ক্রীড়া ডেস্ক
রাজা হারালো বিশ্ব ফুটবল। সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। তাঁর আগে ফুটবলে কেউ এত সৌন্দর্যের তুলির আঁচড় দিতে পারেননি। ফুটবলের আজকের বৈশ্বিক জনপ্রিয়তাও এসেছে তাঁর হাত ধরে।
ফুটবলের যা কিছু প্রথম সব যেন পেলের কৃতিত্বে ভাস্বর। ২১ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে অসংখ্য অর্জন তাঁর ঝুলিতে। ১৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোল করেছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হোন তিনি।
ফুটবল পেলেকে দিয়েছে অমরত্ব। সেই অমরত্ব তো আর এমনি এমনি আসেনি। শৈশবের দারিদ্রতা তাঁকে দমাতে পারেনি। হয়ে উঠেছেন ফুটবল বিশ্বের রাজা। ফুটবলে অসংখ্য আইকনিক মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন পেলে। মৃত্যুর পর যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মতো মানুষের মনে ঘুরছে সেসব স্মৃতি। ফুটবল পায়ে পেলে এমন সব কীর্তি গড়েছেন যা তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক খেলোয়াড়ী জীবনে সেসবের কিছু মুহূর্ত।
জাদুকরী ড্রিবলিং: মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপে উরুগুরুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা গোলটি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন পেলে। বুলেট গতিতে এক দৌড়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে বল ছাড়াই দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে শটও নেন। কিন্তু বল চলে যায় গোলপোস্ট ঘেঁষে।
পেলের শৈল্পিক গোল: পেলে মাঠের শিল্পী। তাঁর তুলির আঁচড় যেখানে পড়েছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে কালজয়ী ছবি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক গোল করেন তিনি ১৯৫৯ সালে। বয়স তখন তাঁর মাত্র ১৮। সাবেক সতীর্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলা। সান্তোসের হয়ে জাগলিং করে জুভেন্টাসের তিন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে করেন অবিস্মরণীয় এক গোল। যা অনেকের মতে পেলের ক্যারিয়ারের সেরা গোল।
পেলের আইকনিক উদযাপন: কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর সাবেক সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরোর কাঁধে বসে সম্প্রতি শিরোপা উদযাপন করেছেন লিওনেল মেসি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের এক ভক্তের কাঁধে এমন বুনো উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল ডিয়োগো ম্যারাডোনাকে। তবে তাঁর আগেই এমন উদযাপনের আইকনিক ফ্রেমে বন্দী হয়েছেন পেলে। মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোলটি করার পর সতীর্থ জেয়ারজিনহোর কাঁধে চড়ে বসেন তিনি। যে ছবি দেখে আনন্দ পেয়েছেন বিশ্ববাসী।
গর্ডন ব্যাঙ্কসের ঐতিহাসিক সেভ: ‘আমি আনন্দিত তুমি গোলটি বাঁচানোয়। শান্তিতে ঘুমাও বন্ধু।’ গর্ডন ব্যাঙ্কসের মৃত্যুর পর এভাবেই বিদায় জানিয়েছিলেন পেলে। ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের দুর্দান্ত এক হেড রুখে দিয়ে ‘দ্য সেভ অব দ্য সেঞ্চুরি’ এক বইও লিখে পেলেন ব্যাঙ্কস। তাঁর এই সেভটি ফুটবল বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্ম তো দিয়েছেই, তেমনি বলা হয়ে থেকে, সর্বকালের সেরা সেভের একটি।
সুইডেনের বিপক্ষে গোল: ১৯৫৮ বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনালে ফুটবল ইতিহাসের বিখ্যাত গোলটি করেন পেলে। উড়ে আসা বল মাটিতে পড়ার আগেই জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্রাজিলের স্কোরটা করেন ৩-১।
মাঝমাঠ থেকে শট: ১৯৭০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিজের মান দেখান পেলে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেন দাপটের সঙ্গে। ১০ নম্বর জার্সির তারকা চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ব্যবধানটা করেন ৪-১। তবে সেই ম্যাচে স্মরণীয় এক মুহূর্তের জন্ম দেন তিনি মাঝমাঠ থেকে এক শট নিয়ে। নিজেদের অর্ধে থেকে শট নিয়ে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি। এমন শট এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৫ বছর বয়সে অভিষেক: মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদারি ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। এরপরই বিস্ময় বালক থেকে ডানা মেলে হয়ে ওঠেন প্রজাপতি। এর দুই বছর পর ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় এবং ১৯৫৮ বিশ্বকাপে খেলতে নামেন প্রথম বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে গড়েন সর্বকনিষ্ট হিসেবে গোলের রেকর্ড।
পেলের হ্যাটট্রিক: ১৯৬২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে বেনফিকার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন পেলে। সান্তোস জয় পায় ৫-২ গোলে।
রাজা হারালো বিশ্ব ফুটবল। সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। তাঁর আগে ফুটবলে কেউ এত সৌন্দর্যের তুলির আঁচড় দিতে পারেননি। ফুটবলের আজকের বৈশ্বিক জনপ্রিয়তাও এসেছে তাঁর হাত ধরে।
ফুটবলের যা কিছু প্রথম সব যেন পেলের কৃতিত্বে ভাস্বর। ২১ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে অসংখ্য অর্জন তাঁর ঝুলিতে। ১৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোল করেছেন। ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হোন তিনি।
ফুটবল পেলেকে দিয়েছে অমরত্ব। সেই অমরত্ব তো আর এমনি এমনি আসেনি। শৈশবের দারিদ্রতা তাঁকে দমাতে পারেনি। হয়ে উঠেছেন ফুটবল বিশ্বের রাজা। ফুটবলে অসংখ্য আইকনিক মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন পেলে। মৃত্যুর পর যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মতো মানুষের মনে ঘুরছে সেসব স্মৃতি। ফুটবল পায়ে পেলে এমন সব কীর্তি গড়েছেন যা তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক খেলোয়াড়ী জীবনে সেসবের কিছু মুহূর্ত।
জাদুকরী ড্রিবলিং: মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপে উরুগুরুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা গোলটি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন পেলে। বুলেট গতিতে এক দৌড়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে বল ছাড়াই দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে শটও নেন। কিন্তু বল চলে যায় গোলপোস্ট ঘেঁষে।
পেলের শৈল্পিক গোল: পেলে মাঠের শিল্পী। তাঁর তুলির আঁচড় যেখানে পড়েছে সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে কালজয়ী ছবি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক গোল করেন তিনি ১৯৫৯ সালে। বয়স তখন তাঁর মাত্র ১৮। সাবেক সতীর্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলা। সান্তোসের হয়ে জাগলিং করে জুভেন্টাসের তিন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে করেন অবিস্মরণীয় এক গোল। যা অনেকের মতে পেলের ক্যারিয়ারের সেরা গোল।
পেলের আইকনিক উদযাপন: কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর সাবেক সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরোর কাঁধে বসে সম্প্রতি শিরোপা উদযাপন করেছেন লিওনেল মেসি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের এক ভক্তের কাঁধে এমন বুনো উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল ডিয়োগো ম্যারাডোনাকে। তবে তাঁর আগেই এমন উদযাপনের আইকনিক ফ্রেমে বন্দী হয়েছেন পেলে। মেক্সিকোয় ১৯৭০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোলটি করার পর সতীর্থ জেয়ারজিনহোর কাঁধে চড়ে বসেন তিনি। যে ছবি দেখে আনন্দ পেয়েছেন বিশ্ববাসী।
গর্ডন ব্যাঙ্কসের ঐতিহাসিক সেভ: ‘আমি আনন্দিত তুমি গোলটি বাঁচানোয়। শান্তিতে ঘুমাও বন্ধু।’ গর্ডন ব্যাঙ্কসের মৃত্যুর পর এভাবেই বিদায় জানিয়েছিলেন পেলে। ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের দুর্দান্ত এক হেড রুখে দিয়ে ‘দ্য সেভ অব দ্য সেঞ্চুরি’ এক বইও লিখে পেলেন ব্যাঙ্কস। তাঁর এই সেভটি ফুটবল বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্ম তো দিয়েছেই, তেমনি বলা হয়ে থেকে, সর্বকালের সেরা সেভের একটি।
সুইডেনের বিপক্ষে গোল: ১৯৫৮ বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনালে ফুটবল ইতিহাসের বিখ্যাত গোলটি করেন পেলে। উড়ে আসা বল মাটিতে পড়ার আগেই জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্রাজিলের স্কোরটা করেন ৩-১।
মাঝমাঠ থেকে শট: ১৯৭০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিজের মান দেখান পেলে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেন দাপটের সঙ্গে। ১০ নম্বর জার্সির তারকা চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ব্যবধানটা করেন ৪-১। তবে সেই ম্যাচে স্মরণীয় এক মুহূর্তের জন্ম দেন তিনি মাঝমাঠ থেকে এক শট নিয়ে। নিজেদের অর্ধে থেকে শট নিয়ে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি। এমন শট এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৫ বছর বয়সে অভিষেক: মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদারি ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। এরপরই বিস্ময় বালক থেকে ডানা মেলে হয়ে ওঠেন প্রজাপতি। এর দুই বছর পর ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় এবং ১৯৫৮ বিশ্বকাপে খেলতে নামেন প্রথম বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে গড়েন সর্বকনিষ্ট হিসেবে গোলের রেকর্ড।
পেলের হ্যাটট্রিক: ১৯৬২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে বেনফিকার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন পেলে। সান্তোস জয় পায় ৫-২ গোলে।
খেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেট, আইসিসি
২৬ মিনিট আগেভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
২ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
৩ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে