১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা বাতিল করেছে সরকার। আজ সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ (এসআরও) জারি করেছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ হিসেবে পরিচিত বহুল বিতর্কিত অনিবন্ধিত আয় বৈধ করার বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থনীতিতে কালোটাকা তৈরি হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এমন অভিপ্রায় জানিয়ে তিনি বলেছেন, দেশে যাতে কালোটাকা তৈরির পথ বন্ধ হয়, সে চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে কালোটাকা সাদা করার সুযোগও দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে চল
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার রেখেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারকে তা বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
ছোটখাটো কয়েকটি সংশোধনীর মধ্য দিয়ে আগামী শনিবার পাস হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থবিল। নানান সমালোচনার মধ্যেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা, পুঁজিবাজারের গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার হচ্ছে না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতা করে জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন জাতীয় পার্টির এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত এবং যাঁরা কর দেন না, তাঁদের উৎসাহিত করা
অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। সেটাকে ঘিরে সমালোচনা থামছেই না। রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, কালোটাকা বৈধ করার এই সুযোগের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হচ্ছে। এতে সৎভা
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জমি, এপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াকে ‘বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী’ সিদ্ধান্ত বলে সাধুবাদ জানিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে সরকার। সেই কর আরও কমানোর দাবি সংসদে তোলা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এটাকে কালোটাকা না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলে দাবি করেছেন।
বৈধ উপায়ে উপার্জনকারীদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ আয়করের বিপরীতে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ অর্থ বা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। এই সুযোগকে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই সুযোগের পেছনে যুক্তি দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতু
বৈধ উপায়ে উপার্জনকারীদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। অথচ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ অর্থকে বৈধ করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই বিধানকে ‘বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা সাদা বা বৈধ করার সুযোগ রাখা হচ্ছে আগামী অর্থবছরে। একইসঙ্গে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে। একেক এলাকার জন্য বর্গফুট অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিতে হবে।
আগামী ১০ বছরের জন্য বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এ ছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনকে তহবিল প্রদানের মাধ্যমে আবাসন খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ বা কালোটাকা সাদা করার সুবিধা দিয়েছিল সরকার। সে বছর এ খাতে প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ এসেছিল বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। পরের অর্থবছর থেকে এ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা কালো রুপি উদ্ধারের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায় নিয়মিতই উদ্ধার করছে প্রচুর কালো রুপি। পাশাপাশি উদ্ধার করা হচ্ছে স্বর্ণালংকার এবং বিপুল পরিমাণ...
কালো টাকা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যের একদিন পর এর ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রত্যাশা অনুযায়ী অপ্রদর্শিত অর্থ (কালোটাকা) বিনিয়োগে না আসায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ সুবিধা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল