অলকানন্দা রায়, ঢাকা
দেশ রক্ষায় যত প্রাণ বলিদান হয়েছে এবং যাঁরা সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জীবনবাজি রেখেছিলেন ১৯৭১ সালে, সেই মহান মুক্তিসৈনিকদের বীরত্বের প্রামাণিক উপকরণের সংগ্রহ যেখানে রাখা আছে, সেটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এ জাদুঘরে আছে কেবলই মুক্তিযুদ্ধের কথা, ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা জিনিসপত্র। এত দিন এসব দেখতে সরাসরি যেতে হতো আগারগাঁওয়ে। তবে এখন সরাসরি না গিয়ে দেশের বা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
৫০ বছর পেরোনো এ দেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস সবাইকে খুব সহজে জানানোর উদ্দেশ্যে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ উদ্বোধন করেছে এর ভার্চুয়াল অংশ। এ-সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়লে লকডাউনে চলে যায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরবন্দী হয়ে পড়ে সবাই। বন্ধ হয়ে থাকে আর সব প্রতিষ্ঠানের মতো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটিও। এ সময়ই ভাবনায় আসে ভার্চুয়াল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করার বিষয়টি। এর রূপকার হিসেবে এগিয়ে আসে অলিক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ভালোবেসে নামমাত্র মূল্যে তৈরি করে দেয় ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ঘুরে দেখার এই ভার্চুয়াল জাদুঘরটি।’
ঘরবন্দী মানুষ বা যারা চাইলেও সহজে চলে আসতে পারবে না জাদুঘর দেখতে, তারা একটি ক্লিকের মাধ্যমে www. liberationwarmuseumbd.org ঠিকানায় ঢুকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখতে পাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি। তারা যেন অনলাইনে বসে দেখে সমৃদ্ধ হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অনেক কিছু জানতে পারে, সে ভাবনা থেকে এই প্রচেষ্টা। এ ছাড়া অনলাইনভিত্তিক সব কার্যক্রমেই এই প্রজন্মের তরুণদের আগ্রহ বেশি। এটিও একটি বিষয়।
যা আছে ভার্চুয়াল জাদুঘরে
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনটিতে রয়েছে চারটি গ্যালারি। এ চারটি গ্যালারিতে যা যা আছে তার সবই হুবহু দেখতে পাওয়া যাবে এর ভার্চুয়াল অংশে।
গ্যালারি-১
আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম
এই গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত নানা ঘটনার প্রামাণিক বিভিন্ন উপকরণ।
গ্যালারি-২
আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ
এখানে স্থান পেয়েছে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনার বিভিন্ন উপকরণ। অসহযোগ আন্দোলন, অপারেশন সার্চলাইট, স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ, সংগঠিত প্রতিরোধ, গণহত্যা ইত্যাদির ঐতিহাসিক দলিল আছে এখানে।
গ্যালারি-৩
আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র
এই গ্যালারিতে আছে একাত্তরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত উদ্বাস্তুদের জীবন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংগঠিত কাঠামো, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী, জনপ্রশাসনিক কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক সমর্থনের দলিলাদি।
গ্যালারি-৪
আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ
এই গ্যালারির টাইমলাইনে আছে আগস্ট থেকে ১৬ ডিসেম্বরের বিভিন্ন ঘটনার প্রামাণ্য ইতিহাসের বিভিন্ন উপকরণ। যেমন নৌ-কমান্ডো, বিলোনিয়ার যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা সেকশন, নারী নির্যাতন, বুদ্ধিজীবী হত্যা, মিত্রবাহিনীর যোগদান, আত্মসমর্পণ ইত্যাদি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ঢুকলে প্রথমেই আসবে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য নিয়ে একটি পেজ। ওয়েবসাইটের প্রথমেই চারটি ছবিতে যুদ্ধের সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবির পাশাপাশি দেখা যাবে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত দেশের উদ্বাস্তুদের দুর্বিষহ জীবনের প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়া এসব ছবির নিচের বিভাগগুলোতে জানা যাবে ৯ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনাবলি। পেজটির নিচের অংশে আছে ছয়টি ভিডিও। এসব ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়গুলো জানালেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আইটি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর হাসিবুল হক ইমন।
যা আছে ওয়েবসাইটে
হাসিবুল হক ইমন জানান, জাদুঘরের সব ধরনের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে ‘অ্যাবাউট মিউজিয়াম’ অপশনে। এই অংশে ক্লিক করলে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নাম-পরিচয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যাবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বইয়ের তালিকা ও প্রচ্ছদও দেখা যাবে। ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ অপশনে জানা যাবে মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও যুদ্ধে তাঁদের সাফল্যের ইতিহাস। আর্কাইভে সবার ওপরে আছে টুডে ৭১। এখানে ক্লিক করে দেখে নেওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি এবং সেই সময়কার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো। ফটো আর্কাইভে ক্লিক করে দেখা যাবে ছবি, গণহত্যা ও নৃশংসতার দলিল।
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও জানা যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সম্পর্কে। www.facebook.com/liberationwarmuseum.official/
পেজ থেকে জানা যাবে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবরাখবর এবং বিষয়ভিত্তিক নানা কার্যক্রম সম্পর্কে। জাদুঘরটির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও আছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপেও এই সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
যেভাবে দেখা যাবে ভার্চুয়াল জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ঢুকে পাওয়া যাবে ভার্চুয়াল ট্যুর নামে একটি ট্যাব। এই ট্যাবের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ঘরে বসেই দেখা যাবে জাদুঘরের সবকিছু। এ ছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মাধ্যমেও দেখার সুযোগ রয়েছে পুরো জাদুঘরটি।
দেখার শুরুতে ‘জাদুঘরে প্রবেশ করতে এই আইকনে ক্লিক করুন’ এমন একটি নির্দেশনা বাংলা ও ইংরেজি দুইভাবে দেখা যাবে। ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি আলাদা আইকন থাকবে। প্রতিটি আইকনের আলাদা অপশন রয়েছে।
ওই আইকনগুলোতে ক্লিক করলে সেই সুবিধাগুলো পাবেন দর্শনার্থীরা। জাদুঘরের চারটি আলাদা গ্যালারির জন্য চার রঙের পৃথক আইকন রয়েছে। সেই আইকনগুলোতে ক্লিক করে আলাদাভাবে চারটি গ্যালারি দেখতে পাবেন ভার্চুয়াল দর্শনার্থীরা। গ্যালারির মধ্যে প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আইকন দেওয়া আছে। সেগুলোতে ক্লিক করে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
ভার্চুয়াল জাদুঘরে সশরীরে ঘুরে দেখার রোমাঞ্চ হয়তো পাওয়া যাবে না, তবে জানা হয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
দেশ রক্ষায় যত প্রাণ বলিদান হয়েছে এবং যাঁরা সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জীবনবাজি রেখেছিলেন ১৯৭১ সালে, সেই মহান মুক্তিসৈনিকদের বীরত্বের প্রামাণিক উপকরণের সংগ্রহ যেখানে রাখা আছে, সেটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এ জাদুঘরে আছে কেবলই মুক্তিযুদ্ধের কথা, ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা জিনিসপত্র। এত দিন এসব দেখতে সরাসরি যেতে হতো আগারগাঁওয়ে। তবে এখন সরাসরি না গিয়ে দেশের বা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
৫০ বছর পেরোনো এ দেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস সবাইকে খুব সহজে জানানোর উদ্দেশ্যে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ উদ্বোধন করেছে এর ভার্চুয়াল অংশ। এ-সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়লে লকডাউনে চলে যায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরবন্দী হয়ে পড়ে সবাই। বন্ধ হয়ে থাকে আর সব প্রতিষ্ঠানের মতো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটিও। এ সময়ই ভাবনায় আসে ভার্চুয়াল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করার বিষয়টি। এর রূপকার হিসেবে এগিয়ে আসে অলিক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ভালোবেসে নামমাত্র মূল্যে তৈরি করে দেয় ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ঘুরে দেখার এই ভার্চুয়াল জাদুঘরটি।’
ঘরবন্দী মানুষ বা যারা চাইলেও সহজে চলে আসতে পারবে না জাদুঘর দেখতে, তারা একটি ক্লিকের মাধ্যমে www. liberationwarmuseumbd.org ঠিকানায় ঢুকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখতে পাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি। তারা যেন অনলাইনে বসে দেখে সমৃদ্ধ হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অনেক কিছু জানতে পারে, সে ভাবনা থেকে এই প্রচেষ্টা। এ ছাড়া অনলাইনভিত্তিক সব কার্যক্রমেই এই প্রজন্মের তরুণদের আগ্রহ বেশি। এটিও একটি বিষয়।
যা আছে ভার্চুয়াল জাদুঘরে
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনটিতে রয়েছে চারটি গ্যালারি। এ চারটি গ্যালারিতে যা যা আছে তার সবই হুবহু দেখতে পাওয়া যাবে এর ভার্চুয়াল অংশে।
গ্যালারি-১
আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম
এই গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত নানা ঘটনার প্রামাণিক বিভিন্ন উপকরণ।
গ্যালারি-২
আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ
এখানে স্থান পেয়েছে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনার বিভিন্ন উপকরণ। অসহযোগ আন্দোলন, অপারেশন সার্চলাইট, স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ, সংগঠিত প্রতিরোধ, গণহত্যা ইত্যাদির ঐতিহাসিক দলিল আছে এখানে।
গ্যালারি-৩
আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র
এই গ্যালারিতে আছে একাত্তরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত উদ্বাস্তুদের জীবন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংগঠিত কাঠামো, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী, জনপ্রশাসনিক কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক সমর্থনের দলিলাদি।
গ্যালারি-৪
আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ
