ক্রীড়া ডেস্ক
ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে লিওনেল মেসির আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে যাওয়ার বিষয়টি আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড নিজেই। গত পরশু দুই স্প্যানিশ ক্রীড়ামাধ্যম স্পোর্ত ও মুন্দো দেপার্তিভোকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা। তার কিছু চুম্বক অংশ তুলে দেওয়া হলো এখানে—
প্রশ্ন: যদি বার্সেলোনা না হয়, পরের গন্তব্য কোথায়? সৌদি আরব? মিয়ামি?
লিওনেল মেসি: আমি মিয়ামিতে (ইন্টার) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনো শতভাগ কিছুই হয়নি। কিছু চূড়ান্ত বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।
প্রশ্ন: সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবার সঙ্গে?
মেসি: মিডিয়া আরেকটি বিষয় জানিয়েছে যে, বুসি ও আলবার সঙ্গে আমি সৌদি আরবে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকে তাদের নিজের ভবিষ্যৎ খোঁজে। কোনো সময়ে আমরা এক জায়গায় যেতে রাজি ছিলাম না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং জানি না তারা কী করতে যাচ্ছে। আমি কারও সঙ্গে কোনো কিছু ব্যবস্থা করে রাখি না।
প্রশ্ন: আপনি যেমন বলছেন, এটা স্পটলাইট ছেড়ে যাওয়া?
মেসি: হ্যাঁ, ইউরোপ ছাড়ছি। আরেকটি ইউরোপিয়ান দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সে ব্যাপারে ভেবেও দেখিনি। ইউরোপ হলে আমার পরিকল্পনায় ছিল শুধু বার্সেলোনায় যাওয়া। বিশ্বকাপ জেতার পর এবং বার্সায় ফেরা সম্ভব না হওয়ায় সময় এসেছে আমেরিকান লিগে ফুটবলকে ভিন্নভাবে ও প্রতিদিন উপভোগের অভিজ্ঞতা নেওয়ার। নিঃসন্দেহে সেই একই দায়িত্ব ও একই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জিততে চাই এবং সব সময় ভালো করতে চাই। তবে সেটা আরও বেশি মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে।
প্রশ্ন: আমরাও এখানে এসেছি বার্সার ব্যাপারে কথা বলতে। আপনি কি তাদের মিস করেন?
মেসি: হ্যাঁ, আসলেই আমি তাদের মিস করি। এমনকি শুরুর চেয়েও বেশি, যখন এখানে আমার প্রথম বছর খুব কঠিন ছিল। আমি চলে যাওয়ার পরেও আমি তাদের অনুসরণ করেছি। সব সময় তাদের খেলা দেখতাম, সব সময় স্মৃতিগুলো মনে পড়ত—আহ, যদি ওখানে থাকা হতো!
প্রশ্ন: তাদের খেলা দেখেন। আমার মনে হয়, তারা যখন লিগ জিতল, তখন বার্সার অন্যান্য সমর্থকের মতো আপনিও খুশি হয়েছিলেন।
মেসি: হ্যাঁ, অবশ্যই। সারা বছর আমি তাদের খেলা দেখি এবং বার্সেলোনার সব সমর্থকের মতো আমিও চেয়েছিলাম বার্সা লিগ জিতুক। এমনকি প্রথম বছরেও (ছেড়ে আসার), কয়েক ম্যাচ পর আমি জাভির সঙ্গে কথা বলেছিলাম।
প্রশ্ন: ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?
মেসি: সত্যি হলো, হ্যাঁ। আমি সত্যিই ফিরতে চেয়েছিলাম, সত্যি এই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে আমাকে সেখান থেকে যেভাবে চলে যেতে হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার পরে আমি চাইনি আবারও একই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে। কী ঘটছে সেটি দেখতে অপেক্ষা করছি। নিজের ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইনি। নিজের ও আমার পরিবারের জন্য নিজের সিদ্ধান্তটা নিজে নিতে চেয়েছিলাম। এমনও শুনেছি, তারা জানিয়েছিল লিগ সবকিছু মেনে নিয়েছে এবং আমার ফিরে আসতে সব ঠিক আছে…তবে সেখানে অনেক কিছুর ঘাটতি ছিল। আমি শুনেছি তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করতে হচ্ছে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হচ্ছে। আমি এর মধ্যে যেতে চাইনি, এমন কোনো কিছুর জন্য দায়ী হতে চাইনি।
বার্সেলোনায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠেছিল, যেটা সত্য ছিল না এবং এতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আবারও আমি এসবের মধ্যে যেতে চাইনি। ভয় পাচ্ছিলাম, একই বিষয়গুলো না আবার ঘটে এবং আগেকার মতো তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাকে প্যারিসে আসতে হয়েছিল এবং পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন হোটেলে থাকতে হয়েছে, এখনো হোটেলেই আছি। আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে চেয়েছি। বার্সায় এ কারণে ফিরিনি।
প্রশ্ন: আপনি কি আপনার হৃদয়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন?
মেসি: আমি ফিরতে চেয়েছি (বার্সায়)। এমন এক অবস্থায় আছি, একটু স্পটলাইট থেকেও বেরিয়ে আসতে চাই। পরিবার নিয়ে আরেকটু ভাবতে চাই। যেমনটা বলেছি, দুই বছর ছিলাম (প্যারিসে), যা আমার পরিবারের জন্য ভালো ছিল না এবং নিজেও উপভোগ করিনি। আমার জন্য উচ্ছ্বাসের মাস ছিল যেবার আমরা বিশ্বকাপ জিতলাম। এর বাইরে কঠিন সময় কেটেছে এবং আমার পরিবার ও সন্তানের জন্য আনন্দকে পুনরায় আবিষ্কার করতে চাই, এ কারণে বার্সায় ফেরা হয়নি।
প্রশ্ন: সিদ্ধান্ত নিতে কোন বিষয়টি বেশি মূল্যায়ন করেছেন?
মেসি: বিশ্বকাপ জেতার পর অন্যকিছু খুঁজছিলাম এবং কিছুটা মানসিক প্রশান্তিও।
ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে লিওনেল মেসির আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে যাওয়ার বিষয়টি আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড নিজেই। গত পরশু দুই স্প্যানিশ ক্রীড়ামাধ্যম স্পোর্ত ও মুন্দো দেপার্তিভোকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা। তার কিছু চুম্বক অংশ তুলে দেওয়া হলো এখানে—
প্রশ্ন: যদি বার্সেলোনা না হয়, পরের গন্তব্য কোথায়? সৌদি আরব? মিয়ামি?
লিওনেল মেসি: আমি মিয়ামিতে (ইন্টার) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনো শতভাগ কিছুই হয়নি। কিছু চূড়ান্ত বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।
প্রশ্ন: সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবার সঙ্গে?
মেসি: মিডিয়া আরেকটি বিষয় জানিয়েছে যে, বুসি ও আলবার সঙ্গে আমি সৌদি আরবে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকে তাদের নিজের ভবিষ্যৎ খোঁজে। কোনো সময়ে আমরা এক জায়গায় যেতে রাজি ছিলাম না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং জানি না তারা কী করতে যাচ্ছে। আমি কারও সঙ্গে কোনো কিছু ব্যবস্থা করে রাখি না।
প্রশ্ন: আপনি যেমন বলছেন, এটা স্পটলাইট ছেড়ে যাওয়া?
মেসি: হ্যাঁ, ইউরোপ ছাড়ছি। আরেকটি ইউরোপিয়ান দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সে ব্যাপারে ভেবেও দেখিনি। ইউরোপ হলে আমার পরিকল্পনায় ছিল শুধু বার্সেলোনায় যাওয়া। বিশ্বকাপ জেতার পর এবং বার্সায় ফেরা সম্ভব না হওয়ায় সময় এসেছে আমেরিকান লিগে ফুটবলকে ভিন্নভাবে ও প্রতিদিন উপভোগের অভিজ্ঞতা নেওয়ার। নিঃসন্দেহে সেই একই দায়িত্ব ও একই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জিততে চাই এবং সব সময় ভালো করতে চাই। তবে সেটা আরও বেশি মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে।
প্রশ্ন: আমরাও এখানে এসেছি বার্সার ব্যাপারে কথা বলতে। আপনি কি তাদের মিস করেন?
মেসি: হ্যাঁ, আসলেই আমি তাদের মিস করি। এমনকি শুরুর চেয়েও বেশি, যখন এখানে আমার প্রথম বছর খুব কঠিন ছিল। আমি চলে যাওয়ার পরেও আমি তাদের অনুসরণ করেছি। সব সময় তাদের খেলা দেখতাম, সব সময় স্মৃতিগুলো মনে পড়ত—আহ, যদি ওখানে থাকা হতো!
প্রশ্ন: তাদের খেলা দেখেন। আমার মনে হয়, তারা যখন লিগ জিতল, তখন বার্সার অন্যান্য সমর্থকের মতো আপনিও খুশি হয়েছিলেন।
মেসি: হ্যাঁ, অবশ্যই। সারা বছর আমি তাদের খেলা দেখি এবং বার্সেলোনার সব সমর্থকের মতো আমিও চেয়েছিলাম বার্সা লিগ জিতুক। এমনকি প্রথম বছরেও (ছেড়ে আসার), কয়েক ম্যাচ পর আমি জাভির সঙ্গে কথা বলেছিলাম।
প্রশ্ন: ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?
মেসি: সত্যি হলো, হ্যাঁ। আমি সত্যিই ফিরতে চেয়েছিলাম, সত্যি এই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে আমাকে সেখান থেকে যেভাবে চলে যেতে হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার পরে আমি চাইনি আবারও একই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে। কী ঘটছে সেটি দেখতে অপেক্ষা করছি। নিজের ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইনি। নিজের ও আমার পরিবারের জন্য নিজের সিদ্ধান্তটা নিজে নিতে চেয়েছিলাম। এমনও শুনেছি, তারা জানিয়েছিল লিগ সবকিছু মেনে নিয়েছে এবং আমার ফিরে আসতে সব ঠিক আছে…তবে সেখানে অনেক কিছুর ঘাটতি ছিল। আমি শুনেছি তাদের খেলোয়াড় বিক্রি করতে হচ্ছে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হচ্ছে। আমি এর মধ্যে যেতে চাইনি, এমন কোনো কিছুর জন্য দায়ী হতে চাইনি।
বার্সেলোনায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠেছিল, যেটা সত্য ছিল না এবং এতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আবারও আমি এসবের মধ্যে যেতে চাইনি। ভয় পাচ্ছিলাম, একই বিষয়গুলো না আবার ঘটে এবং আগেকার মতো তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাকে প্যারিসে আসতে হয়েছিল এবং পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন হোটেলে থাকতে হয়েছে, এখনো হোটেলেই আছি। আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে চেয়েছি। বার্সায় এ কারণে ফিরিনি।
প্রশ্ন: আপনি কি আপনার হৃদয়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন?
মেসি: আমি ফিরতে চেয়েছি (বার্সায়)। এমন এক অবস্থায় আছি, একটু স্পটলাইট থেকেও বেরিয়ে আসতে চাই। পরিবার নিয়ে আরেকটু ভাবতে চাই। যেমনটা বলেছি, দুই বছর ছিলাম (প্যারিসে), যা আমার পরিবারের জন্য ভালো ছিল না এবং নিজেও উপভোগ করিনি। আমার জন্য উচ্ছ্বাসের মাস ছিল যেবার আমরা বিশ্বকাপ জিতলাম। এর বাইরে কঠিন সময় কেটেছে এবং আমার পরিবার ও সন্তানের জন্য আনন্দকে পুনরায় আবিষ্কার করতে চাই, এ কারণে বার্সায় ফেরা হয়নি।
প্রশ্ন: সিদ্ধান্ত নিতে কোন বিষয়টি বেশি মূল্যায়ন করেছেন?
মেসি: বিশ্বকাপ জেতার পর অন্যকিছু খুঁজছিলাম এবং কিছুটা মানসিক প্রশান্তিও।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
১ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
২ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৩ ঘণ্টা আগে