রানা আব্বাস
প্রশ্ন: আপনার এত বড় সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ কী?
রোমান সানা: হতাশা, আক্ষেপ থেকে। ১৪ বছর ধরে আর্চারি খেললাম। এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যদি তাঁর স্ত্রী-পরিবার না চালাতে পারে, এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে...।
প্রশ্ন: আপনাদের হাত ধরে আর্চারি পরিচিতি পেয়েছে দেশে। কিন্তু এখানে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আপনার এই আর্থিক দুর্দশা না কাটার কারণ কী?
রোমান: ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। সেটাও ২০২৩ সাল থেকে। এর আগে ছিল ৫০ টাকা দৈনিক ভাতা। ২০১৯ সালে যখন তীর আসে স্পনসর হিসেবে, তখন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিল। র্যাঙ্কিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়কে ৫ ও ৭ হাজার টাকা দিত। তখন আমি টপ হিসেবে ৭ হাজার টাকা পেতাম। আর পদক পেলে এদিক-সেদিক থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা আসত। বছর শেষে হয়তো এক, দেড় লাখ টাকা পেতাম। চিন্তা করুন, এই হচ্ছে অবস্থা। দেশের বাইরে খেলতে গেলে পুরো সফরে পকেটমানি দেয় ১০০ ডলার। দিনপ্রতি গড়ে ১৫ ডলার। এভাবে কত দিন খেলব? আমার নিষেধাজ্ঞার পর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সব চলে গেল। তবু কত কিছু করে নিজেকে ফিরিয়েছি ভালো করে খেলব বলে। যত সঞ্চয় ছিল, সব শেষ। এখন সংসার চালাতে গেলে... আমাকে ঢাকায় থাকতে হবে। দলের সঙ্গে থাকতে পারি না, ৫ হাজার টাকা বেতন। একটি মোটামুটি বাসযোগ্য ভালো বাসাভাড়াও ১০ হাজার টাকার ওপরে। আনসারে বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। ১০-১৫ হাজার যদি বাসা ভাড়া যায়, মায়ের ওষুধ, থাকা-খাওয়া, চলার খরচ...এভাবে যদি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে জীবনযাপন করতে হয়! সবাই বলবে আপনি তাহলে কী আয়-উপার্জন করেছেন, সেসব দিয়ে কী করেছেন। আমি কী-ইবা আয় করেছি?
প্রশ্ন: আপনার চরম আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে, কিন্তু এ সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারকেরা কী ভূমিকা রাখছেন এখানে?
রোমান: দেখুন, কোন ইভেন্ট থেকে ভালো ফল আনিনি? অল্পিম্পিক কোয়ালিফাই করলাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ—বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেটের এত ফল আছে দেখান। অথচ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়া অ্যাথলেটরা সবকিছু পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাদে আমাদের সোনার পদক দেখিয়ে দিন। আজ আমার কষ্টে দিন যায়, সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমি নাকি এত বড় খেলোয়াড়। অথচ ভারতে দুই বছর আর্চারি খেলা একজন খেলোয়াড়কে দেখেন, সুযোগ-সুবিধায় কত পার্থক্য। ১৪ বছর ধরে খেলি, আফসোস হয়। তারা ভালো খেলবে না কেন? পদকপ্রাপ্ত একজন অ্যাথলেটকে কী যত্ন নেয় তারা। আমাদের আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা আছে, তবে খেলোয়াড়দের টাকা নেই।
প্রশ্ন: অবসর নিলেই যে আপনার জীবনের সংকট দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে, সে নিশ্চয়তাও কি পাচ্ছেন?
রোমান: আমার হাতে অনেক অপশন আছে। আনসার আমাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দেয়। জাতীয় পর্যায়ে খেলে বাকি ছয় মাস বাড়িতে থাকলাম। এই যে সময়টা, এ সময়ে যদি আমি রিকশাও চালাই, তবু মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। শুধু বোঝানোর জন্য বলছি। পৃথিবীতে কাজের তো অভাব নেই। তারা আমাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিশ্রমে ৩ হাজার টাকা দেয়। এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো!
প্রশ্ন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি আপনাকে আবার অনুরোধ করা হয় অবসর ভেঙে ফেরার, কী করবেন তখন?
রোমান: আমি অবশ্যই ফিরব, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আমাকে সুযোগ-সুবিধা দেবে, আমি খেলব। এ ছাড়া খেলব না, পরিষ্কার কথা। এই কথাটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমার জীবনে এ রকম পরিস্থিতি আসবে, কথা বলতে হবে—কল্পনাও করিনি।
প্রশ্ন: কেউ কেউ বলছেন, ফর্ম হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন ইরাকের বাগদাদে হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে। সব মিলিয়ে হতাশ আপনি, এ রকম বিষয়ও আসছে।
রোমান: বাগদাদে যেতে পারিনি, আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কোচ যে দল নির্বাচন করে গেছেন, সেই দল বাদ দিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে মিলিয়ে আরেকটা নিয়ে গেছে। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো সবাই জানে না। এগুলো বললে সহ্য করতে পারবে না অনেকেই। আমি রোমান সানা কোনো কোয়ালিফাই ছাড়া গেছি, দেখাক। ট্রায়ালে সেরা পাঁচে থেকেছি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে। দয়ার ভিত্তিতে দলে সুযোগ পাইনি, প্রমাণ প্রতিবছরের প্রতিটি রেজাল্ট শিট। যারা এটা বলে, তাদের প্লিজ রেজাল্ট শিট দেখতে বলবেন। অন্য খেলোয়াড়েরা ভালো না করলেও দলে রাখছেন, তাদের নিয়ে তো এত কথা আসছে না। রোমান সানা চলে গেল, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন পারফরম্যান্স নিয়ে।
প্রশ্ন: আপনার এত বড় সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ কী?
রোমান সানা: হতাশা, আক্ষেপ থেকে। ১৪ বছর ধরে আর্চারি খেললাম। এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে। খরচ বেড়েছে সবকিছুর। একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড় যদি তাঁর স্ত্রী-পরিবার না চালাতে পারে, এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে...।
প্রশ্ন: আপনাদের হাত ধরে আর্চারি পরিচিতি পেয়েছে দেশে। কিন্তু এখানে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আপনার এই আর্থিক দুর্দশা না কাটার কারণ কী?
রোমান: ৩ হাজার টাকা বেতন দেয়। সেটাও ২০২৩ সাল থেকে। এর আগে ছিল ৫০ টাকা দৈনিক ভাতা। ২০১৯ সালে যখন তীর আসে স্পনসর হিসেবে, তখন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিল। র্যাঙ্কিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়কে ৫ ও ৭ হাজার টাকা দিত। তখন আমি টপ হিসেবে ৭ হাজার টাকা পেতাম। আর পদক পেলে এদিক-সেদিক থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা আসত। বছর শেষে হয়তো এক, দেড় লাখ টাকা পেতাম। চিন্তা করুন, এই হচ্ছে অবস্থা। দেশের বাইরে খেলতে গেলে পুরো সফরে পকেটমানি দেয় ১০০ ডলার। দিনপ্রতি গড়ে ১৫ ডলার। এভাবে কত দিন খেলব? আমার নিষেধাজ্ঞার পর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সব চলে গেল। তবু কত কিছু করে নিজেকে ফিরিয়েছি ভালো করে খেলব বলে। যত সঞ্চয় ছিল, সব শেষ। এখন সংসার চালাতে গেলে... আমাকে ঢাকায় থাকতে হবে। দলের সঙ্গে থাকতে পারি না, ৫ হাজার টাকা বেতন। একটি মোটামুটি বাসযোগ্য ভালো বাসাভাড়াও ১০ হাজার টাকার ওপরে। আনসারে বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। ১০-১৫ হাজার যদি বাসা ভাড়া যায়, মায়ের ওষুধ, থাকা-খাওয়া, চলার খরচ...এভাবে যদি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে জীবনযাপন করতে হয়! সবাই বলবে আপনি তাহলে কী আয়-উপার্জন করেছেন, সেসব দিয়ে কী করেছেন। আমি কী-ইবা আয় করেছি?
প্রশ্ন: আপনার চরম আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে, কিন্তু এ সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারকেরা কী ভূমিকা রাখছেন এখানে?
রোমান: দেখুন, কোন ইভেন্ট থেকে ভালো ফল আনিনি? অল্পিম্পিক কোয়ালিফাই করলাম, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়া কাপ—বাংলাদেশের কোন অ্যাথলেটের এত ফল আছে দেখান। অথচ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়া অ্যাথলেটরা সবকিছু পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাদে আমাদের সোনার পদক দেখিয়ে দিন। আজ আমার কষ্টে দিন যায়, সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমি নাকি এত বড় খেলোয়াড়। অথচ ভারতে দুই বছর আর্চারি খেলা একজন খেলোয়াড়কে দেখেন, সুযোগ-সুবিধায় কত পার্থক্য। ১৪ বছর ধরে খেলি, আফসোস হয়। তারা ভালো খেলবে না কেন? পদকপ্রাপ্ত একজন অ্যাথলেটকে কী যত্ন নেয় তারা। আমাদের আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা আছে, তবে খেলোয়াড়দের টাকা নেই।
প্রশ্ন: অবসর নিলেই যে আপনার জীবনের সংকট দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে, সে নিশ্চয়তাও কি পাচ্ছেন?
রোমান: আমার হাতে অনেক অপশন আছে। আনসার আমাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দেয়। জাতীয় পর্যায়ে খেলে বাকি ছয় মাস বাড়িতে থাকলাম। এই যে সময়টা, এ সময়ে যদি আমি রিকশাও চালাই, তবু মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। শুধু বোঝানোর জন্য বলছি। পৃথিবীতে কাজের তো অভাব নেই। তারা আমাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিশ্রমে ৩ হাজার টাকা দেয়। এর চেয়ে তো রিকশা চালানো ভালো!
প্রশ্ন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি আপনাকে আবার অনুরোধ করা হয় অবসর ভেঙে ফেরার, কী করবেন তখন?
রোমান: আমি অবশ্যই ফিরব, তবে শর্ত সাপেক্ষে। আমাকে সুযোগ-সুবিধা দেবে, আমি খেলব। এ ছাড়া খেলব না, পরিষ্কার কথা। এই কথাটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমার জীবনে এ রকম পরিস্থিতি আসবে, কথা বলতে হবে—কল্পনাও করিনি।
প্রশ্ন: কেউ কেউ বলছেন, ফর্ম হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন ইরাকের বাগদাদে হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে। সব মিলিয়ে হতাশ আপনি, এ রকম বিষয়ও আসছে।
রোমান: বাগদাদে যেতে পারিনি, আমাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কোচ যে দল নির্বাচন করে গেছেন, সেই দল বাদ দিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে মিলিয়ে আরেকটা নিয়ে গেছে। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো সবাই জানে না। এগুলো বললে সহ্য করতে পারবে না অনেকেই। আমি রোমান সানা কোনো কোয়ালিফাই ছাড়া গেছি, দেখাক। ট্রায়ালে সেরা পাঁচে থেকেছি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে। দয়ার ভিত্তিতে দলে সুযোগ পাইনি, প্রমাণ প্রতিবছরের প্রতিটি রেজাল্ট শিট। যারা এটা বলে, তাদের প্লিজ রেজাল্ট শিট দেখতে বলবেন। অন্য খেলোয়াড়েরা ভালো না করলেও দলে রাখছেন, তাদের নিয়ে তো এত কথা আসছে না। রোমান সানা চলে গেল, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন পারফরম্যান্স নিয়ে।
সিনেমা, নাটক-কোনো কিছুরই তো কমতি ছিল না আজ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের রেফারি অ্যান্ডারসন দারাঙ্কোর একের পর এক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রেফারির সঙ্গে এক চোট হয়েই গেছে মেসির। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে কথাও বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
৪৩ মিনিট আগেভুলে যাওয়ার মতো একটি দিনই কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাও বাজে দিনটা এল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের সময়ই। তাঁর সুযোগ মিসের মহড়ার দিনে ব্রাজিল পারল না জিততে। হতাশা ঝরেছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের কণ্ঠে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে একই টুর্নামেন্টে হারানো তো সহজ কথা নয়। প্যারাগুয়ে এবার সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে প্যারাগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। দুই মাস পর আজ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে প্যারাগুয়ে।
২ ঘণ্টা আগেএই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে