আদৌ কি পারছেন না সৌম্য–মিঠুনরা

মাহফুজ সিদ্দিকি হিমালয়
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১০: ০০
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১১: ৩৯

২৩ মার্চ ২০২১, নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বাংলাদেশ শেষ ৫৭ বলে ৯৩ রান তোলে, যেটির পেছনে বড় অবদান মোহাম্মদ মিঠুনের ১২৮ স্ট্রাইকরেটে ৫৭ বলে ৭৩ রানের। সেই ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন, সবাই একমত হবেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে দলীয় রান অন্তত ২৫-৩০ কম হয়েছে। অথচ মাত্র দুই ইনিংস পরেই সেই মিঠুন একাদশের বাইরে—বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় যা অবিশ্বাস্য!  

ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ ইনিংসের মধ্যে বিদেশের মাটিতে টেস্টে ১৫০+ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড ছিল না কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের। ২৫০–এর বেশি বল খেলার দৃষ্টান্তও কম (তামিম ইকবাল মাত্র দুবার, সাকিব আল হাসান একবার ও মুশফিক পাঁচবার)। নাজমুল হোসেন শান্ত সেই অসাধারণ কীর্তি (১২ ইনিংসের মধ্যে ১৫০+ রানের ইনিংস) করার পরও যতটা প্রশংসা; সেটির চেয়ে বেশি ট্রলিং, ব্যাটিং টেকনিকের সমালোচনার শিকারই বেশি হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

৪০ ম্যাচ খেলেছেন–এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট সৌম্য সরকারের। এই তালিকার দুইয়ে লিটন দাস। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর গত ২১ বছরে বাংলাদেশ শুধু একটি টুর্নামেন্টে (দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে) শিরোপা জিততে পেরেছে, সেটি ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ফাইনালে ২৪ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১০ রান। সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ আর শেষে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭ বলে ৫২ রানের সৌজন্যেই বাংলাদেশ প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতে। এই সাফল্যের পরও এই ব্যাটসম্যানরা একটু ব্যর্থ হলেই একের পর এক সমালোচনার তির ছুটে গেছে তাঁদের দিকে।

বাংলাদেশ মূলত ওয়ানডে সংস্করণে ভালো দল। টেস্ট আর টি–টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। গত ৩৫ বছরে খেলা ৩৮৫ ওয়ানডের ২৩৫টিই খেলেছে ওপরের সারির দলের বিপক্ষে, জিতেছে ৩৮ টি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের হার ১৬ শতাংশ। বাকি ১৫০টি আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুইয়ে, আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য সহযোগী দলের বিপক্ষে। সেখানে জয় ৯৫ টি। শুধু জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ৭৫ ম্যাচ খেলে জয় ৪৭ টিতে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য কম, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পরিসংখ্যানে আস্থা রেখেই বলতে হচ্ছে, নিচের সারির দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়া থেকেই যাবতীয় মিথের সূত্রপাত। প্রশ্ন হলো, সামর্থ্য কম, এটা মেনে নিয়েই খেলা চালিয়ে যাব, নাকি সীমিত সামর্থ্য নিয়েই শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস দেখাব?

উদাহরণ হিসেবে আফগানিস্তানকে সামনে আনা যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা হারে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে। পরের পাঁচ বছরে তারা বাংলাদেশকে টি–টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে, ওয়ানডেতে দুবার হারিয়েছে। এমনকি নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হোম কন্ডিশনে খেলতে এসেও দাপটের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা সরাসরি অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশকে সেখানে স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার সঙ্গে খেলতে হবে বাছাইপর্ব! শোনা যায়, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে প্রায়ই প্রস্তাব দেয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার। বিসিবি নিয়মিত আগ্রহ দেখায় না এই প্রস্তাবে। কারণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে হারের ভয়টা বেশি থাকে! বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে রশিদ খান, মুজিব–উর–রহমানরা কতটা ‘আতঙ্কে’র নাম, সেটি দুই দলের সিরিজ এলেই দেখা যায়! দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম পর্যন্ত স্ট্রাইক নিতে চান না মুজিব ইনিংসের শুরুতে আক্রমণে এলে।

এই অল্প সময়ে কীভাবে আফগানিস্তান বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করল? আপনি তাদের যেকোনো ক্রিকেটারের কাছে শুনুন। বলবে, আমরা জিততে চাই! ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা সব ম্যাচে হেরেছে। তবু তাদের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই!’ আমাদের কোচ-অধিনায়ক-বোর্ড কর্তাদের মুখে কখনো শুনেছেন এমন কথা? ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছিলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে চাই।’ ২০২১ সালের অধিনায়ক তামিম ইকবালও এই ‘ভালো খেলতে চাওয়া’র বলয় থেকে বের হতে পারেননি।
ক্রিকেটে তিনটি ফল হবে—জয়, পরাজয় আর টাই। ‘ভালো খেলা’ বলতে কিছুর অস্তিত্বই নেই ক্রিকেট অভিধানে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্রিকেটার-সমর্থকদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘ভালো খেলা’ নামের দরিদ্র মানসিকতার ফলটি। এর স্বরূপটা কেমন?

আকরাম খানরা যখন খেলতেন ৫০ ওভার ব্যাটিং করা এবং প্রতিপক্ষের দুই-একজন তারকা ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলতে পারাটাই ছিল ‘ভালো খেলা’। আশরাফুল-হাবিবুলদের যুগে সেটি হয় ২০০–এর সামান্য বেশি রান তোলা কিংবা প্রতিপক্ষকে অলআউট করা। তামিম-সাকিবদের যুগে সেই মানদণ্ডটা উঠেছে ২৪০-২৫০ রান এবং সেই রান তুলতে সংগত কারণেই প্রতিপক্ষের ৫-৬ উইকেট নিতে হবে। কিংবা প্রতিপক্ষ ৩০০ করলে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে সেই রানের যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাওয়া। টি–টোয়েন্টির যুগে ২৪০-২৫০ রান যে বড় কোনো স্কোরই নয়! দর্শকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের ম্যাচ দেখতে পারলেই খুশি কিংবা হেরে যাওয়া ম্যাচে এক–দুজন ব্যাটসম্যান ৮০ বলে ৫৩ রান করেছে—সেটিকেই বিশাল কৃতিত্ব হিসেবে দেখানো হয়।

 মূলত এখানেই আটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্ম। জাভেদ ওমর বা খালেদ মাসুদ পাইলটরা ছিলেন টেস্টপূর্ব যুগের খেলোয়াড়, তামিম-সাকিবদের সঙ্গে তাদের মান ও মানসিকতার পার্থক্য সাদা চোখেই ধরা পড়ত। আর এখন সৌম্য-লিটন-মোসাদ্দেকদের প্রজন্ম সাকিবদের চেয়ে এগিয়ে খুবই সামান্য ব্যবধানে। যেটি সাকিবদের তারকাখ্যাতির বিপরীতে সহজেই উপেক্ষণীয়।

মিঠুন বাদে উত্তরপ্রজন্মের ক্রিকেটেরদের প্রত্যেকেই পূর্বসূরিদের তুলনায় এগিয়ে। তবু এটা যথেষ্ট নয়, যেহেতু বাংলাদেশ এখন হোম কন্ডিশনে জেতে (বিশেষ করে ওয়ানডেতে)। উত্তরপ্রজন্ম যে ২৮০ রানকে মানদণ্ড ধরবে সেই সুযোগ কোথায়? এমনকি আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের মতো পেছনের সারির দলেও টপ অর্ডারে স্ট্রোকমেকার থাকেন। তাঁরা নির্ভীক ব্যাটিং করেন, তাঁদের হারানোর কিছু নেই! শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গেও একই কথা প্রযোজ্য।

আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্ট্রোক খেলতে গিয়ে আউট হলে ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক, বোর্ড সভাপতি, ফেসবুক দর্শকেরা সম্মিলিতভাবে বলে ওঠেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন শট’! যে কারণে স্বার্থপর ব্যাটিং (যেমন ৯০ বলে ৬২ রান) করে একটা ফিফটি তোলাটাই দায়িত্বশীল ব্যাটিং বলে গণ্য হয়। সাকিব বাদে দেশের বাকি তিন তারকা ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট ৮০–এর নিচে—এই তথ্যটিই বলে দেয় স্বার্থপর ব্যাটিং দিয়ে দলে টিকে থাকার নীতি কীভাবে জেঁকে বসে আছে! প্রথম ছয়টা ব্যাটিং পজিশনের চারটাই ‘অটোমেটিক চয়েস’। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো বাকি দুই পজিশন নিয়ে লড়াই চলে। এ সময়ে সবচেয়ে সমালোচিত লিটন দাস আর সৌম্য সরকার—দুজন একসঙ্গে ওপেন করেছেন মাত্র একবার।

১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায়। নিয়মিত ওপেনার রোশান মহানামা আর গুরুসিংহে ওপেনিং পজিশন থেকে নিচে নেমে গিয়েছিলেন বিস্ফোরক জয়াসুরিয়া আর কালুভিতারানাকে জায়গা করে দিতে। এমনকি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সফলতম জুটি শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলীর জুটি ভেঙেছিলেন। সৌরভ নিচে নেমেছিলেন বিস্ফোরক শেবাগকে জায়গা করে দিতে। গত ১৫ বছরে যত ওপেনার ওয়ানডে খেলেছেন, এর মধ্যে তামিমের স্ট্রাইকরেট সর্বনিম্ন। তবু তিনি কি ওপেনিং স্লটে দুজন স্ট্রোকমেকার (সৌম্য-লিটনের জায়গায় অন্য যে কেউও হতে পারে) কে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নিজে তিন বা চারে নামার কথা চিন্তা করেছেন কখনো?

বিশ্বের যেকোনো মাঠে, বাংলাদেশ আগে অথবা পরে যখনই ব্যাটিং করুক, তামিমের একটাই ভাবনা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করা! এই ভাবনায় হয়তো নিজের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ হয়, দল কতটা ধারাবাহিক সফল হচ্ছে? একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিই—২০১৫ সালের পরে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২৭০ রানের বেশি তাড়া করা ম্যাচের একটিতেও তামিম-মুশফিক বা মাহমুদউল্লাহর ৮০ স্ট্রাইকরেট বা ফিফটি নেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮৬ তাড়া করা। যদিও সেটিতে তিনজনের ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি তাঁরা জেতার চেষ্টা করছেন!

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাওয়ার প্লের দারুণ ব্যবহারে ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের দিকে আনা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটই যে মোমেন্টাম–নির্ভর। গত ছয় বছরে এই পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান সংগ্রহের হার সর্বনিম্ন (গড়ে ৩৯)। গত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল সৌম্য সরকার শুরুতে লুঙ্গি এনগিডি আর কাগিসো রাবাদাকে আক্রমণ করায়। সেই কৃতিত্ব কি সৌম্যকে দেওয়া হয়েছে সেভাবে?

ধরা যাক, সৌম্য বা যেকোনো স্ট্রোকমেকার ওপেনার প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই আউট হলেন। তাতে সমস্যাটা কী, যদি তাঁরা পাঁচ ওভারে ৩০ রান তুলে দিতে পারেন। যদি টানা ১০ ম্যাচেই তাঁরা না পারেন, অন্য স্ট্রোকমেকার এনে চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু শুরু থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করে আসলে প্রাপ্তিটা কী?
জিম্বাবুইয়ে বা নিচের সারির দলের বিপক্ষে জিততে অনেক মেহনতের প্রয়োজন নেই। আবার শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ২৫০ রানের মানসিকতা নিয়ে খেলে যে কিছুই সম্ভব নয়, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। তাহলে উপায়টা কী?

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের জয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছিলাম। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্য, বাংলাদেশের জয়গুলোর ৭০ ভাগই প্রতিপক্ষের হঠাৎ ব্যাটিংধসের কারণে। যদি কোনোভাবে প্রতিপক্ষ ২৭০ রান তুলতে পারে, অনেকটা চোখ বন্ধ করে বলা যায় সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হারবে। শক্তিশালী দলের ব্যাটিংয়ে ধস হয় মাঝেমধ্যে, বাংলাদেশেরও তাই জেতা হয় না নিয়মিত।
বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টিতে এখন যতটা বাজে খেলছে, এর চেয়ে বাজে খেলা অসম্ভব! সেখানে তারকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে আফিফ বা শেখ মেহেদীকে অধিনায়ক করে তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করে দুই-তিনটা সিরিজেও কি চেষ্টা করা হয়েছে? তবু কিসের ভিত্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্তরপ্রজন্ম ব্যর্থ?

প্রশ্ন হতে পারে, পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় মানে অনেক এগিয়ে থাকা ক্রিকেটার কেন পাচ্ছি না? সেই আলোচনা করতে গেলে পাতানো ম্যাচ, বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাসহ বহু অপ্রিয় প্রসঙ্গ উঠে আসবে। সেসব ধামাচাপা দিতেই কি তারকা ক্রিকেটার বনাম তরুণ ক্রিকেটারদের এক জনপ্রিয় দ্বৈরথ বানিয়ে রাখা হয়েছে?

লেখক: লেখক ও মানব বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত