‘টিকার শিশিতে মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা রয়েছে। আবার কোন জটিলতা দেখা দেয়, এই আশঙ্কায় আমি টিকা নিইনি। আমার পরিচিত আরও ১৫ জন মানুষ টিকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। একটা চিঠির ওপর ভিত্তি করে আমি কীভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নেব?’
আগামী মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে দেশ মজুত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার মেয়াদ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও এখনো টিকার বাইরে কয়েক কোটি মানুষ। এই অবস্থায় আগামীকাল বুধবার
যশোরের মনিরামপুরে করোনার টিকার তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। বুস্টার ডোজে আগ্রহ থাকলেও স্বাস্থ্য সহকারী ও তাঁর শিক্ষক স্বামীর অসহযোগিতায় টিকা না নিয়ে ফিরতে হয়েছে অনেককে। আবার অনেকে টিকা পেলেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন স্ব
সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশের কোনো দেশেই এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো নিশ্চিত রোগী এমনকি সন্দেহভাজন কাউকেও শনাক্ত করা হয়নি। তবে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই পূর্ব আফ্রিকা এবং মধ্য আফ্রিকার...
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি গণটিকা ক্যাম্পেইনের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার আব্দুর রহমান (২৬)। ঠিক এক মাস পর নেন দ্বিতীয় ডোজ।
নওগাঁয় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষ নিয়েছেন। জেলায় বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ লাখ ৫২ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া
অব্যস্থাপনার মধ্য দিয়ে খুলনায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। প্রথম দিন টিকাকেন্দ্রগুলোতে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ছিল না কোনো সমাজিক দূরত্বও। দীর্ঘ সারিতে গায়ে গা ঘেঁষে তাদেরকে দাঁড়াতে ও ঠেলাঠেলি করতে দেখা গেছে।
এক দিনে করোনাভাইরাসের টিকার এক কোটি ডোজ দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইনে জেলার ৭০১টি কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। টিকাপ্রত্যাশীদের গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
একদিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আজ শনিবার সারা দেশে চলছে বিশেষ গণটিকা ক্যাম্পেইন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় কেন্দ্রগুলোতে টিকাদানের সক্ষমতা কম হওয়ায় ক্যাম্পেইনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আরও দুদিন বাড়িয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই গণটিকা কার্যক্রম।
করোনা প্রতিরোধী টিকা না দিলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দোকানের কর্মচারীদের টিকা নেওয়া আছে, এমন একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেবেন দোকানে। এটা দেখাতে হবে। আর টিকা ছাড়া কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে না।’
কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো বঙ্গোপসাগরের দুবলারচরে অবস্থান করা জেলেদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুবলারচরের আলোরকোলে এই কার্যক্রম শুরু হয়। দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের আয়োজনে ১৪ হাজার জেলেদের এক ডোজের এই টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শিক্ষার্থীদের গণটিকা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়ম রয়েছে যখন টিকা দেওয়া হবে, ঠিক তখনই ভায়াল (বোতল) থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে ওষুধ বের করে টিকা গ্রহণকারীর শরীরে দিতে হবে, যাতে টিকার কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন থাকে। কিন্তু টিকা দেওয়ার এ নিয়ম মানা হয়নি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই টিকা নেননি। যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতাও কম। এই অবস্থায় আমরা সবাইকে আহ্বান করছি, সবাই করোনার টিকা নিন, নিজেকে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখুন
যশোরের চৌগাছায় এখনো যাঁরা করোনার টিকা নেননি, তাঁদের বাড়ি থেকে ধরে এনে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ মঙ্গলবার থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। উপজেলার পাতিবিলা ও জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১৮টি ওয়ার্ডে গণটিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ অভিযান শুরু হচ্ছে।
যশোরের শতভাগ মানুষকে করোনার টিকার আওতায় আনতে গণটিকার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। দুই দিনে ১০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরুও করেন তাঁরা। সময় বাড়িয়ে চার দিন এ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা হলেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
মাগুরায় গণটিকার পর শুরু হয়েছে রাস্তায় করোনার টিকা দেওয়া কার্যক্রম। মাগুরা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সহযোগিতা করছে মাগুরা পৌরসভা।