নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে সরকার। সেই কর আরও কমানোর দাবি সংসদে তোলা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এটাকে কালোটাকা না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কালোটাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি করেন কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি সোহরাব উদ্দিন।
সোহরাব উদ্দিন বলেন, অর্থ পাচারের কারণে ডলার সংকট হচ্ছে। অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া না হলে অর্থ পাচার বন্ধ হবে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আসলে এটা ভুল তথ্য। কালোটাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে, তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।
সোহরাব উদ্দিন বলেন, ১৫ শতাংশ কর অনেক বেশি। এই হারে অনেকে অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শন করবে না। ১৫ শতাংশ কর দিতে হলে অপ্রদর্শিত আয় কমাতে হবে। তাহলে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রদর্শন বেশি হবে। রাষ্ট্রের ট্যাক্স আসবে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আরও সুযোগ দেওয়া যায়। আগে এটি ছিল। ইন্ডাস্ট্রি করতে জমি, মেশিনারিজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যায়। এতে শিল্প বাণিজ্যের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন, ২০১৭–১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকার নিয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরে এই ঋণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সরকারের উচিত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ কম নিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়তে দেওয়া।
সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্য অনেক কমেছে। কিন্তু কোভিড–১৯, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক কারণে এখন মধ্যবিত্তের অনেকের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে টিসিবির ট্রাকে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করা হয়। মধ্যবিত্তদের অনেকে এখানে দাঁড়াতেও লজ্জা বোধ করেন। মধ্যবিত্তের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো প্রকল্প নেওয়া হলেই আগে গাড়ি কেনা হয়। এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জুন মাস এলে তড়িঘড়ি করে টাকা তোলা হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, ‘কিছু বুদ্ধিজীবী আর তথাকথিত বিরোধী দল টক শোতে যা খুশি তা বলেন। একজন ব্যারিস্টার তাকে সেই মুখরা নারী বশীকরণ নাটক দেখানো দরকার। যার মুখে মিষ্টি নেই মনে হয়, মধু খাওয়ায়নি। মরণচাঁদের এক কেজি মিষ্টি পৌঁছে দিতে পারতেন। বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির ভাষায় কথা বলেন। অপরিপক্ব অশিক্ষিত একজনের কাছে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। যে কারণে বাস্তবায়ন হয় না।’
এদিকে বিমানবন্দরে প্রবাসফেরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন সরকার দলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যখন দেশে আসেন, আমি অনুরোধ করব বিমানবন্দরে তাঁদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সকল প্রবাসীদের সম্মানের সহিত দেশে আনতে হবে।’
বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান করছে না বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যে কাজগুলো করলে সমাজ কলুষিত হবে, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্র ধ্বংস হবে—সেই শক্তিগুলো যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের সিভিল বাবুরা অনেক আনন্দে দিন কাটায়। তাদের প্রতি স্পষ্ট কথা আপনারা সমালোচনা করেন, সেটা আমরা সহ্য করি, সরকারি দলে আছি চামড়া অবশ্যই আমাদের মোটা, সমালোচনা ধারণ করতে পারি। আপনাদের ন্যায্য কথাকে বঙ্গবন্ধুকন্যা গ্রহণ করেন।’
১৯৭৫–পরবর্তী সময়ে দেশের সিভিল সোসাইটি সামরিক শাসকদের সঙ্গে ছিল বলেও উল্লেখ করেন স্বপন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে সরকার। সেই কর আরও কমানোর দাবি সংসদে তোলা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এটাকে কালোটাকা না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কালোটাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি করেন কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি সোহরাব উদ্দিন।
সোহরাব উদ্দিন বলেন, অর্থ পাচারের কারণে ডলার সংকট হচ্ছে। অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া না হলে অর্থ পাচার বন্ধ হবে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আসলে এটা ভুল তথ্য। কালোটাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে, তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।
সোহরাব উদ্দিন বলেন, ১৫ শতাংশ কর অনেক বেশি। এই হারে অনেকে অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শন করবে না। ১৫ শতাংশ কর দিতে হলে অপ্রদর্শিত আয় কমাতে হবে। তাহলে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রদর্শন বেশি হবে। রাষ্ট্রের ট্যাক্স আসবে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আরও সুযোগ দেওয়া যায়। আগে এটি ছিল। ইন্ডাস্ট্রি করতে জমি, মেশিনারিজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যায়। এতে শিল্প বাণিজ্যের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন, ২০১৭–১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকার নিয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরে এই ঋণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সরকারের উচিত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ কম নিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়তে দেওয়া।
সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্য অনেক কমেছে। কিন্তু কোভিড–১৯, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক কারণে এখন মধ্যবিত্তের অনেকের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে টিসিবির ট্রাকে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করা হয়। মধ্যবিত্তদের অনেকে এখানে দাঁড়াতেও লজ্জা বোধ করেন। মধ্যবিত্তের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো প্রকল্প নেওয়া হলেই আগে গাড়ি কেনা হয়। এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জুন মাস এলে তড়িঘড়ি করে টাকা তোলা হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, ‘কিছু বুদ্ধিজীবী আর তথাকথিত বিরোধী দল টক শোতে যা খুশি তা বলেন। একজন ব্যারিস্টার তাকে সেই মুখরা নারী বশীকরণ নাটক দেখানো দরকার। যার মুখে মিষ্টি নেই মনে হয়, মধু খাওয়ায়নি। মরণচাঁদের এক কেজি মিষ্টি পৌঁছে দিতে পারতেন। বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির ভাষায় কথা বলেন। অপরিপক্ব অশিক্ষিত একজনের কাছে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। যে কারণে বাস্তবায়ন হয় না।’
এদিকে বিমানবন্দরে প্রবাসফেরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন সরকার দলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যখন দেশে আসেন, আমি অনুরোধ করব বিমানবন্দরে তাঁদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সকল প্রবাসীদের সম্মানের সহিত দেশে আনতে হবে।’
বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান করছে না বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যে কাজগুলো করলে সমাজ কলুষিত হবে, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্র ধ্বংস হবে—সেই শক্তিগুলো যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের সিভিল বাবুরা অনেক আনন্দে দিন কাটায়। তাদের প্রতি স্পষ্ট কথা আপনারা সমালোচনা করেন, সেটা আমরা সহ্য করি, সরকারি দলে আছি চামড়া অবশ্যই আমাদের মোটা, সমালোচনা ধারণ করতে পারি। আপনাদের ন্যায্য কথাকে বঙ্গবন্ধুকন্যা গ্রহণ করেন।’
১৯৭৫–পরবর্তী সময়ে দেশের সিভিল সোসাইটি সামরিক শাসকদের সঙ্গে ছিল বলেও উল্লেখ করেন স্বপন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে