প্রতিদ্বন্দ্বীদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গত বছর এই দিনে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ৩৬টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর গত একটা বছর কেমন গেল, সেটি জানতে গত বৃহস্পতিবার ফোন দেওয়া হয়েছিল বাফুফে সভাপতিকে। সাফ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে এই মুহূর্তে মালদ্বীপে থাকা সালাউদ্দিন ফিরে দেখলেন তাঁর নতুন মেয়াদের এক বছর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: লম্বা সময় বাংলাদেশ শিরোপা-খরায় আছে। সাফ টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন কোচের অধীনে নতুন একটা অধ্যায় শুরু হলো বাংলাদেশের। আপনি এবার কতটা আশাবাদী?
কাজী সালাউদ্দিন: আশাবাদী সব সময়ই থাকি। আশাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো দল কেমন খেলে। দলের খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানেজমেন্ট সব সময়ই আশাবাদী থাকে। আশাবাদী বলেই দল গড়ে। আমরা একটা ভালো লড়াই উপহার দেব, ভালো ফুটবল খেলব। আশা করি খুব ভালো খেলা হবে।
প্রশ্ন: তাহলে কি আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আশা করতে পারি?
সালাউদ্দিন: এটাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। প্রথম খেলায় জেতা, এরপর দ্বিতীয় খেলায় জেতা—এভাবেই আমরা ফুটবলাররা যাই। আমরা সোজা ফাইনালে চলে যাই না। আমার মন বলছে দল ভালো করবে।
প্রশ্ন: নতুন মেয়াদে সভাপতি হিসেবে এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই এক বছরে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সালাউদ্দিন: আমার সব কর্মকর্তা, ফেডারেশনের সব সদস্যের কৃতিত্ব দেব। এই করোনার মধ্যে একমাত্র আমরাই সব খেলা চালিয়েছি। ছেলে বলুন, মেয়ে বলুন—সব রকম লিগ আমরা আয়োজন করেছি। সাহস দেখিয়ে আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। আমি তো আর মাঠে খেলে দিতে পারব না। শুধু আয়োজন করে দিতে পারব। একজন সংগঠক হিসেবে আমার যেটা কর্তব্য যদি বলি ছেলেদের খেলা, মেয়েদের খেলা কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮-১০টা—সব মিলিয়ে ভালো কাজ করেছি। এর একটা কারণ, আমার ফেডারেশনে একটু কম রাজনীতিবিদ আছে। লোকজন ফুটবল আয়োজন করতেই বেশি পছন্দ করে।
প্রশ্ন: এক বছরের মূল্যায়নে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
সালাউদ্দিন: এই করোনার মধ্যে নিজেকে ৮.৫ দেব।
প্রশ্ন: নিজেকে ‘এ প্লাস’ দিচ্ছেন?
সালাউদ্দিন: অবশ্যই। এ প্লাসই দিয়েছি সব সময়। ফল তো আমার না, ফল খেলোয়াড়দের। আমার কাজ খেলোয়াড়দের ১০টা ম্যাচ খেলানো, লিগ করে দেওয়া, সবকিছু জোগাড় করে দেওয়া। আমার মনে হয়, এখানে সাড়ে আটও কম!
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার অন্যতম কারণ আইসিসি থেকে পাওয়া তহবিলের ভালো ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে তারা। বাফুফেও ফিফার কাছ থেকে তহবিল পায়। বাফুফে কি তহবিল ঠিকঠাক ব্যবস্থাপনা করতে পারছে নাকি সাংগঠনিক দুর্বলতা এখানে বড় সমস্যা?
সালাউদ্দিন: ক্রিকেট খেলেই ১৪টা দেশ। ফুটবলে সদস্যসংখ্যা ২১১। ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমি পাই ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেট পায় ২০০-৩০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমরা পাই ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেটের ৭০০ কোটি, ৯০০ কোটি টাকা। ক্রিকেটের টাকাটা ভাগ হয় ৮-১০টা দেশে। ফিফার টাকা ভাগ হয় ২১১টা দেশে। ক্রিকেটের সঙ্গে যখন ফুটবলকে মেলানো হয় তখন খুব দুঃখ লাগে। কিসের সঙ্গে কী মেলানো হয়! এখানে তো কোনো তুলনা হয় না। আর রেজাল্টের কথা বলছেন? বাংলাদেশ কখনোই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো ছিল না। আগে ৭ গোল, ৮ গোল, ১০ গোল খেতে হতো। আজ বাংলাদেশ ৮-১০ গোল খায় না। পরিসংখ্যানটা দেখুন। ক্রিকেট-ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা করা যাবে না। ক্রিকেট খুব ভালো খেলছে তারা, বিশ্বকাপ জিতবে। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা খুবই অপেশাদারি কথাবার্তা।
প্রশ্ন: ভালো করছে বলেই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিকেটের পেছনে ছুটছে। কথায় বলে, উইন টেকস কেয়ার অব এভরিথিং।
সালাউদ্দিন: ক্রিকেটের টাকা আছে। এই যে তুলনাটা হলো...যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বিশ্বকাপ (২০১৮) খেলতে পারেনি গতবার। ইতালিও সুযোগ পায়নি। কার সঙ্গে কী মেলানো হচ্ছে? আফগানিস্তান, অমুক-তমুক! তবে আমার দেশের ক্রিকেটের বিপক্ষে কিছু বলব না। কারণ, আমার দেশ এই খেলাটা খেলে। ব্যক্তিগতভাবে চাই ক্রিকেটে (বাংলাদেশ) বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হোক। ক্রিকেটে আমরা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তবু আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাই। আর আমি একটা জাতীয় দল পাঠালে হোটেল ভাড়া দিতে পারি না টাকার অভাবে! মিস ম্যানেজমেন্টের কথায় আমি খুব দুঃখ পাই। আমাদের নিয়মিত অডিট হয়। দয়া করে এই তুলনাটা যেন না করা হয়। এটা খুব দুঃখজনক। ২১১টা দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবল। ফিফা থেকে আমি পাই ১০ লাখ ডলার। মিস ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করব?
প্রশ্ন: দেশের ফুটবলে এখন করপোরেট দলগুলো এগোচ্ছে। বসুন্ধরা-সাইফের মতো দলগুলো দাপট দেখাচ্ছে। আবার আবাহনী–মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো পেছাচ্ছে। আপনি নিজেও একাধিক ঐতিহ্যবাহী দলে খেলেছেন। সেই দলগুলোর অবস্থা এখন বেহাল!
সালাউদ্দিন: ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর কোনো প্রাণ নেই। এখন প্রতিযোগিতার দুনিয়া। আজ ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল নিয়ন্ত্রণ করছে ম্যানসিটি, চেলসির মতো দলগুলো। কয়েক বছর আগেও এরা এতটা শক্তিশালী ছিল না। ঐতিহ্য থাকতে পারে, কিন্তু কাজ তো করতে হবে। ঐতিহ্যকে ভেজে খাওয়া যায় না! আমার ঐতিহ্য থাকতে পারে, আমি সালাউদ্দিন ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আর খেলোয়াড় নই। আজ খেলোয়াড় হিসেবে আমি ফালতু! আমাকে তো খেলতে হবে, তাই না? ঐতিহ্যবাহী দলগুলো কেন নিজেদের যত্ন নেয় না? আর পৃথিবী কারও জন্য অপেক্ষা করে না। নিজেরা যখন নিজেদের যত্ন নিই নাই, আরেকজন সেই নিয়ন্ত্রণটা নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক করপোরেট দল আসবে। ইউরোপে এখন এটাই হচ্ছে। ধরুন, আমি একজন নামকরা সংগঠক কিন্তু কাজ করলাম না, ঘুমিয়ে থাকব, তাহলে সবাই আমাকে সংগঠক হিসেবে মানবে কীভাবে? কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আবাহনী-মোহামেডান ঐতিহ্য নিয়ে থাকবে, ফল আরেক দল নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে ফিরি, কোচ অস্কার ব্রুজোন যদি এই সাফে ভালো ফল উপহার দেন, তাহলে কি তাঁকে আরও লম্বা মেয়াদের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দেখা যাবে?
সালাউদ্দিন: এ প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছি না। সময়ই বলে দেবে।
প্রশ্ন: লম্বা সময় বাংলাদেশ শিরোপা-খরায় আছে। সাফ টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন কোচের অধীনে নতুন একটা অধ্যায় শুরু হলো বাংলাদেশের। আপনি এবার কতটা আশাবাদী?
কাজী সালাউদ্দিন: আশাবাদী সব সময়ই থাকি। আশাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো দল কেমন খেলে। দলের খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানেজমেন্ট সব সময়ই আশাবাদী থাকে। আশাবাদী বলেই দল গড়ে। আমরা একটা ভালো লড়াই উপহার দেব, ভালো ফুটবল খেলব। আশা করি খুব ভালো খেলা হবে।
প্রশ্ন: তাহলে কি আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আশা করতে পারি?
সালাউদ্দিন: এটাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। প্রথম খেলায় জেতা, এরপর দ্বিতীয় খেলায় জেতা—এভাবেই আমরা ফুটবলাররা যাই। আমরা সোজা ফাইনালে চলে যাই না। আমার মন বলছে দল ভালো করবে।
প্রশ্ন: নতুন মেয়াদে সভাপতি হিসেবে এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই এক বছরে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সালাউদ্দিন: আমার সব কর্মকর্তা, ফেডারেশনের সব সদস্যের কৃতিত্ব দেব। এই করোনার মধ্যে একমাত্র আমরাই সব খেলা চালিয়েছি। ছেলে বলুন, মেয়ে বলুন—সব রকম লিগ আমরা আয়োজন করেছি। সাহস দেখিয়ে আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। আমি তো আর মাঠে খেলে দিতে পারব না। শুধু আয়োজন করে দিতে পারব। একজন সংগঠক হিসেবে আমার যেটা কর্তব্য যদি বলি ছেলেদের খেলা, মেয়েদের খেলা কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮-১০টা—সব মিলিয়ে ভালো কাজ করেছি। এর একটা কারণ, আমার ফেডারেশনে একটু কম রাজনীতিবিদ আছে। লোকজন ফুটবল আয়োজন করতেই বেশি পছন্দ করে।
প্রশ্ন: এক বছরের মূল্যায়নে নিজেকে কত নম্বর দেবেন?
সালাউদ্দিন: এই করোনার মধ্যে নিজেকে ৮.৫ দেব।
প্রশ্ন: নিজেকে ‘এ প্লাস’ দিচ্ছেন?
সালাউদ্দিন: অবশ্যই। এ প্লাসই দিয়েছি সব সময়। ফল তো আমার না, ফল খেলোয়াড়দের। আমার কাজ খেলোয়াড়দের ১০টা ম্যাচ খেলানো, লিগ করে দেওয়া, সবকিছু জোগাড় করে দেওয়া। আমার মনে হয়, এখানে সাড়ে আটও কম!
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার অন্যতম কারণ আইসিসি থেকে পাওয়া তহবিলের ভালো ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে তারা। বাফুফেও ফিফার কাছ থেকে তহবিল পায়। বাফুফে কি তহবিল ঠিকঠাক ব্যবস্থাপনা করতে পারছে নাকি সাংগঠনিক দুর্বলতা এখানে বড় সমস্যা?
সালাউদ্দিন: ক্রিকেট খেলেই ১৪টা দেশ। ফুটবলে সদস্যসংখ্যা ২১১। ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমি পাই ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেট পায় ২০০-৩০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমরা পাই ১২ কোটি টাকা। ক্রিকেটের ৭০০ কোটি, ৯০০ কোটি টাকা। ক্রিকেটের টাকাটা ভাগ হয় ৮-১০টা দেশে। ফিফার টাকা ভাগ হয় ২১১টা দেশে। ক্রিকেটের সঙ্গে যখন ফুটবলকে মেলানো হয় তখন খুব দুঃখ লাগে। কিসের সঙ্গে কী মেলানো হয়! এখানে তো কোনো তুলনা হয় না। আর রেজাল্টের কথা বলছেন? বাংলাদেশ কখনোই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো ছিল না। আগে ৭ গোল, ৮ গোল, ১০ গোল খেতে হতো। আজ বাংলাদেশ ৮-১০ গোল খায় না। পরিসংখ্যানটা দেখুন। ক্রিকেট-ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা করা যাবে না। ক্রিকেট খুব ভালো খেলছে তারা, বিশ্বকাপ জিতবে। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে ফুটবলের তুলনা খুবই অপেশাদারি কথাবার্তা।
প্রশ্ন: ভালো করছে বলেই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিকেটের পেছনে ছুটছে। কথায় বলে, উইন টেকস কেয়ার অব এভরিথিং।
সালাউদ্দিন: ক্রিকেটের টাকা আছে। এই যে তুলনাটা হলো...যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বিশ্বকাপ (২০১৮) খেলতে পারেনি গতবার। ইতালিও সুযোগ পায়নি। কার সঙ্গে কী মেলানো হচ্ছে? আফগানিস্তান, অমুক-তমুক! তবে আমার দেশের ক্রিকেটের বিপক্ষে কিছু বলব না। কারণ, আমার দেশ এই খেলাটা খেলে। ব্যক্তিগতভাবে চাই ক্রিকেটে (বাংলাদেশ) বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হোক। ক্রিকেটে আমরা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তবু আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাই। আর আমি একটা জাতীয় দল পাঠালে হোটেল ভাড়া দিতে পারি না টাকার অভাবে! মিস ম্যানেজমেন্টের কথায় আমি খুব দুঃখ পাই। আমাদের নিয়মিত অডিট হয়। দয়া করে এই তুলনাটা যেন না করা হয়। এটা খুব দুঃখজনক। ২১১টা দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবল। ফিফা থেকে আমি পাই ১০ লাখ ডলার। মিস ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করব?
প্রশ্ন: দেশের ফুটবলে এখন করপোরেট দলগুলো এগোচ্ছে। বসুন্ধরা-সাইফের মতো দলগুলো দাপট দেখাচ্ছে। আবার আবাহনী–মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো পেছাচ্ছে। আপনি নিজেও একাধিক ঐতিহ্যবাহী দলে খেলেছেন। সেই দলগুলোর অবস্থা এখন বেহাল!
সালাউদ্দিন: ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর কোনো প্রাণ নেই। এখন প্রতিযোগিতার দুনিয়া। আজ ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল নিয়ন্ত্রণ করছে ম্যানসিটি, চেলসির মতো দলগুলো। কয়েক বছর আগেও এরা এতটা শক্তিশালী ছিল না। ঐতিহ্য থাকতে পারে, কিন্তু কাজ তো করতে হবে। ঐতিহ্যকে ভেজে খাওয়া যায় না! আমার ঐতিহ্য থাকতে পারে, আমি সালাউদ্দিন ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আর খেলোয়াড় নই। আজ খেলোয়াড় হিসেবে আমি ফালতু! আমাকে তো খেলতে হবে, তাই না? ঐতিহ্যবাহী দলগুলো কেন নিজেদের যত্ন নেয় না? আর পৃথিবী কারও জন্য অপেক্ষা করে না। নিজেরা যখন নিজেদের যত্ন নিই নাই, আরেকজন সেই নিয়ন্ত্রণটা নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক করপোরেট দল আসবে। ইউরোপে এখন এটাই হচ্ছে। ধরুন, আমি একজন নামকরা সংগঠক কিন্তু কাজ করলাম না, ঘুমিয়ে থাকব, তাহলে সবাই আমাকে সংগঠক হিসেবে মানবে কীভাবে? কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আবাহনী-মোহামেডান ঐতিহ্য নিয়ে থাকবে, ফল আরেক দল নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে ফিরি, কোচ অস্কার ব্রুজোন যদি এই সাফে ভালো ফল উপহার দেন, তাহলে কি তাঁকে আরও লম্বা মেয়াদের বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দেখা যাবে?
সালাউদ্দিন: এ প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছি না। সময়ই বলে দেবে।
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
১১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
১১ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১২ ঘণ্টা আগে