বিশ্বকাপের আগের তিন আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে সেই অভিশাপ কাবু করতে পারেনি ফ্রান্সকে। রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতা ফরাসিরা সবার আগে নিশ্চিত করেছিল কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো। তার জন্য তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য হয়ে দাঁড়ায় নকআউটের জন্য প্রস্তুতি সারার।

দিদিয়ের দেশমও আগে জানিয়েছিলেন ম্যাচটিতে স্কোয়াডের বাকি সদস্যদের খেলানোর। কথা অনুযায়ী তিনি আক্রমণভাগে তিন বড় তারকা অলিভিয়ের জিরু, আঁতোয়া গ্রিজমান ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে রাখেননি শুরুর একাদশে। সুযোগ দেন মাত্তেও গেন্দুজি, রান্দাল কোলো মুয়ানিদের। তবে হার দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে ফ্রান্স। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে ফরাসিরা।

দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ফ্রান্সের বিপক্ষে জিতলেই চলত না জালের কাদরির শিষ্যদের। ‘ডি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে ড্র করতে হতো ডেনমার্কের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু অজিরা ড্যানিশদের হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। যার কারণে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়েও লাভ হলো না তিউনিসিয়ার।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল তিউনিসিয়া। ৮ মিনিটে ভলিতে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন নাদের গানদ্রি। উদযাপনেও মেতে ওঠে কাদরির শিষ্যরা। কিন্তু ততক্ষণে ফ্ল্যাগ উঁচিয়ে ধরেছেন সহকারী রেফারি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। কাতার বিশ্বকাপের যা পরিচিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গোল না পেলেও প্রথমার্ধে ফ্রান্সের রক্ষণভাগে বেশ ভয় ছড়িয়েছে তিউনিসিয়া। ১৭ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল তারা। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। অর্ধেক শক্তি নিয়ে নামা দেশমের দলও বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে।

বিরতির থেকে ফিরেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তিউনিসিয়া। এই ম্যাচ জিতলেই যে তাদের সামনে সুযোগ শেষ ষোলোয় যাওয়ার! সেই লক্ষ্য আক্রমণ ধার বাড়ায় আফ্রিকান দেশটি। ৫৮ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তিউনিসিয়া। আইসা লাইদুনির পাস থেকে বল জালে পাঠান ওয়াহবি খাজরি। আরেকবার গোল উদযাপনে মেতে ওঠে কাদরির শিষ্যরা। কাতার বিশ্বকাপে এটা তাদের প্রথম গোলও। আর এ নিয়ে তিউনিসিয়ার শেষ পাঁচ গোলের প্রত্যেকটিতে অবদান রেখেছেন খাজরি। যার মধ্যে তিন গোলের পাশাপাশি করেছেন দুই অ্যাসিস্ট।

গোল হজমের পর মাঠে নামেন এমবাপ্পে ও ওসমানে দেম্বলে। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে ডি-বক্সের ভেতর বদলি হিসেবে নামা গ্রিজমানের হাফ ভলিতে গোল শোধও দিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করে দেন। অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় সমতায় ফেরা হয়নি ফ্রান্সের।