নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তরফদার রুহুল আমিনের গত কয়েক দিনে বেশ ফুরফুরেই থাকার কথা! কারণ, তিনি ও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের চোখে একটা স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিল। এবারও বাফুফে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল করার একটা সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু এখন তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণে কঠিন পথই অতিক্রম করতে হবে। গতকাল সোমবার ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তাবিথ আউয়াল। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে করে আর বাফুফের সভাপতি হওয়ার পরীক্ষায় ‘অটোপাস’-এর সুযোগ রইল না।
গত ১৬ বছর বাফুফে সভাপতির চেয়ারটা ছিল কাজী সালাহউদ্দিনের দখলে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে পরিবর্তনের জোয়ার ওঠে; যার ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছে। তবে বাফুফে সভাপতির চেয়ারে কারও হাত দেওয়ার সাধ্য ছিল না। কারণ ওই একটাই, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দেশের সরকারসংশ্লিষ্টরা দেশের ফুটবল ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আর হস্তক্ষেপ করলে নিষেধাজ্ঞার গ্যাঁড়াকলে পড়তে পারে দেশ। এমন নিয়মকে ঢাল হিসেবে রেখে আরেক দফা নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন কাজী সালাহউদ্দিন। কিন্তু দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাঝে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ইতি টানেন তাঁর লম্বা সময়ের পথচলার। এরপরই জল্পনাকল্পনা শুরু—কারা হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী।
সালাহউদ্দিনের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যপটে হাজির হন তরফদার রুহুল আমিন। রাজধানীর একটি হোটেলে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। শুরুতে যদিও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে ঢুকতেই চোখে পড়ে সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক এবং সাবেক কয়েকজন ফুটবলারকে।
সে ছবি তাৎক্ষণিক জানান দেয় তাবিথের প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু সবার ধারণার উল্টো চিত্রনাট্য লেখেন তরফদার। অথচ মাসখানেক আগেও তিনি নির্বাচন না করার কথা বলেছিলেন। রাতারাতি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে অবাক দেশের ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকে। সেদিন বহু আশার কথা আর প্রতিশ্রুতির বুলি শোনান সাইফ পাওয়ারটেকের মালিক। যদিও বাফুফের গত নির্বাচনেও সভাপতি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তরফদার। ভেতরে-ভেতরে জোর প্রচারও চালান। শেষ পর্যন্ত আর প্রার্থী হননি। এবারও যদি তেমন কিছু হয়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদিকে তাবিথের প্রার্থী হওয়াও অনেকের কাছে চমকের মতো ছিল। এই পথের চেনা মুখ তাবিথও এবার আশাবাদী। নেমেছেন একপ্রকার কোমর বেঁধেই। বললেন, ‘আমি গত তিনটি নির্বাচন করেছি। এবারও লড়ব। আর সেটা সভাপতি পদে। আমি আশাবাদী, জিতব।’
দেশের ফুটবলেরও চাওয়া, এবার সভাপতি পদে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন হোক। যেখানে কারও অটোপাসের সুযোগ থাকবে না। ২০১২ সাল থেকে দেশের ফুটবলের চালকের আসনে বসেছিলেন সালাহউদ্দিন। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর নিজের আস্থাভাজনদের নিয়ে গড়েন ‘ভোটব্যাংক’। পরের দুই দফায় তাঁর বিপক্ষে নির্বাচন করেও কেউ জিততে পারেননি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ প্রতাপ শংকর হাজরার সঙ্গে। এবার তাঁরও চাওয়া দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া ভালো মানুষ উঠে আসবে না। কাউন্সিলররা হয়তো একবার ভুল করেছে, দুবার করেছে। কিন্তু বারবার তো করবে না। এমন একটা দিনই তো আমরা দেখতে চেয়েছিলাম। একাধিক প্রার্থী হলে নির্বাচনও জমবে। আর ভোটারদেরও সুবিধা হবে, তারা সঠিক লোককে বেছে নিতে পারবে; যে কিনা ফুটবলের জন্য কিছু করবেন।’
তরফদার রুহুল আমিনের গত কয়েক দিনে বেশ ফুরফুরেই থাকার কথা! কারণ, তিনি ও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের চোখে একটা স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিল। এবারও বাফুফে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল করার একটা সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু এখন তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণে কঠিন পথই অতিক্রম করতে হবে। গতকাল সোমবার ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তাবিথ আউয়াল। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে করে আর বাফুফের সভাপতি হওয়ার পরীক্ষায় ‘অটোপাস’-এর সুযোগ রইল না।
গত ১৬ বছর বাফুফে সভাপতির চেয়ারটা ছিল কাজী সালাহউদ্দিনের দখলে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে পরিবর্তনের জোয়ার ওঠে; যার ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছে। তবে বাফুফে সভাপতির চেয়ারে কারও হাত দেওয়ার সাধ্য ছিল না। কারণ ওই একটাই, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দেশের সরকারসংশ্লিষ্টরা দেশের ফুটবল ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আর হস্তক্ষেপ করলে নিষেধাজ্ঞার গ্যাঁড়াকলে পড়তে পারে দেশ। এমন নিয়মকে ঢাল হিসেবে রেখে আরেক দফা নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন কাজী সালাহউদ্দিন। কিন্তু দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাঝে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ইতি টানেন তাঁর লম্বা সময়ের পথচলার। এরপরই জল্পনাকল্পনা শুরু—কারা হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী।
সালাহউদ্দিনের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যপটে হাজির হন তরফদার রুহুল আমিন। রাজধানীর একটি হোটেলে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। শুরুতে যদিও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে ঢুকতেই চোখে পড়ে সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক এবং সাবেক কয়েকজন ফুটবলারকে।
সে ছবি তাৎক্ষণিক জানান দেয় তাবিথের প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু সবার ধারণার উল্টো চিত্রনাট্য লেখেন তরফদার। অথচ মাসখানেক আগেও তিনি নির্বাচন না করার কথা বলেছিলেন। রাতারাতি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে অবাক দেশের ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকে। সেদিন বহু আশার কথা আর প্রতিশ্রুতির বুলি শোনান সাইফ পাওয়ারটেকের মালিক। যদিও বাফুফের গত নির্বাচনেও সভাপতি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তরফদার। ভেতরে-ভেতরে জোর প্রচারও চালান। শেষ পর্যন্ত আর প্রার্থী হননি। এবারও যদি তেমন কিছু হয়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদিকে তাবিথের প্রার্থী হওয়াও অনেকের কাছে চমকের মতো ছিল। এই পথের চেনা মুখ তাবিথও এবার আশাবাদী। নেমেছেন একপ্রকার কোমর বেঁধেই। বললেন, ‘আমি গত তিনটি নির্বাচন করেছি। এবারও লড়ব। আর সেটা সভাপতি পদে। আমি আশাবাদী, জিতব।’
দেশের ফুটবলেরও চাওয়া, এবার সভাপতি পদে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন হোক। যেখানে কারও অটোপাসের সুযোগ থাকবে না। ২০১২ সাল থেকে দেশের ফুটবলের চালকের আসনে বসেছিলেন সালাহউদ্দিন। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর নিজের আস্থাভাজনদের নিয়ে গড়েন ‘ভোটব্যাংক’। পরের দুই দফায় তাঁর বিপক্ষে নির্বাচন করেও কেউ জিততে পারেননি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ প্রতাপ শংকর হাজরার সঙ্গে। এবার তাঁরও চাওয়া দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা নির্বাচন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া ভালো মানুষ উঠে আসবে না। কাউন্সিলররা হয়তো একবার ভুল করেছে, দুবার করেছে। কিন্তু বারবার তো করবে না। এমন একটা দিনই তো আমরা দেখতে চেয়েছিলাম। একাধিক প্রার্থী হলে নির্বাচনও জমবে। আর ভোটারদেরও সুবিধা হবে, তারা সঠিক লোককে বেছে নিতে পারবে; যে কিনা ফুটবলের জন্য কিছু করবেন।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
১২ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১২ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১৩ ঘণ্টা আগে