হাসনাত শোয়েব
ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।
ঢাকা: লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শ্যাঙ্কলি একবার ফুটবলকে জীবন-মরণের চেয়ে বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেছিলেন। শ্যাঙ্কলি নিশ্চয় খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বাস্তবতা হচ্ছে ফুটবল কেন, কোনো কিছুই জীবন মরণের অধিক নয়! এই করোনা মহামারি সেটিই আরেকবার প্রমাণ করেছে। মহামারিতেই এক বছর পিছিয়েছে ইউরো ২০২০। করোনার অস্তিত্ব অবশ্য এখনো পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। এটিকে সঙ্গে নিয়ে চলার অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে নিয়েছে। সেই নিয়মেই আজ থেকে মাঠে গড়াবে ইউরো। অথচ কাল দুপুর পর্যন্ত ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ জন।
আজ রোমের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে আতিথ্য দেবে ইতালি। কাকতালীয়ভাবে এই ইতালিই করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরো আয়োজনকে অনেকেই করপোরেট পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ফুটবলীয় আবেগকেও উপেক্ষা করার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ! হয়তো মৃত্যু ও মারির প্রাদুর্ভাবের মাঝে এমন একটি উৎসবই পারে অনেক দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে।
নতুন বাস্তবতার ইউরোতে অবশ্য বেশ কিছু নতুনত্বও থাকছে। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে পারফর্ম করবেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও দ্য এজ। ভার্চ্যুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন শিল্পীকে একই মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টিকা কার্ড কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
১১ দেশের ইউরো
করোনাভীতি মাথায় রেখেই ১১টি দেশ মিলে আয়োজন করছে এবারের ইউরো। এর আগে কখনোই দুইয়ের অধিক দেশ ইউরোর আয়োজন করেনি। ‘নিউ নরমাল’ পৃথিবীতে ফুটবলের বিশাল এই যজ্ঞ সফল করাও তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ম্যাচগুলো ঘিরে ইউরোপ জোনেই প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। যা নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। পাশাপাশি আছে খেলোয়াড়দের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এরই মধ্যে স্পেন দলে করোনার প্রকোপ দেখা গেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরনের ঘটনা আরও সামনে এলে দেখা দিতে পারে বড় বিপর্যয়। এসব দিক বিবেচনা করেই বড় করা হয়েছে ইউরোর স্কোয়াড।
জলবায়ু
এই ইউরো আয়োজনের বিপদ শুধু করোনা নয়, টুর্নামেন্ট ঘিরে সোচ্চার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এতগুলো দেশে ইউরো আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সময়ের মাঝে ইউরোপে বিমান ভ্রমণ এতটাই বেড়ে যাবে যা বাড়াতে পারে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন দেশের আয়োজনে সমন্বয় আনার বিষয়টিও। এই চ্যালেঞ্জ উয়েফা কতটা উতরে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
বর্ণবাদ
ইউরোতে চোখ থাকবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের দিকেও। ম্যাচের আগে দলগুলোর হাঁটু গেড়ে করা প্রতিবাদকে ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। এটিতে খেলোয়াড়দেরও শুনতে হয়েছে দুয়োও। ইউরোতে এই বিষয়টি নিয়ে চলমান বিতর্ক হয়তো আরও তীব্র হবে। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের আধিক্য ইউরোর স্কোয়াডগুলোতে বৈচিত্র্য এনেছে। চোখ থাকবে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের ওপরও। ইউরো তাই যতই মহাদেশীয় আয়োজন হোক, বৈশ্বিক একটি আবেদন ঠিকই থেকে যাচ্ছে। যেখানে রোমেলু লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হয়ে উঠতে পারেন টুর্নামেন্টের নায়ক।
রোনালদোর শেষ
এটিই শেষ ইউরো হতে যাচ্ছে অনেক বড় তারকার। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ও পরিস্থিতিকে সামনে রাখলে আগামী ইউরোতে রোনালদোর খেলার সম্ভাবনা শুধুই সম্ভাবনা।
রোনালদো অবশ্য একা নন, তালিকায় আছেন থমাস মুলার ও করিম বেনজেমার মতো তারকারাও। এই তারকাদের সামনে তাই সুযোগ আছে শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার। রোনালদো অবশ্য গত ইউরোতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে সেই অনুভূতি নিশ্চয় বিশেষ কিছুই হবে।
তারুণ্যের ঝান্ডা
রোনালদো–মুলারদের শেষ থেকেই শুরু করবেন ফিল ফোডেন, কাই হাভার্টজ এবং জুড বেলিংহামের মতো তারকারা। যাঁদের হাতেই আগামী দিনের ফুটবলের পতাকা। সেই ভার বহন করতে তারা সক্ষম কিনা সেটিই প্রমাণ হবে এই আসরে। যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তরুণ তুর্কি। গত ইউরো দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল গ্রিজমানের মতো তারকা।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
১ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগে