‘প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে দেখলেই বলেন, ওই যে আমাদের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা’—গর্বের এক হাসি ফুটে ওঠে রকিবুল হাসানের। গত পরশু দুপুরে যখন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়কের সঙ্গে কথা হয়, অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা শেষে মাত্রই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। রকিবুলের কথায় ফুটে উঠল ক্লান্তির ছাপ। এর মধ্যেই একাত্তরে সেই গৌরবান্বিত ঘটনাটা তুলতেই তাঁর সব ক্লান্তি যেন এক ফুৎকারে উড়ে গেল।
রানা আব্বাস, ঢাকা
‘প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কেন, বুঝতেই পারছেন। ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিলাম প্রতিবাদ, যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি’—৫০ বছর আগের সেই ক্রিকেট ম্যাচটায় ফিরে যান রকিবুল, বছর তিনেক আগে যে ম্যাচ নিয়ে লেখা একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন ক্রিকইনফোর নির্বাহী সম্পাদক মার্টিন উইলিয়ামসন—যেটির শিরোনাম ছিল, ‘অগ্নিগর্ভ ঢাকায় ক্রিকেট (ক্রিকেট হোয়াইল ঢাকা বার্নড)’। ঢাকা তখন আক্ষরিক অর্থেই অগ্নিগর্ভ, প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে পুরো শহরে। সেই স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছিল ক্রিকেট মাঠেও। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বিখ্যাত ‘একাত্তরের দিনগুলো’ বইয়েও সেটি পরিষ্কার উল্লেখ আছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান একাদশের বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের সেই চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই পাকিস্তান একাদশে সুযোগ পাওয়া একমাত্র বাঙালি ক্রিকেটার ১৮ বছর বয়সী রকিবুল নিজের ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ লেখা স্টিকার ও মানচিত্র এঁকে জানান দিয়েছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকুতি। আজ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আবারও সেই ঐতিহাসিক ঘটনায় ফিরে যাওয়া—তবে একটু অন্যভাবে।
সত্তরের নির্বাচনের গণরায় বাতিল করে দিতে আসন্ন জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান। রেডিওতে ম্যাচের ধারাভাষ্য শুনতে শুনতে বিশেষ বুলেটিনে এমন সংবাদ শুনে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন ক্রিকেট দর্শকেরা। চার দিনের ম্যাচটা পরে স্থগিত হয়ে যায়। দুই দলের খেলোয়াড়দের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সেনানিবাসে। সেখান থেকে ক্রিকেটারদের তুলে দেওয়া হয় লাহোর ও করাচিগামী ফ্লাইটে। রকিবুল অবশ্য সেনানিবাসে যাননি। তবে তাঁকে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে মুচলেকা দিতে হয়েছিল। পাকিস্তান একাদশে তখন ছিলেন জহির আব্বাস, ইন্তিখাব আলম, ওয়াসিম বারীর মতো ক্রিকেটারেরা; পরে তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন কিংবদন্তি হিসেবে। ম্যাচে ব্যাটে জয় বাংলা স্টিকার লাগিয়ে প্রতিবাদ, ফুঁসে ওঠা বাঙালি জনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ—সতীর্থ পাকিস্তানি ক্রিকেটারেরা তখন ও স্বাধীনতার পরে কীভাবে দেখেছেন পুরো বিষয়টা, সেটা জানতেই গত ১৪ ডিসেম্বর কথা হলো রকিবুলের সঙ্গে।
‘১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফর ছিল। ওই সফরের দলে আমারও থাকার কথা ছিল। তখন পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল করাচিতে। টিম হোটেল থেকে বিদায় নেওয়ার সময় জহির আব্বাস আমাকে বলছে, “ছোটু (রকিবুলের উচ্চতা ও বয়সের কারণে) দেখা হবে করাচিতে।” তখন আমার মুখ থেকেই বের হলো, “হয়তো সামনে করাচিতে যাব। তবে আমার হাতে তখন থাকবে ভিন্ন পাসপোর্ট”’—স্মৃতির কপাট খুলে দেন রকিবুল। পরে জহিরের সঙ্গে আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতেও কাজ করেছেন রকিবুল। তখন দেখা হলে জহির কী তাঁকে বলেছেন, জানালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক, ‘জহির আব্বাস খুবই প্রাণবন্ত মানুষ। রাজনীতি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না সে। পরে আমাকে বলেছে, “তোরা স্বাধীন হয়ে যাবি, তুই বোধহয় জানতি।” আমি বলেছি, “ওটা আমার ভেতর থেকেই এসেছে।”
রকিবুলের সঙ্গে কথা শেষেই ফোনে পাওয়া গেল জহির আব্বাসকে। করাচি থেকে আইসিসির এই সাবেক চেয়ারম্যান কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। কথোপকথনের চুম্বক অংশ থাকল এখানে—
প্রশ্ন: ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাত্তরের সেই ম্যাচটা নিয়ে কোন স্মৃতি বেশি মনে পড়ে?
জহির আব্বাস: দুদিন আগে লাহোরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখছিলাম, ১৯৭১ সালের ঢাকার স্মৃতি মনে পড়ছিল। আমার খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশে ওটাই শেষ সফর। স্টেডিয়ামে প্রচুর মানুষ এসেছিল। তারা খেলাটা ভালোবাসে। ম্যাচ শেষ করা যায়নি। মিলিটারি আমাদের দ্রুত ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল, লাহোরের ফ্লাইট ধরতে। জানেনই তো ওই সময় অন্য রকম এক পরিস্থিতি ছিল। যে ঘটনা ঘটেছিল, সবই রাজনৈতিক। আমি খেলার মানুষ, রাজনীতির বিষয়ে ভালো বলতে পারব না।
প্রশ্ন: মাঠে রকিবুল হাসান ভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, আপনারা পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা কীভাবে দেখেছিলেন বিষয়টি? করাচিতে দেখা হবে ভিন্ন পাসপোর্টে—রকিবুলের এই কথাটা নিশ্চয়ই মনে পড়ে?
জহির: রকিবুল আমার খুব ভালো বন্ধু। সে কেমন আছে? তাকে আমার ভালোবাসা জানাবেন। সে আমাকে তখন কী বলেছিল, ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে দেখেছিলাম সে ব্যাটে একটা ম্যাপ, স্টিকার লাগিয়ে এনেছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা কী রকিবুল? বলল, বাংলাদেশ, আমাদের নতুন দেশের জন্য। আমি কখনো ক্রিকেট মাঠে কারও ব্যাটে এমন স্টিকার দেখিনি। বললাম, ইটস ওকে।
প্রশ্ন: বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের। একজন ক্রিকেট কিংবদন্তি হিসেবে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অগ্রগতি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
জহির: বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভালো করছে। অর্থনীতিতেও তারা অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমরা খুশি।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কবার আসা হয়েছে?
জহির: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুবার আসা হয়েছে। দেশটাকে আমার অনেক ভালো লাগে। এখানকার মানুষ ক্রিকেট অনেক ভালোবাসে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি বাংলাদেশ দল প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারছে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ভালো করতে পারেনি।
জহির: ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকে। তবে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। তারা উন্নতি করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কার খেলা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
জহির: বাঁহাতি ছেলেটা...ও খুব ভালো খেলছে...সাকিব আল হাসান।
‘প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কেন, বুঝতেই পারছেন। ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিলাম প্রতিবাদ, যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি’—৫০ বছর আগের সেই ক্রিকেট ম্যাচটায় ফিরে যান রকিবুল, বছর তিনেক আগে যে ম্যাচ নিয়ে লেখা একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন ক্রিকইনফোর নির্বাহী সম্পাদক মার্টিন উইলিয়ামসন—যেটির শিরোনাম ছিল, ‘অগ্নিগর্ভ ঢাকায় ক্রিকেট (ক্রিকেট হোয়াইল ঢাকা বার্নড)’। ঢাকা তখন আক্ষরিক অর্থেই অগ্নিগর্ভ, প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে পুরো শহরে। সেই স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছিল ক্রিকেট মাঠেও। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বিখ্যাত ‘একাত্তরের দিনগুলো’ বইয়েও সেটি পরিষ্কার উল্লেখ আছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান একাদশের বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের সেই চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই পাকিস্তান একাদশে সুযোগ পাওয়া একমাত্র বাঙালি ক্রিকেটার ১৮ বছর বয়সী রকিবুল নিজের ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ লেখা স্টিকার ও মানচিত্র এঁকে জানান দিয়েছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকুতি। আজ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আবারও সেই ঐতিহাসিক ঘটনায় ফিরে যাওয়া—তবে একটু অন্যভাবে।
সত্তরের নির্বাচনের গণরায় বাতিল করে দিতে আসন্ন জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান। রেডিওতে ম্যাচের ধারাভাষ্য শুনতে শুনতে বিশেষ বুলেটিনে এমন সংবাদ শুনে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন ক্রিকেট দর্শকেরা। চার দিনের ম্যাচটা পরে স্থগিত হয়ে যায়। দুই দলের খেলোয়াড়দের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সেনানিবাসে। সেখান থেকে ক্রিকেটারদের তুলে দেওয়া হয় লাহোর ও করাচিগামী ফ্লাইটে। রকিবুল অবশ্য সেনানিবাসে যাননি। তবে তাঁকে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে মুচলেকা দিতে হয়েছিল। পাকিস্তান একাদশে তখন ছিলেন জহির আব্বাস, ইন্তিখাব আলম, ওয়াসিম বারীর মতো ক্রিকেটারেরা; পরে তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন কিংবদন্তি হিসেবে। ম্যাচে ব্যাটে জয় বাংলা স্টিকার লাগিয়ে প্রতিবাদ, ফুঁসে ওঠা বাঙালি জনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ—সতীর্থ পাকিস্তানি ক্রিকেটারেরা তখন ও স্বাধীনতার পরে কীভাবে দেখেছেন পুরো বিষয়টা, সেটা জানতেই গত ১৪ ডিসেম্বর কথা হলো রকিবুলের সঙ্গে।
‘১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফর ছিল। ওই সফরের দলে আমারও থাকার কথা ছিল। তখন পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল করাচিতে। টিম হোটেল থেকে বিদায় নেওয়ার সময় জহির আব্বাস আমাকে বলছে, “ছোটু (রকিবুলের উচ্চতা ও বয়সের কারণে) দেখা হবে করাচিতে।” তখন আমার মুখ থেকেই বের হলো, “হয়তো সামনে করাচিতে যাব। তবে আমার হাতে তখন থাকবে ভিন্ন পাসপোর্ট”’—স্মৃতির কপাট খুলে দেন রকিবুল। পরে জহিরের সঙ্গে আইসিসির ক্রিকেট কমিটিতেও কাজ করেছেন রকিবুল। তখন দেখা হলে জহির কী তাঁকে বলেছেন, জানালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক, ‘জহির আব্বাস খুবই প্রাণবন্ত মানুষ। রাজনীতি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না সে। পরে আমাকে বলেছে, “তোরা স্বাধীন হয়ে যাবি, তুই বোধহয় জানতি।” আমি বলেছি, “ওটা আমার ভেতর থেকেই এসেছে।”
রকিবুলের সঙ্গে কথা শেষেই ফোনে পাওয়া গেল জহির আব্বাসকে। করাচি থেকে আইসিসির এই সাবেক চেয়ারম্যান কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। কথোপকথনের চুম্বক অংশ থাকল এখানে—
প্রশ্ন: ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাত্তরের সেই ম্যাচটা নিয়ে কোন স্মৃতি বেশি মনে পড়ে?
জহির আব্বাস: দুদিন আগে লাহোরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখছিলাম, ১৯৭১ সালের ঢাকার স্মৃতি মনে পড়ছিল। আমার খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশে ওটাই শেষ সফর। স্টেডিয়ামে প্রচুর মানুষ এসেছিল। তারা খেলাটা ভালোবাসে। ম্যাচ শেষ করা যায়নি। মিলিটারি আমাদের দ্রুত ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল, লাহোরের ফ্লাইট ধরতে। জানেনই তো ওই সময় অন্য রকম এক পরিস্থিতি ছিল। যে ঘটনা ঘটেছিল, সবই রাজনৈতিক। আমি খেলার মানুষ, রাজনীতির বিষয়ে ভালো বলতে পারব না।
প্রশ্ন: মাঠে রকিবুল হাসান ভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, আপনারা পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা কীভাবে দেখেছিলেন বিষয়টি? করাচিতে দেখা হবে ভিন্ন পাসপোর্টে—রকিবুলের এই কথাটা নিশ্চয়ই মনে পড়ে?
জহির: রকিবুল আমার খুব ভালো বন্ধু। সে কেমন আছে? তাকে আমার ভালোবাসা জানাবেন। সে আমাকে তখন কী বলেছিল, ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে দেখেছিলাম সে ব্যাটে একটা ম্যাপ, স্টিকার লাগিয়ে এনেছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা কী রকিবুল? বলল, বাংলাদেশ, আমাদের নতুন দেশের জন্য। আমি কখনো ক্রিকেট মাঠে কারও ব্যাটে এমন স্টিকার দেখিনি। বললাম, ইটস ওকে।
প্রশ্ন: বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের। একজন ক্রিকেট কিংবদন্তি হিসেবে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অগ্রগতি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
জহির: বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভালো করছে। অর্থনীতিতেও তারা অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমরা খুশি।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কবার আসা হয়েছে?
জহির: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুবার আসা হয়েছে। দেশটাকে আমার অনেক ভালো লাগে। এখানকার মানুষ ক্রিকেট অনেক ভালোবাসে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি বাংলাদেশ দল প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারছে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ভালো করতে পারেনি।
জহির: ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকে। তবে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। তারা উন্নতি করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কার খেলা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
জহির: বাঁহাতি ছেলেটা...ও খুব ভালো খেলছে...সাকিব আল হাসান।
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
৭ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১০ ঘণ্টা আগে