দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই জয়ের নায়ক তাসকিন আহমেদ। গতকাল ডারবানে রওনা দেওয়ার আগে তাসকিন কথা বলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: দক্ষিণ আফ্রিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই সিরিজ জয়ের পর রাতটা কি স্বপ্নের মতো কাটল?
তাসকিন আহমেদ: অনুভূতি খুব ভালো। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেছি, এতে বেশি ভালো লাগা কাজ করছে মনে।
প্রশ্ন: বাবার এই সাফল্যে ছেলে তাসফিন আহমেদের কাছ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পেলেন?
তাসকিন: (হেসে) সে খুব খুশি। ম্যাচের পর বারবার জিজ্ঞেস করছে, পাপা তুমি উইকেট নিয়েছ? আমার জন্য গিফট নিয়েছ? সে অনেক খুশি।
প্রশ্ন: সিরিজ জেতার পর তামিম ইকবাল বলছিলেন, একজন বাংলাদেশি ফাস্ট বোলারের ম্যাচ ও সিরিজ-সেরা হওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আপনার কাছে বিষয়টা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
তাসকিন: গত দুই বছরে আমাদের পেস বোলিং বিভাগ অনেক পরিশ্রম করছে। আমাদের দলটা, যেমন ব্যাটিং, বোলিং—জিততে হলে সব বিভাগেই আসলে ভালো করতে হয়। সেদিক দিয়ে এই সিরিজে আমরা সবাই ভালো করেছি।
প্রশ্ন: আইপিএলে খেলার চেয়ে জাতীয় দল বেশি গুরুত্বপূর্ণ—সিরিজের মাঝপথে এমন একটা বার্তা যখন এল আপনার কাছ থেকে, এটি কতটা উজ্জীবিত করেছে পুরো দলকে?
তাসকিন: দেখুন, আইপিএলে খেলার প্রস্তাব পেয়ে সত্যি অনেক রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আবারও আইপিএল খেলার প্রস্তাব আসতে পারে। কিন্তু সাকিব ভাই (সাকিব আল হাসান) পরিবারকে হাসপাতালে রেখে দুটি ম্যাচ খেলেছেন, আমার কাছে এটা আইপিএলের চেয়ে অনেক বড় বিষয়। ভাগ্যে থাকলে ভবিষ্যতে আইপিএল খেলা হবে। ওটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। আল্লাহ আমাকে তো পুরস্কৃত করেছেনই।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে নতুন যে তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে, এটা ধরে রাখাই এখন আপনার বড় চ্যালেঞ্জ। আপনি কী মনে করেন?
তাসকিন: সব সময় প্রসেস বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করি। মাঠে ভালো খেলব, খারাপ খেলব; কিন্তু মাঠের বাইরে একই রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রতিটি ম্যাচই একেকটা বড় সুযোগ, আমার কাজ সুযোগ কাজে লাগানো।
প্রশ্ন: ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পেয়ে অনেক কেঁদেছিলেন। কান্নার সেই ভিডিও ফেসবুকে দেখলাম নতুন করে সামনে এসেছে। সেদিনের কান্নাই কি আজ হাসিতে রূপ নিয়েছে?
তাসকিন: (হাসি) আসলে গত আড়াই বছরে অনেক কষ্টই করেছি। যত দিন খেলব আরও কষ্ট করব। একই প্রক্রিয়ায় থাকব যেন বিশ্বমানের বোলার হতে পারি, এটাই লক্ষ্য। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
প্রশ্ন: ব্যক্তিজীবনের মতো আপনার বোলিংয়েও যথেষ্ট শৃঙ্খলা এসেছে। সামনে এখানে আরও কী কী যোগ করতে চান?
তাসকিন: উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। এখনো মনে করি না, বোলিংয়ে সেরা অবস্থানে এসেছি। আরও অনেক কাজ করতে হবে, অনেক উন্নতি করার আছে।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে পেস বোলারদের একটা বিপ্লবই ঘটছে বলা যায়। সর্বশেষ কয়েকটি বড় জয়ে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এটাকে বিশ্লেষণ করবেন কীভাবে?
তাসকিন: আশা করি আরও ভালো কিছু হবে। আমাদের আগের পেস বোলিং কোচ ওটিস (গিবসন) যত দিন কাজ করেছেন, ভালো করেছেন। এখন ডোনাল্ড এসেছেন। আর সুজন স্যারও (টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন) ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে অনেক কাজ করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা অনেক উপভোগ করি। ছোটবেলা থেকে তিনি দেখছেন তো, আমাকে খুব ভালো চেনেন। কোনো সমস্যা হলে সহজেই ধরতে পারেন।
প্রশ্ন: নতুন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে এ কদিনে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
তাসকিন: যে কদিন কথা হয়েছে, ভালো লেগেছে। আশা করি তাঁর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ হবে। মাত্র এক সপ্তাহ গেল...। সব মিলিয়ে ভালো।
প্রশ্ন: ওয়ানডে সিরিজের পর এখন সামনে টেস্ট। টেস্ট সিরিজেও কি নতুন ইতিহাস গড়ার আশা করতে পারে বাংলাদেশ?
তাসকিন: আমরা আশাবাদী যে টেস্টেও জিততে পারি এবং দলের সে জয়ে আমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।
প্রশ্ন: দক্ষিণ আফ্রিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই সিরিজ জয়ের পর রাতটা কি স্বপ্নের মতো কাটল?
তাসকিন আহমেদ: অনুভূতি খুব ভালো। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেছি, এতে বেশি ভালো লাগা কাজ করছে মনে।
প্রশ্ন: বাবার এই সাফল্যে ছেলে তাসফিন আহমেদের কাছ থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পেলেন?
তাসকিন: (হেসে) সে খুব খুশি। ম্যাচের পর বারবার জিজ্ঞেস করছে, পাপা তুমি উইকেট নিয়েছ? আমার জন্য গিফট নিয়েছ? সে অনেক খুশি।
প্রশ্ন: সিরিজ জেতার পর তামিম ইকবাল বলছিলেন, একজন বাংলাদেশি ফাস্ট বোলারের ম্যাচ ও সিরিজ-সেরা হওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আপনার কাছে বিষয়টা কতটা তৃপ্তিদায়ক?
তাসকিন: গত দুই বছরে আমাদের পেস বোলিং বিভাগ অনেক পরিশ্রম করছে। আমাদের দলটা, যেমন ব্যাটিং, বোলিং—জিততে হলে সব বিভাগেই আসলে ভালো করতে হয়। সেদিক দিয়ে এই সিরিজে আমরা সবাই ভালো করেছি।
প্রশ্ন: আইপিএলে খেলার চেয়ে জাতীয় দল বেশি গুরুত্বপূর্ণ—সিরিজের মাঝপথে এমন একটা বার্তা যখন এল আপনার কাছ থেকে, এটি কতটা উজ্জীবিত করেছে পুরো দলকে?
তাসকিন: দেখুন, আইপিএলে খেলার প্রস্তাব পেয়ে সত্যি অনেক রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আবারও আইপিএল খেলার প্রস্তাব আসতে পারে। কিন্তু সাকিব ভাই (সাকিব আল হাসান) পরিবারকে হাসপাতালে রেখে দুটি ম্যাচ খেলেছেন, আমার কাছে এটা আইপিএলের চেয়ে অনেক বড় বিষয়। ভাগ্যে থাকলে ভবিষ্যতে আইপিএল খেলা হবে। ওটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। আল্লাহ আমাকে তো পুরস্কৃত করেছেনই।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে নতুন যে তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে, এটা ধরে রাখাই এখন আপনার বড় চ্যালেঞ্জ। আপনি কী মনে করেন?
তাসকিন: সব সময় প্রসেস বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করি। মাঠে ভালো খেলব, খারাপ খেলব; কিন্তু মাঠের বাইরে একই রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রতিটি ম্যাচই একেকটা বড় সুযোগ, আমার কাজ সুযোগ কাজে লাগানো।
প্রশ্ন: ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পেয়ে অনেক কেঁদেছিলেন। কান্নার সেই ভিডিও ফেসবুকে দেখলাম নতুন করে সামনে এসেছে। সেদিনের কান্নাই কি আজ হাসিতে রূপ নিয়েছে?
তাসকিন: (হাসি) আসলে গত আড়াই বছরে অনেক কষ্টই করেছি। যত দিন খেলব আরও কষ্ট করব। একই প্রক্রিয়ায় থাকব যেন বিশ্বমানের বোলার হতে পারি, এটাই লক্ষ্য। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
প্রশ্ন: ব্যক্তিজীবনের মতো আপনার বোলিংয়েও যথেষ্ট শৃঙ্খলা এসেছে। সামনে এখানে আরও কী কী যোগ করতে চান?
তাসকিন: উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। এখনো মনে করি না, বোলিংয়ে সেরা অবস্থানে এসেছি। আরও অনেক কাজ করতে হবে, অনেক উন্নতি করার আছে।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে পেস বোলারদের একটা বিপ্লবই ঘটছে বলা যায়। সর্বশেষ কয়েকটি বড় জয়ে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এটাকে বিশ্লেষণ করবেন কীভাবে?
তাসকিন: আশা করি আরও ভালো কিছু হবে। আমাদের আগের পেস বোলিং কোচ ওটিস (গিবসন) যত দিন কাজ করেছেন, ভালো করেছেন। এখন ডোনাল্ড এসেছেন। আর সুজন স্যারও (টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন) ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে অনেক কাজ করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা অনেক উপভোগ করি। ছোটবেলা থেকে তিনি দেখছেন তো, আমাকে খুব ভালো চেনেন। কোনো সমস্যা হলে সহজেই ধরতে পারেন।
প্রশ্ন: নতুন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে এ কদিনে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
তাসকিন: যে কদিন কথা হয়েছে, ভালো লেগেছে। আশা করি তাঁর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ হবে। মাত্র এক সপ্তাহ গেল...। সব মিলিয়ে ভালো।
প্রশ্ন: ওয়ানডে সিরিজের পর এখন সামনে টেস্ট। টেস্ট সিরিজেও কি নতুন ইতিহাস গড়ার আশা করতে পারে বাংলাদেশ?
তাসকিন: আমরা আশাবাদী যে টেস্টেও জিততে পারি এবং দলের সে জয়ে আমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
৭ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
১০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১০ ঘণ্টা আগে