স্কোয়াড ঘোষণার আগে থেকেই চোটের মিছিল শুরু হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে। চোটে একের পর একে তারকা ফুটবলারদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। দলে সুযোগ পেয়েও অনেকেই ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে। শেষ তালিকায় আর্জেন্টিনার হোয়াকিন কোরেয়া ও নিকো গঞ্জালেস আছেন। এ ছাড়া সাদিও মানে ও হোসে গায়া কাতারে পৌঁছেও একরাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। 

সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের মতো যেন নিজেদের স্বপ্নভঙ্গ না হয়, সে জন্য সতর্কতা অবলম্বন করেছেন লিওনেল মেসি ও তাঁর ৬ সতীর্থ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোট এড়াতে দলের অনুশীলন করেননি তাঁরা। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাকি সতীর্থরা অনুশীলন করলেও তাঁদের দেখা যায়নি ঘাম ঝরাতে। 

এটাই শেষ বিশ্বকাপ—কিছুদিন আগে জানিয়েছেন মেসি। ফলে নিজের অধরা স্বপ্নপূরণের এটাই শেষ সুযোগ তাঁর। তাই সব মিলিয়ে নিজেকে সুস্থ রেখে মাঠে নামতে চাচ্ছেন তিনি। এ জন্য দলের অনুশীলনে যোগ দেননি এই কিংবদন্তি। অধিনায়কের সঙ্গে শুক্রবারের অনুশীলনে যোগ দেননি আরও ছয় ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে চারজন নিয়মিত একাদশের খেলোয়াড়। তাঁরা হচ্ছেন ফরোয়ার্ড অ্যানহেল দি মারিয়া, মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারদেস ও ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্ডি। 

আর বাকি দুই ফুটবলার হচ্ছেন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ ও হুয়ান ফয়েথ। এঁরা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে অনুশীলন করার সঙ্গে জিমে ঘাম ঝরিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। 

শুক্রবার হয়তো এ জন্যই ফিফাকে ট্যাগ করে টুইট করেছেন মেসি। আর্জেন্টিনা জাদুকর লিখেছেন, ‘মেসি কি ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের একটি বল রুমে নিতে পারে?’ 

কাল কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ফুটবল মহাযজ্ঞ। টুর্নামেন্টে অন্যতম ফেবারিট দল হিসেবে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ শুরুর দুদিন আগে দলের দুই ফুটবলারকে হারিয়ে তাই কোচ লিওনেল স্কালোনিও এবার সতর্ক। টুর্নামেন্টের আগে আর কোনো শিষ্যকেই হারাতে চান না তিনি। এ জন্য বাধ্যতামূলক অনুশীলনও রাখেননি তিনি। 

 ২২ নভেম্বর, সৌদি আরবের বিপক্ষে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তারা ২৬ নভেম্বর, মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলার পর গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ নভেম্বর।