যালান বর্ডার, মার্ক টেলর থেকে স্টিভ ওয়াহ কিংবা রিকি পন্টিং থেকে মাইকেল ক্লার্করা যেভাবে চুইংগাম চিবোতেন, তাতে প্রবল চাপেও তাঁদের স্বাভাবিক মনে হতো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টস হয়েছে উঠেছে আতঙ্কের আরেক নাম। বিশেষ করে দুবাইয়ে রাতের ম্যাচগুলোতে যে দল টস জিতেছে, তারা ম্যাচও জিতেছে। যেন টস হার মানে ম্যাচ হার!
ক্রীড়া ডেস্ক ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আবারও শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। দুই দলের কেউই এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেনি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফেবারিটও ছিল না কোনো দল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জ্বর ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ৩৫ ঘণ্টা থাকতে হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে)। কঠিন এই পরিস্থিতিতে তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিলেন