বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে গতকাল ঢুকেই চোখ পড়ল ‘স্টুয়ার্ট ল’ স্ট্যান্ড। বাংলাদেশ দলের সাবেক ও বর্তমানে বিসিবির যুব দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল এই মুহূর্তে আছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ দল এখন তাঁরই রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে। সাবেক অজি ক্রিকেটার আজকের পত্রিকাকে বললেন বাংলাদেশের পুরো বিশ্বকাপ অভিযান নিয়েই।
রানা আব্বাস, ব্রিসবেন থেকে
প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
৭ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
১০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১০ ঘণ্টা আগে