এই গ্যালারির টাইমলাইনে আছে আগস্ট থেকে ১৬ ডিসেম্বরের বিভিন্ন ঘটনার প্রামাণ্য ইতিহাসের বিভিন্ন উপকরণ। যেমন নৌ-কমান্ডো, বিলোনিয়ার যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা সেকশন, নারী নির্যাতন, বুদ্ধিজীবী হত্যা, মিত্রবাহিনীর যোগদান, আত্মসমর্পণ ইত্যাদি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ঢুকলে প্রথমেই আসবে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য নিয়ে একটি পেজ। ওয়েবসাইটের প্রথমেই চারটি ছবিতে যুদ্ধের সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবির পাশাপাশি দেখা যাবে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত দেশের উদ্বাস্তুদের দুর্বিষহ জীবনের প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়া এসব ছবির নিচের বিভাগগুলোতে জানা যাবে ৯ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনাবলি। পেজটির নিচের অংশে আছে ছয়টি ভিডিও। এসব ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়গুলো জানালেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আইটি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর হাসিবুল হক ইমন।
যা আছে ওয়েবসাইটে
হাসিবুল হক ইমন জানান, জাদুঘরের সব ধরনের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে ‘অ্যাবাউট মিউজিয়াম’ অপশনে। এই অংশে ক্লিক করলে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নাম-পরিচয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যাবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বইয়ের তালিকা ও প্রচ্ছদও দেখা যাবে। ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ অপশনে জানা যাবে মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও যুদ্ধে তাঁদের সাফল্যের ইতিহাস। আর্কাইভে সবার ওপরে আছে টুডে ৭১। এখানে ক্লিক করে দেখে নেওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি এবং সেই সময়কার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো। ফটো আর্কাইভে ক্লিক করে দেখা যাবে ছবি, গণহত্যা ও নৃশংসতার দলিল।
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও জানা যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সম্পর্কে। www.facebook.com/liberationwarmuseum.official/
পেজ থেকে জানা যাবে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবরাখবর এবং বিষয়ভিত্তিক নানা কার্যক্রম সম্পর্কে। জাদুঘরটির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও আছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপেও এই সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
যেভাবে দেখা যাবে ভার্চুয়াল জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে ঢুকে পাওয়া যাবে ভার্চুয়াল ট্যুর নামে একটি ট্যাব। এই ট্যাবের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ঘরে বসেই দেখা যাবে জাদুঘরের সবকিছু। এ ছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মাধ্যমেও দেখার সুযোগ রয়েছে পুরো জাদুঘরটি।
দেখার শুরুতে ‘জাদুঘরে প্রবেশ করতে এই আইকনে ক্লিক করুন’ এমন একটি নির্দেশনা বাংলা ও ইংরেজি দুইভাবে দেখা যাবে। ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি আলাদা আইকন থাকবে। প্রতিটি আইকনের আলাদা অপশন রয়েছে।
ওই আইকনগুলোতে ক্লিক করলে সেই সুবিধাগুলো পাবেন দর্শনার্থীরা। জাদুঘরের চারটি আলাদা গ্যালারির জন্য চার রঙের পৃথক আইকন রয়েছে। সেই আইকনগুলোতে ক্লিক করে আলাদাভাবে চারটি গ্যালারি দেখতে পাবেন ভার্চুয়াল দর্শনার্থীরা। গ্যালারির মধ্যে প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আইকন দেওয়া আছে। সেগুলোতে ক্লিক করে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
ভার্চুয়াল জাদুঘরে সশরীরে ঘুরে দেখার রোমাঞ্চ হয়তো পাওয়া যাবে না, তবে জানা হয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জেমিনি অ্যাপ চালু করল গুগল। নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে আইফোনে গুগলের এআই টুল ব্যবহার করা যাবে, যা দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা থেকে শুরু করে সৃজনশীল কাজ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও আসছে, যার মাধ্যমে আইফোন ব্যবহারকারীরা সিরি, চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মাধ্যম
৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার জন্য ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে বিশ্বের অন্যতম চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এএমডি। প্রযুক্তি বিশ্বে এআই কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়। বিশেষ করে এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সাফল্য দেখে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ
৫ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৯৮ মিলিয়ন বা ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা
৬ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে মিডরেঞ্জের সেরা পারফর্মিং স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি নিয়ে এসেছে অনার বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। গত ১২ নভেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে, যা ডিভাইসটি অনারের ব্র্যান্ড বা যেকোনো রিটেইল শপে কেনা যাচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে