সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা
হোর্হে মেন্দেসের সঙ্গে দর-কষাকষিতে আরেকটু বনিবনা হলেই ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেটা হচ্ছে না নিশ্চিত হয়ে শহরের ‘আরেক অংশে’ যোগাযোগ করতে শুরু করেন ‘সুপার এজেন্ট’খ্যাত মেন্দেস। তাতেই বহু বাঁকবদলের দলবদলে শেষ নাটকের মঞ্চায়ন।
এক যুগ পর রোনালদো ফের গা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া আসর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের স্রোতে। ফিরলেন তাঁকে মহাতারকা বানানো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
‘প্রিয় সন্তানের’ প্রত্যাবর্তনে ম্যানচেস্টারের লাল ভুবনে যখন বইতে শুরু করেছে উৎসবের জোয়ার, ঠিক তখন হাজার মাইল দূরের শহর তুরিনে বাজছে বিউগলের করুণ সুর। সেটা যতটা না রোনালদোকে হারানোর কারণে, তার চেয়েও বেশি তাঁকে দিয়ে লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায়। সাদা-কালো শিবিরে তাঁর মতো মহাতারকাকে আনার উদ্দেশ্য ছিল একটাই–উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তিনবারের চেষ্টাতেও যখন দুই যুগের আক্ষেপ ঘোচানো গেল না, তখন জুভেন্টাস সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লির ‘রোনালদো প্রকল্পকে’ ব্যর্থই বলা যায়।
জুভদের ক্লাব ইতিহাসে রোনালদোই ছিলেন প্রথম ফুটবলার, যাঁকে শুধু মাঠের প্রধান অস্ত্র নয়; বাণিজ্যদূত হিসেবেও কাজে লাগিয়েছে তারা। সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে দলে ভেড়াতেই জুভেন্টাসের রাজস্ব হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী, শুধু জার্সি বিক্রিতেই ভারী হয়েছে ব্যাংক ব্যালান্স, তরতর করে বেড়েছে ক্লাবের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’।
তাইতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার ধারেকাছে যেতে না পারলেও ফুটবল বিশ্ব জুভেন্টাসকে সমীহ করেছে রোনালদোর কারণেই। এমনকি গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের কাছে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা ইতালিয়ান সিরি ‘আ’-এর শিরোপা (স্কুদেত্তো) খুইয়েও ঔজ্জ্বল্য হারায়নি জুভরা। এই মহামারিকালে বেশির ভাগ ক্লাবের আর্থিক অবস্থা যখন সংকটাপন্ন, তখনো ইতালিয়ান ক্লাবটির পেছনে বড় বড় পৃষ্ঠপোষক কোম্পানি বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছে পতুর্গিজ ফরোয়ার্ডের কথা ভেবেই।
এখানেই শেষ নয়। চার মৌসুম আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব) জুভেন্টাসের অনুসারী ছিল ৪৯ মিলিয়ন। রোনালদো তুরিনে তাঁবু গাড়তেই অনুসারীর আকার হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, ১১২.৭ মিলিয়ন। ২০১৯ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে আরও ৮ বছর, সেটিও ৩৫৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। এই অঙ্কটাও আগের চুক্তির চেয়ে দ্বিগুণ!
এত এত আর্থিক অগ্রগতির ভিড়ে আগনেল্লি যখন ধরেই নিয়েছিলেন মেয়াদ পূর্ণ করে (২০২২ সালের জুন পর্যন্ত) ক্লাব ছাড়বেন রোনালদো, তখনই তাঁর অনুমানকে ভুল প্রমাণ করলেন তিনি।
এখন জুভদের না আছে রোনালদো, না আছে বড় ট্রফি। ফুটবল নক্ষত্রের প্রস্থানে কবে বুঝি বিনিয়োগকারীরাও ক্লাবটির ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়! একূল-ওকূল দুই-ই হারিয়ে তুরিনে এখন শুধুই হাহাকার।
হোর্হে মেন্দেসের সঙ্গে দর-কষাকষিতে আরেকটু বনিবনা হলেই ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেটা হচ্ছে না নিশ্চিত হয়ে শহরের ‘আরেক অংশে’ যোগাযোগ করতে শুরু করেন ‘সুপার এজেন্ট’খ্যাত মেন্দেস। তাতেই বহু বাঁকবদলের দলবদলে শেষ নাটকের মঞ্চায়ন।
এক যুগ পর রোনালদো ফের গা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া আসর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের স্রোতে। ফিরলেন তাঁকে মহাতারকা বানানো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
‘প্রিয় সন্তানের’ প্রত্যাবর্তনে ম্যানচেস্টারের লাল ভুবনে যখন বইতে শুরু করেছে উৎসবের জোয়ার, ঠিক তখন হাজার মাইল দূরের শহর তুরিনে বাজছে বিউগলের করুণ সুর। সেটা যতটা না রোনালদোকে হারানোর কারণে, তার চেয়েও বেশি তাঁকে দিয়ে লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায়। সাদা-কালো শিবিরে তাঁর মতো মহাতারকাকে আনার উদ্দেশ্য ছিল একটাই–উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তিনবারের চেষ্টাতেও যখন দুই যুগের আক্ষেপ ঘোচানো গেল না, তখন জুভেন্টাস সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লির ‘রোনালদো প্রকল্পকে’ ব্যর্থই বলা যায়।
জুভদের ক্লাব ইতিহাসে রোনালদোই ছিলেন প্রথম ফুটবলার, যাঁকে শুধু মাঠের প্রধান অস্ত্র নয়; বাণিজ্যদূত হিসেবেও কাজে লাগিয়েছে তারা। সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে দলে ভেড়াতেই জুভেন্টাসের রাজস্ব হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী, শুধু জার্সি বিক্রিতেই ভারী হয়েছে ব্যাংক ব্যালান্স, তরতর করে বেড়েছে ক্লাবের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’।
তাইতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার ধারেকাছে যেতে না পারলেও ফুটবল বিশ্ব জুভেন্টাসকে সমীহ করেছে রোনালদোর কারণেই। এমনকি গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের কাছে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা ইতালিয়ান সিরি ‘আ’-এর শিরোপা (স্কুদেত্তো) খুইয়েও ঔজ্জ্বল্য হারায়নি জুভরা। এই মহামারিকালে বেশির ভাগ ক্লাবের আর্থিক অবস্থা যখন সংকটাপন্ন, তখনো ইতালিয়ান ক্লাবটির পেছনে বড় বড় পৃষ্ঠপোষক কোম্পানি বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছে পতুর্গিজ ফরোয়ার্ডের কথা ভেবেই।
এখানেই শেষ নয়। চার মৌসুম আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব) জুভেন্টাসের অনুসারী ছিল ৪৯ মিলিয়ন। রোনালদো তুরিনে তাঁবু গাড়তেই অনুসারীর আকার হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, ১১২.৭ মিলিয়ন। ২০১৯ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে আরও ৮ বছর, সেটিও ৩৫৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। এই অঙ্কটাও আগের চুক্তির চেয়ে দ্বিগুণ!
এত এত আর্থিক অগ্রগতির ভিড়ে আগনেল্লি যখন ধরেই নিয়েছিলেন মেয়াদ পূর্ণ করে (২০২২ সালের জুন পর্যন্ত) ক্লাব ছাড়বেন রোনালদো, তখনই তাঁর অনুমানকে ভুল প্রমাণ করলেন তিনি।
এখন জুভদের না আছে রোনালদো, না আছে বড় ট্রফি। ফুটবল নক্ষত্রের প্রস্থানে কবে বুঝি বিনিয়োগকারীরাও ক্লাবটির ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়! একূল-ওকূল দুই-ই হারিয়ে তুরিনে এখন শুধুই হাহাকার।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
২০ মিনিট আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৪৪ মিনিট আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১ ঘণ্টা আগে