নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রায় ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরা। সেই ফেরাটা হতে পারত জয়ের আনন্দে রঙিন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ যখন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায়, তখনই লাল-সবুজ শিবিরকে হতাশায় ভাসালেন সাবিত্রা ভান্ডারি।
কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এই নেপালকে হারিয়েই গত সেপ্টেম্বরে সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৬৪ মিনিটে সাবিনা খাতুনের গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে সেই গোল শোধ দিয়ে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে নেপাল।
এই ড্রয়ে অবশ্য খুব বেশি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যেভাবে ম্যাড়মেড়ে শুরুটা হয়েছিল দুই দলের তাতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে যে গোল হয়েছে—সেটাই অনেকটা অবাক করার মতো।
ম্যাচে আফিদা খন্দকারকে অভিষেক করিয়ে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ। পরে বদলি হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহেদা আক্তার রিপা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার।
দীর্ঘ ১০ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলে না থাকার অনভ্যস্ততা স্পষ্ট দেখা গেল বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায়। পাসগুলো ঠিকভাবে হয়নি, ফুটবলারদের খেলায় বেশ আড়ষ্টভাব। আক্রমণে সিরাত জাহান স্বপ্নার অভাব বেশ ভালোই টের পেয়েছে বাংলাদেশ দল। গত মে মাসে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন সাফজয়ী ফরোয়ার্ড। গত সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে গোল করে এগিয়ে দেওয়া শামসুন্নাহার জুনিয়রের অভাবও স্পষ্ট এলোমেলো বাংলাদেশ দলে।
প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে দুই দলের পায়েই বল রইল এলোমেলোভাবে। এর মধ্যে ১৬ মিনিটে একবার সুযোগ এল বাংলাদেশের সামনে। নেপালের বক্সে সাবিনা খাতুনের ভলিতে কৃষ্ণা রানী সরকার পায়ে গলাতে পারলে স্বাগতিকেরা হয়তো এগিয়ে যেতে পারত। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কেবল এই উল্লেখযোগ্য আক্রমণ।
প্রথমার্ধের মতো বাংলাদেশ যেমন তেমন দ্বিতীয়ার্ধেও। এই অর্ধে বেশ আক্রমণাত্মক নেপাল। ৫৪ মিনিটে সাবিত্রা ভান্ডারির ফ্রি কিক কাঁপন ধরিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণে।
ঝিমোতে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎই জেগে উঠল ৬০ মিনিটের পর। ৫৯ মিনিটে সানজিদা আক্তারের জায়গা বদলি হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক শাহেদা আক্তার রিপার। অভিষিক্ত রিপার পাস ধরে ৬৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া স্বাগতিকদের। বক্সের বাইরে থেকে নেপালের দুই খেলোয়াড়ের মাঝখান দিয়ে ডিফেন্স চেরা এক পাস বাড়ান রিপা। ফাঁকাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবিনা খাতুন। বল পেয়েই ডান পোস্ট থেকে আড়াআড়ি শটে জালে জড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৭৩ মিনিটে সেই গোলের জবাবটা প্রায় দিয়েই দিয়েছিল নেপাল। ডান প্রান্ত ধরে সাবিত্রা ভান্ডারির কাট ব্যাকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে ফাঁকায় পেয়ে যান রেশমি কুমারি ঘিসিং। রেশমির শট ফিস্টে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে দেননি রুপনা।
নেপালের আক্রমণের দুই মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ হারান সাবিনা। মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্দার পাস থেকে নেপাল গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলটা জালে জড়াতে পারেননি সাবিনা, শট মেরেছেন নেপাল গোলরক্ষকের গায়ে।
সাবিনার গোলে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের খুব কাছে যখন বাংলাদেশ তখনই অঘটন। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ম্যাচ শেষ হতে বাকি তখন আর মাত্র ৩ মিনিট। এমন সময়ই মরিয়া আক্রমণ নেপালের। যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় সেই সাবিত্রা ভান্ডারিই বাংলাদেশ বক্সের জটলা থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে ভাঙেন সাবিনাদের হৃদয়।
প্রায় ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরা। সেই ফেরাটা হতে পারত জয়ের আনন্দে রঙিন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ যখন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায়, তখনই লাল-সবুজ শিবিরকে হতাশায় ভাসালেন সাবিত্রা ভান্ডারি।
কমলাপুরের শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এই নেপালকে হারিয়েই গত সেপ্টেম্বরে সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৬৪ মিনিটে সাবিনা খাতুনের গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে সেই গোল শোধ দিয়ে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে নেপাল।
এই ড্রয়ে অবশ্য খুব বেশি হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যেভাবে ম্যাড়মেড়ে শুরুটা হয়েছিল দুই দলের তাতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে যে গোল হয়েছে—সেটাই অনেকটা অবাক করার মতো।
ম্যাচে আফিদা খন্দকারকে অভিষেক করিয়ে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ। পরে বদলি হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহেদা আক্তার রিপা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার।
দীর্ঘ ১০ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলে না থাকার অনভ্যস্ততা স্পষ্ট দেখা গেল বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায়। পাসগুলো ঠিকভাবে হয়নি, ফুটবলারদের খেলায় বেশ আড়ষ্টভাব। আক্রমণে সিরাত জাহান স্বপ্নার অভাব বেশ ভালোই টের পেয়েছে বাংলাদেশ দল। গত মে মাসে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন সাফজয়ী ফরোয়ার্ড। গত সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে গোল করে এগিয়ে দেওয়া শামসুন্নাহার জুনিয়রের অভাবও স্পষ্ট এলোমেলো বাংলাদেশ দলে।
প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে দুই দলের পায়েই বল রইল এলোমেলোভাবে। এর মধ্যে ১৬ মিনিটে একবার সুযোগ এল বাংলাদেশের সামনে। নেপালের বক্সে সাবিনা খাতুনের ভলিতে কৃষ্ণা রানী সরকার পায়ে গলাতে পারলে স্বাগতিকেরা হয়তো এগিয়ে যেতে পারত। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কেবল এই উল্লেখযোগ্য আক্রমণ।
প্রথমার্ধের মতো বাংলাদেশ যেমন তেমন দ্বিতীয়ার্ধেও। এই অর্ধে বেশ আক্রমণাত্মক নেপাল। ৫৪ মিনিটে সাবিত্রা ভান্ডারির ফ্রি কিক কাঁপন ধরিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণে।
ঝিমোতে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎই জেগে উঠল ৬০ মিনিটের পর। ৫৯ মিনিটে সানজিদা আক্তারের জায়গা বদলি হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক শাহেদা আক্তার রিপার। অভিষিক্ত রিপার পাস ধরে ৬৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া স্বাগতিকদের। বক্সের বাইরে থেকে নেপালের দুই খেলোয়াড়ের মাঝখান দিয়ে ডিফেন্স চেরা এক পাস বাড়ান রিপা। ফাঁকাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবিনা খাতুন। বল পেয়েই ডান পোস্ট থেকে আড়াআড়ি শটে জালে জড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৭৩ মিনিটে সেই গোলের জবাবটা প্রায় দিয়েই দিয়েছিল নেপাল। ডান প্রান্ত ধরে সাবিত্রা ভান্ডারির কাট ব্যাকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে ফাঁকায় পেয়ে যান রেশমি কুমারি ঘিসিং। রেশমির শট ফিস্টে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে দেননি রুপনা।
নেপালের আক্রমণের দুই মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ হারান সাবিনা। মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্দার পাস থেকে নেপাল গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলটা জালে জড়াতে পারেননি সাবিনা, শট মেরেছেন নেপাল গোলরক্ষকের গায়ে।
সাবিনার গোলে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের খুব কাছে যখন বাংলাদেশ তখনই অঘটন। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ম্যাচ শেষ হতে বাকি তখন আর মাত্র ৩ মিনিট। এমন সময়ই মরিয়া আক্রমণ নেপালের। যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় সেই সাবিত্রা ভান্ডারিই বাংলাদেশ বক্সের জটলা থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে ভাঙেন সাবিনাদের হৃদয়।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
২৮ মিনিট আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
২ ঘণ্টা আগে