ক্রীড়া ডেস্ক
জাদুকর বললেও যেন লিওনেল স্কালোনির জন্য তা কম হয়ে যায়। তাঁর জাদুর ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখতে পাওয়া রীতিমতো এখন ডাল–ভাত। যেকোনো মেজর টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যেন এখন আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া যায়।
একের পর এক শিরোপা জিততে থাকা আর্জেন্টিনাকেই একসময় ডাকা হতো ‘আর জেতে না’ নামে। আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে অথচ শিরোপার ছোঁয়া পাবে না—এটা একরকম অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা—সব জায়গাতেই আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের জন্য গল্পটা ছিল এমন হতাশার। যে লিওনেল মেসি ক্লাব পর্যায়ে একের পর এক শিরোপা জিততেন, তাঁর ক্যাবিনেট হাহাকার করত আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটি শিরোপা জয়ের জন্য। তিনিও শিরোপার কাছে এসে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন বারবার।
শুধু তা–ই নয়, আর্জেন্টিনা দলে কোচও পরিবর্তন হতো বারবার। আলেহান্দ্রো সাবেয়ার অধীনে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হওয়ার পরের চার বছরে এসেছেন তিন কোচ, যার মধ্যে জেরার্দো তাতা মার্তিনো সর্বোচ্চ দুই বছর টিকতে পেরেছিলেন (২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত)। এদগার্দো বাউজা (২০১৬ থেকে ২০১৭) এবং হোর্হে সামপাওলি (২০১৭ থেকে ২০১৮) আলবিসেলেস্তের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক বছর করে, যেখানে সামপাওলি ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেওয়ার পর সাম্পাওলি পদত্যাগ করেছেন।
সাম্পাওলির যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু স্কালোনির। যদিও ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে স্কালোনি নিয়োগ পাওয়ার পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও স্কালোনির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই স্কালোনি ধীরে ধীরে দলকে তৈরি করেছেন। আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছেন। দুই সিনিয়র মেসি, আনহেল দি মারিয়ার সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, রদ্রিগো ডি পল—সবাইকে পরিবারের মতো এক সুতোয় বাঁধতে পেরেছেন স্কালোনি। প্রথম সাফল্যটা তিনি পেয়েছেন ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে। মারাকানায় সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটায়। মেসিরও সেটা আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম কোনো শিরোপা।
ব্রাজিলের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২২ ফিনালিসিমা, ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০২৪ কোপা আমেরিকা—আরও তিনটি শিরোপা জেতে স্কালোনির আর্জেন্টিনা। সব মিলে স্কালোনি তিন বছর ব্যবধানে জিতলেন চারটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা। যেখানে ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর কাতারের আইকনিক লুসাইলে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোয়। মায়ামির হার্ড রকে আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা তো কোপার শিরোপা ধরে রেখেছেই। পাশাপাশি উরুগুয়েকে পেছনে ফেলে ১৬তম শিরোপা জেতে কোপায় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে আর্জেন্টিনা।
কৌশলগত দিক থেকেও স্কালোনি মাস্টারক্লাস কোচের পরিচয় দিয়েই চলেছেন। এবারের কোপা আমেরিকার কথাই চিন্তা করা যাক। শতভাগ ফিট না হওয়া মেসিকে এক ম্যাচ বিশ্রাম দিয়েছেন স্কালোনি। এমনকি সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে মেসিকে যেকোনো মূল্যে খেলানোর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাহসী কোচ না হলে কয়জন কোচের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব! সেই মেসি টুর্নামেন্টে তাঁর প্রথম গোল পেয়ে যান সেমিতে। বদলি হিসেবে লাওতারো মার্তিনেজকে খেলিয়েছেন চার ম্যাচে। তাঁর আস্থার প্রতিদান লাওতারো দিয়েছেন দারুণভাবে। মায়ামিতে আজ ফাইনালে ১১২ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর অ্যাসিস্ট থেকে মার্তিনেজ গোল করলে সুদূর ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে শিরোপা জয়ের হিসাব করলে যৌথভাবে দুইয়ে স্কালোনি। স্কালোনির সমান চার শিরোপা জিতেছেন আলফিও বাসিলে। বাসিলে জেতেন দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি করে কনফেডারেশনস কাপ ও ফিনালিসিমা। কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা আর্জেন্টিনাকে জেতানোর কীর্তি গুইলার্মো স্ট্যাবিলের। স্ট্যাবিলের ছয়টি শিরোপা ছিল কোপা আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনায় ছয় বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে স্কালোনি যখন চারটি শিরোপা জিতেছেন, স্ট্যাবিলের রেকর্ডও কত দিন অক্ষুণ্ন থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন-
জাদুকর বললেও যেন লিওনেল স্কালোনির জন্য তা কম হয়ে যায়। তাঁর জাদুর ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখতে পাওয়া রীতিমতো এখন ডাল–ভাত। যেকোনো মেজর টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যেন এখন আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া যায়।
একের পর এক শিরোপা জিততে থাকা আর্জেন্টিনাকেই একসময় ডাকা হতো ‘আর জেতে না’ নামে। আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে অথচ শিরোপার ছোঁয়া পাবে না—এটা একরকম অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা—সব জায়গাতেই আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের জন্য গল্পটা ছিল এমন হতাশার। যে লিওনেল মেসি ক্লাব পর্যায়ে একের পর এক শিরোপা জিততেন, তাঁর ক্যাবিনেট হাহাকার করত আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটি শিরোপা জয়ের জন্য। তিনিও শিরোপার কাছে এসে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন বারবার।
শুধু তা–ই নয়, আর্জেন্টিনা দলে কোচও পরিবর্তন হতো বারবার। আলেহান্দ্রো সাবেয়ার অধীনে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হওয়ার পরের চার বছরে এসেছেন তিন কোচ, যার মধ্যে জেরার্দো তাতা মার্তিনো সর্বোচ্চ দুই বছর টিকতে পেরেছিলেন (২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত)। এদগার্দো বাউজা (২০১৬ থেকে ২০১৭) এবং হোর্হে সামপাওলি (২০১৭ থেকে ২০১৮) আলবিসেলেস্তের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক বছর করে, যেখানে সামপাওলি ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেওয়ার পর সাম্পাওলি পদত্যাগ করেছেন।
সাম্পাওলির যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু স্কালোনির। যদিও ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে স্কালোনি নিয়োগ পাওয়ার পর অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও স্কালোনির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই স্কালোনি ধীরে ধীরে দলকে তৈরি করেছেন। আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছেন। দুই সিনিয়র মেসি, আনহেল দি মারিয়ার সঙ্গে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, রদ্রিগো ডি পল—সবাইকে পরিবারের মতো এক সুতোয় বাঁধতে পেরেছেন স্কালোনি। প্রথম সাফল্যটা তিনি পেয়েছেন ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে। মারাকানায় সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটায়। মেসিরও সেটা আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম কোনো শিরোপা।
ব্রাজিলের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২২ ফিনালিসিমা, ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০২৪ কোপা আমেরিকা—আরও তিনটি শিরোপা জেতে স্কালোনির আর্জেন্টিনা। সব মিলে স্কালোনি তিন বছর ব্যবধানে জিতলেন চারটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা। যেখানে ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর কাতারের আইকনিক লুসাইলে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোয়। মায়ামির হার্ড রকে আজ কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা তো কোপার শিরোপা ধরে রেখেছেই। পাশাপাশি উরুগুয়েকে পেছনে ফেলে ১৬তম শিরোপা জেতে কোপায় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ে আর্জেন্টিনা।
কৌশলগত দিক থেকেও স্কালোনি মাস্টারক্লাস কোচের পরিচয় দিয়েই চলেছেন। এবারের কোপা আমেরিকার কথাই চিন্তা করা যাক। শতভাগ ফিট না হওয়া মেসিকে এক ম্যাচ বিশ্রাম দিয়েছেন স্কালোনি। এমনকি সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে মেসিকে যেকোনো মূল্যে খেলানোর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাহসী কোচ না হলে কয়জন কোচের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব! সেই মেসি টুর্নামেন্টে তাঁর প্রথম গোল পেয়ে যান সেমিতে। বদলি হিসেবে লাওতারো মার্তিনেজকে খেলিয়েছেন চার ম্যাচে। তাঁর আস্থার প্রতিদান লাওতারো দিয়েছেন দারুণভাবে। মায়ামিতে আজ ফাইনালে ১১২ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর অ্যাসিস্ট থেকে মার্তিনেজ গোল করলে সুদূর ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে শিরোপা জয়ের হিসাব করলে যৌথভাবে দুইয়ে স্কালোনি। স্কালোনির সমান চার শিরোপা জিতেছেন আলফিও বাসিলে। বাসিলে জেতেন দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি করে কনফেডারেশনস কাপ ও ফিনালিসিমা। কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা আর্জেন্টিনাকে জেতানোর কীর্তি গুইলার্মো স্ট্যাবিলের। স্ট্যাবিলের ছয়টি শিরোপা ছিল কোপা আমেরিকাতেই। আর্জেন্টিনায় ছয় বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে স্কালোনি যখন চারটি শিরোপা জিতেছেন, স্ট্যাবিলের রেকর্ডও কত দিন অক্ষুণ্ন থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন-
ভুলে যাওয়ার মতো একটি দিনই কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাও বাজে দিনটা এল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের সময়ই। তাঁর সুযোগ মিসের মহড়ার দিনে ব্রাজিল পারল না জিততে। হতাশা ঝরেছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের কণ্ঠে।
২ মিনিট আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে একই টুর্নামেন্টে হারানো তো সহজ কথা নয়। প্যারাগুয়ে এবার সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে প্যারাগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। দুই মাস পর আজ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে প্যারাগুয়ে।
১ ঘণ্টা আগেএই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১৩ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ ঘণ্টা আগে