নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এ যেন অভূতপূর্ব এক দৃশ্য! করোনার হুমকি মাথায় রেখেও কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক। মাঠের গ্যালারিতে জায়গা না পেয়ে ফিরে গেলেন অনেকেই। যাদের সমর্থন দিতে কমলাপুর স্টেডিয়াম মুখে দর্শকদের এমন ঢল, কম গেলেন না তারাও। আনাই মগিনির একমাত্র গোলে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
জাতীয় পর্যায়ে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবলে ঠিক যেন তার উল্টো। আগের নয় দেখার সাতটাতেই জিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সেই ব্যবধানটা আরও বাড়ালেন মারিয়া মান্ডারা।
বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল মাঠে উপস্থিত ১৫ হাজারের বেশি দর্শকও। স্টেডিয়ামের উত্তর-দক্ষিণ গ্যালারির পুরোটাই ছিল দর্শকে ভরপুর। ফাইনাল উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছিল গ্যালারির দুয়ার। ঢুকতে না পেরে স্টেডিয়াম গেট থেকে ফিরে গেলেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউব খেলা দেখেছেন প্রায় ২ লাখের মতো দর্শক। গ্যালারিতে যারা ঢুকেছেন তাদের সবার মুখে সারাক্ষণই লেগে রইল একটাই রব ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। নিজ দর্শকদের এমন প্রাণঢালা ভালোবাসার প্রতিদানটা বাংলাদেশের মেয়েরা দিলেন সাফের শিরোপা জিতেই।
গ্রুপপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে হারানো ম্যাচের একাদশ থেকে কেবল মার্জিয়াকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে প্রায় অপরিবর্তিত দলটাকেই ফাইনালে খেলিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। মার্জিয়ার পরিবর্তে শুরুর একাদশে খেলেছেন গ্রুপপর্বে ৫ গোল করা ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা।
পুরো ম্যাচে বলের দখলটা নিজেদের পায়ে রেখে ভারতের বিপক্ষে রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বল বেশির ভাগ সময়ই রইল স্বাগতিকদের পায়েই। বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রেখে ১৪ মিনিটে প্রায় এগিয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। মারিয়া মান্ডার দূরপাল্লার শটে বল ভারত গোলরক্ষক আনশিকার গ্লাভস ফসকালে ফিরতি বলে শট নেন তহুরা খাতুন। মাটি কামড়ে বল জালে ঢোকার মুখে গোললাইনে বল আটকে দেন আনশিকা। ‘গোল হয়েছে’, বাংলাদেশের ফুটবলারদের এমন দাবি সত্ত্বেও গোল না দেওয়ার দাবিতেই অনড় থাকেন নেপালি রেফারি রায় অঞ্জনা।
২৫ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার স্বাগতিকেরা। ডান প্রান্ত থেকে আনাই মগিনির আকাশে ভাসানো শট প্রতিহত হয় বারে। গোলমুখে দলের একজন থাকলে হয়তো সেই দফাতেই লিড পেত বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে আবারও গোল বঞ্চিত বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটে ডি-বক্সের মুখে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ভলি কোনার পোস্টে লেগে হয় প্রতিহত। ৬০ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার ক্রস থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডও খুঁজে পায়নি জাল। ৭৫ মিনিটে জটলার ভেতর বাংলাদেশ বল ঢোকালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান নেপালি রেফারি।
কয়েক দফা গোলের সুযোগ নষ্ট করার পর বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়ের মুহূর্তটা এসেছে ৮০ মিনিটে। শাহেদা আক্তার রিপার ব্যাকহিল থেকে আনাই মগিনির ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া দূরপাল্লার শট ঠেকাতে লাফিয়ে উঠেছিলেন ভারত গোলরক্ষক আনশিকা। বল তার গ্লাভস লেগে আলতো ভাবে জালে জড়ালে গোলের উৎসবে ভাসেন মাঠে ভর্তি দর্শক। বাকি সময়টা নিজেদের পায়ে বলের দখল রেখে ভারতকে আর আক্রমণে ফিরতে না দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এ যেন অভূতপূর্ব এক দৃশ্য! করোনার হুমকি মাথায় রেখেও কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক। মাঠের গ্যালারিতে জায়গা না পেয়ে ফিরে গেলেন অনেকেই। যাদের সমর্থন দিতে কমলাপুর স্টেডিয়াম মুখে দর্শকদের এমন ঢল, কম গেলেন না তারাও। আনাই মগিনির একমাত্র গোলে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
জাতীয় পর্যায়ে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবলে ঠিক যেন তার উল্টো। আগের নয় দেখার সাতটাতেই জিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সেই ব্যবধানটা আরও বাড়ালেন মারিয়া মান্ডারা।
বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল মাঠে উপস্থিত ১৫ হাজারের বেশি দর্শকও। স্টেডিয়ামের উত্তর-দক্ষিণ গ্যালারির পুরোটাই ছিল দর্শকে ভরপুর। ফাইনাল উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছিল গ্যালারির দুয়ার। ঢুকতে না পেরে স্টেডিয়াম গেট থেকে ফিরে গেলেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউব খেলা দেখেছেন প্রায় ২ লাখের মতো দর্শক। গ্যালারিতে যারা ঢুকেছেন তাদের সবার মুখে সারাক্ষণই লেগে রইল একটাই রব ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। নিজ দর্শকদের এমন প্রাণঢালা ভালোবাসার প্রতিদানটা বাংলাদেশের মেয়েরা দিলেন সাফের শিরোপা জিতেই।
গ্রুপপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে হারানো ম্যাচের একাদশ থেকে কেবল মার্জিয়াকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে প্রায় অপরিবর্তিত দলটাকেই ফাইনালে খেলিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। মার্জিয়ার পরিবর্তে শুরুর একাদশে খেলেছেন গ্রুপপর্বে ৫ গোল করা ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা।
পুরো ম্যাচে বলের দখলটা নিজেদের পায়ে রেখে ভারতের বিপক্ষে রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বল বেশির ভাগ সময়ই রইল স্বাগতিকদের পায়েই। বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রেখে ১৪ মিনিটে প্রায় এগিয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। মারিয়া মান্ডার দূরপাল্লার শটে বল ভারত গোলরক্ষক আনশিকার গ্লাভস ফসকালে ফিরতি বলে শট নেন তহুরা খাতুন। মাটি কামড়ে বল জালে ঢোকার মুখে গোললাইনে বল আটকে দেন আনশিকা। ‘গোল হয়েছে’, বাংলাদেশের ফুটবলারদের এমন দাবি সত্ত্বেও গোল না দেওয়ার দাবিতেই অনড় থাকেন নেপালি রেফারি রায় অঞ্জনা।
২৫ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার স্বাগতিকেরা। ডান প্রান্ত থেকে আনাই মগিনির আকাশে ভাসানো শট প্রতিহত হয় বারে। গোলমুখে দলের একজন থাকলে হয়তো সেই দফাতেই লিড পেত বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে আবারও গোল বঞ্চিত বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটে ডি-বক্সের মুখে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ভলি কোনার পোস্টে লেগে হয় প্রতিহত। ৬০ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার ক্রস থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডও খুঁজে পায়নি জাল। ৭৫ মিনিটে জটলার ভেতর বাংলাদেশ বল ঢোকালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান নেপালি রেফারি।
কয়েক দফা গোলের সুযোগ নষ্ট করার পর বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়ের মুহূর্তটা এসেছে ৮০ মিনিটে। শাহেদা আক্তার রিপার ব্যাকহিল থেকে আনাই মগিনির ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া দূরপাল্লার শট ঠেকাতে লাফিয়ে উঠেছিলেন ভারত গোলরক্ষক আনশিকা। বল তার গ্লাভস লেগে আলতো ভাবে জালে জড়ালে গোলের উৎসবে ভাসেন মাঠে ভর্তি দর্শক। বাকি সময়টা নিজেদের পায়ে বলের দখল রেখে ভারতকে আর আক্রমণে ফিরতে না দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৫ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৭ ঘণ্টা আগে