ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: ৮৫ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে স্পেন এগিয়ে ৩-১ গোলে। অনেকে হয়তো ম্যাচের শেষও লিখে ফেলেছে। কিন্তু ফুটবল যেন তার সমস্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে হাজির হয়েছিল কোপেনহেগেনে। সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ক্রোয়েশিয়া। প্রায় হারা ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে তারা নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ রক্ষা অবশ্য তাতেও হয়নি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আরও ২ গোল করে ৫-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই যথারীতি আক্রমণাত্মক স্পেন। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন মোরাতা-টোরেসরা। স্পেনের আক্রমণে এ সময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে ক্রোয়াটরা। তবে নিজেদের তৈরি সুযোগগুলো নিজেরাই নষ্ট করে স্পেন। ১৫ মিনিটে প্রথম সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন কোকে। ক্রোয়াট গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষভেদ করতে পারেননি এই স্প্যানিশ তারকা।
একটু পর আরও একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আলভারো মোরতা। দারুণ জায়গায় থেকেও সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড।
কোকে-মোরাতার এইসব ভুল তুচ্ছ হয়ে যায় স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমনের হাস্যকর এক ভুলে। দূর থেকে পেদ্রির করা ব্যাক পাস তাঁর পায়ে লেগে জালে জড়ালে স্রোতের বিপরীতে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। এটি ছিল এইবারের ইউরোর নবম আত্মঘাতী গোল।
অপ্রত্যাশিত লিড পেয়ে নতুন করে জেগে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। কয়েকবার স্পেনিশ রক্ষণে হানাও দেয় তারা। গোলের দেখা যদিও মেলেনি। ধাক্কা কাটিয়ে এরপর আবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে স্পেন। ৩৮ মিনিটে সাফল্যও মেলে স্পেনের। পাবলো সারাবিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্পেন।
বিরতির পরও যথারীতি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় স্পেন। স্পেনের প্রেসিংয়ে এ সময় প্রতি আক্রমণের ওপরই নির্ভর করতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। তবে হুটহাট সেসব আক্রমণ ফল এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। উল্টো স্পেনের আক্রমণে ৫৭ মিনিটে ভেঙে পড়ে ক্রোয়াট রক্ষণ। ফেরান টোরেসের ক্রসে দারুণ এক হেডে স্পেনকে লিড এনে দেন সিজার আজপিলিকুয়েতা। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সেই আক্রমণগুলো গোল এনে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে আরও পিছিয়ে দেন টোরেস। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা টোরেস পেয়ে যান তাঁর প্রাপ্য গোলটি। ম্যাচের নাটকীয়তা শেষ হতে তখনও অনেক বাকি! নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে আরেক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার মিসলাভ ওরসিক। ব্যবধান কমিয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। যোগ করা সময়ে স্পেনকে স্তব্ধ করে দারুণ এক হেডে ক্রোয়াটদের সমতায় ফেরান মারিও পাসালিচ।
আর গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বাড়তি ৩০ মিনিটের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া। ওরসিকের শট অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে যায়। একটু পর ক্রোয়েশিয়ার দারুণ এক আক্রমণ আরও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন স্পেন গোলরক্ষক সিমন। এরপর স্পেনের দুর্দান্ত এক আক্রমণ বাঁধাগ্রস্ত হয় ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে। তবে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি মোরাতাকে। দুর্দান্ত এক গোলে আবার স্পেনকে লিড এনে দেন সমালোচনায় থাকা মোরাতা। দানি অলমোর মাপা ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে লক্ষভেদ করেন মোরাতা। ১০৩ মিনিটে স্পেনকে ৫-৩ গোলে এগিয়ে দেন মিকেল ওয়াইরসাবাল। ততক্ষণে ইউরোতে এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও হয়ে গেছে। এর আগে ইতিহাসের প্রথম ইউরোর ম্যাচে ফ্রান্সকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছিল যুগোস্লাভিয়া। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে নাটকীয় জয়ে শেষ আটে ওঠে স্পেন।
ঢাকা: ৮৫ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে স্পেন এগিয়ে ৩-১ গোলে। অনেকে হয়তো ম্যাচের শেষও লিখে ফেলেছে। কিন্তু ফুটবল যেন তার সমস্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে হাজির হয়েছিল কোপেনহেগেনে। সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ক্রোয়েশিয়া। প্রায় হারা ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে তারা নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ রক্ষা অবশ্য তাতেও হয়নি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আরও ২ গোল করে ৫-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই যথারীতি আক্রমণাত্মক স্পেন। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন মোরাতা-টোরেসরা। স্পেনের আক্রমণে এ সময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে ক্রোয়াটরা। তবে নিজেদের তৈরি সুযোগগুলো নিজেরাই নষ্ট করে স্পেন। ১৫ মিনিটে প্রথম সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন কোকে। ক্রোয়াট গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষভেদ করতে পারেননি এই স্প্যানিশ তারকা।
একটু পর আরও একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আলভারো মোরতা। দারুণ জায়গায় থেকেও সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড।
কোকে-মোরাতার এইসব ভুল তুচ্ছ হয়ে যায় স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমনের হাস্যকর এক ভুলে। দূর থেকে পেদ্রির করা ব্যাক পাস তাঁর পায়ে লেগে জালে জড়ালে স্রোতের বিপরীতে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। এটি ছিল এইবারের ইউরোর নবম আত্মঘাতী গোল।
অপ্রত্যাশিত লিড পেয়ে নতুন করে জেগে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। কয়েকবার স্পেনিশ রক্ষণে হানাও দেয় তারা। গোলের দেখা যদিও মেলেনি। ধাক্কা কাটিয়ে এরপর আবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে স্পেন। ৩৮ মিনিটে সাফল্যও মেলে স্পেনের। পাবলো সারাবিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্পেন।
বিরতির পরও যথারীতি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় স্পেন। স্পেনের প্রেসিংয়ে এ সময় প্রতি আক্রমণের ওপরই নির্ভর করতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। তবে হুটহাট সেসব আক্রমণ ফল এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। উল্টো স্পেনের আক্রমণে ৫৭ মিনিটে ভেঙে পড়ে ক্রোয়াট রক্ষণ। ফেরান টোরেসের ক্রসে দারুণ এক হেডে স্পেনকে লিড এনে দেন সিজার আজপিলিকুয়েতা। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সেই আক্রমণগুলো গোল এনে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে আরও পিছিয়ে দেন টোরেস। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা টোরেস পেয়ে যান তাঁর প্রাপ্য গোলটি। ম্যাচের নাটকীয়তা শেষ হতে তখনও অনেক বাকি! নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে আরেক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার মিসলাভ ওরসিক। ব্যবধান কমিয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। যোগ করা সময়ে স্পেনকে স্তব্ধ করে দারুণ এক হেডে ক্রোয়াটদের সমতায় ফেরান মারিও পাসালিচ।
আর গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বাড়তি ৩০ মিনিটের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া। ওরসিকের শট অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে যায়। একটু পর ক্রোয়েশিয়ার দারুণ এক আক্রমণ আরও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন স্পেন গোলরক্ষক সিমন। এরপর স্পেনের দুর্দান্ত এক আক্রমণ বাঁধাগ্রস্ত হয় ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে। তবে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি মোরাতাকে। দুর্দান্ত এক গোলে আবার স্পেনকে লিড এনে দেন সমালোচনায় থাকা মোরাতা। দানি অলমোর মাপা ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে লক্ষভেদ করেন মোরাতা। ১০৩ মিনিটে স্পেনকে ৫-৩ গোলে এগিয়ে দেন মিকেল ওয়াইরসাবাল। ততক্ষণে ইউরোতে এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও হয়ে গেছে। এর আগে ইতিহাসের প্রথম ইউরোর ম্যাচে ফ্রান্সকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছিল যুগোস্লাভিয়া। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে নাটকীয় জয়ে শেষ আটে ওঠে স্পেন।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
১ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
২ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৩ ঘণ্টা আগে