অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:
বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য জেমিনি অ্যাপ চালু করল গুগল। নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে আইফোনে গুগলের এআই টুল ব্যবহার করা যাবে, যা দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা থেকে শুরু করে সৃজনশীল কাজ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও আসছে, যার মাধ্যমে আইফোন ব্যবহারকারীরা সিরি, চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মাধ্যম
২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার জন্য ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে বিশ্বের অন্যতম চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এএমডি। প্রযুক্তি বিশ্বে এআই কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়। বিশেষ করে এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সাফল্য দেখে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ
৪ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৯৮ মিলিয়ন বা ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা
৫ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে মিডরেঞ্জের সেরা পারফর্মিং স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি নিয়ে এসেছে অনার বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। গত ১২ নভেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে, যা ডিভাইসটি অনারের ব্র্যান্ড বা যেকোনো রিটেইল শপে কেনা যাচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে