ক্রীড়া ডেস্ক
গোল ছাড়া যেন কিছুই বোঝেন না আর্লিং হালান্ড। ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে তিনি মেতেছেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায়। সিটিজেনদের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। তাঁর (হালান্ড) সঙ্গে, পরে সবখানেই আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড হালান্ড পুরোপুরি নিজেরই করতে পারতেন। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইতিহাদের মঞ্চটা তাঁর জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে তিনি সেই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন। এক সপ্তাহ না যেতেই সেই ইতিহাদে সিটির হয়ে শততম গোল পেলেন। প্রিমিয়ার লিগে গত রাতে সিটির প্রতিপক্ষ ছিল আর্সেনাল। ব্রাজিলের স্যাভিনিয়ার পাস প্রথমে রিসিভ করেন হালান্ড, তারপর আর্সেনালের গোলরক্ষক দাভিদ রায়ার বাঁ পাশ দিয়ে নিচু শটে লক্ষ্য ভেদ করেন। তাতে সিটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন হালান্ড। নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারের সমান ১০৫ ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড রোনালদোর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ২০১১ সালে রেকর্ডটি গড়েন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ৯০১ গোলের মালিক যে-ই রোনালদো, তাঁর নামই তো থাকবে রেকর্ড বইয়ের পাতায় পাতায়। নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে ১০০ গোলের রেকর্ডে সেরা পাঁচে দুবারই দেখা গেছে তাঁর নাম। জুভেন্টাসের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে রোনালদোর লেগেছিল ১৩১ ম্যাচ। সমান ১৩১ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে কিংবদন্তি রুদ ফন নিস্তেলরয় ১০০ গোলের কীর্তি গড়েন। নিস্তেলরয়-রোনালদো দুজনেই আছেন এই তালিকায় যৌথভাবে পাঁচে।
হালান্ডের রেকর্ড গড়ার ম্যাচটিতে ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য জিততে পারেনি। সিটি-আর্সেনাল ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে, যেখানে হালান্ড ৯ মিনিটে গোলমুখ খোলার পর আর্সেনাল সমতায় ফিরেছে ২২ মিনিটে। সমতাসূচক গোলটি করেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার রিকার্দো ক্যালাফিওরি। প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই গানার্সদের সঙ্গে ঘটে দুটি ঘটনা। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মাগালহেইসের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। গানার্সরা ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন আর্সেনাল স্ট্রাইকার লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। তিনি মাঠ ছেড়েছেন দুটি হলুদ কার্ড দেখে।
ম্যাচে একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল আর্সেনালের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখনই সবকিছু বদলে যায়। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৮ মিনিটে মুখ রক্ষা করেন ম্যানসিটির ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ২-২ গোলের জয়ে ২০২৪-২৫ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রইল সিটি। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট এখন সিটিজেনদের। দুই, তিন ও চারে থাকা লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের পয়েন্ট ১২, ১২ ও ১১।
হালান্ড তাঁর ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত করেছেন ২৩৫ গোল। খেলেছেন ২৭১ ম্যাচ। যেখানে সর্বোচ্চ ১০০ গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। সিটির ১০০ গোলের ৭৩টি এসেছে প্রিমিয়ার লিগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ গোল করেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে। নরওয়ের জার্সিতে হালান্ড ৩৫ ম্যাচে করেছেন ৩২ গোল। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৪ বছর ৬৩ দিন। যেভাবে ‘পাগলা ঘোড়ার’ মতো ছুটে চলেছেন হালান্ড, তাতে রোনালদো-লিওনেল মেসির মতো তারকাদের গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়া অসম্ভব নয়।
কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে দ্রুততম ১০০ গোল (ম্যাচের হিসেবে)
ক্লাব ম্যাচ
আর্লিং হালান্ড ম্যানচেস্টার সিটি ১০৫
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ১০৫
লুইস সুয়ারেজ বার্সেলোনা ১২০
জলাতান ইব্রাহিমোভিচ পিএসজি ১২৪
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাস ১৩১
রুদ ফন নিস্তেলরয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৩১
এডিনসন কাভানি নাপোলি ১৩৫
গোল ছাড়া যেন কিছুই বোঝেন না আর্লিং হালান্ড। ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে তিনি মেতেছেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায়। সিটিজেনদের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। তাঁর (হালান্ড) সঙ্গে, পরে সবখানেই আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড হালান্ড পুরোপুরি নিজেরই করতে পারতেন। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইতিহাদের মঞ্চটা তাঁর জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে তিনি সেই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন। এক সপ্তাহ না যেতেই সেই ইতিহাদে সিটির হয়ে শততম গোল পেলেন। প্রিমিয়ার লিগে গত রাতে সিটির প্রতিপক্ষ ছিল আর্সেনাল। ব্রাজিলের স্যাভিনিয়ার পাস প্রথমে রিসিভ করেন হালান্ড, তারপর আর্সেনালের গোলরক্ষক দাভিদ রায়ার বাঁ পাশ দিয়ে নিচু শটে লক্ষ্য ভেদ করেন। তাতে সিটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন হালান্ড। নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারের সমান ১০৫ ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড রোনালদোর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ২০১১ সালে রেকর্ডটি গড়েন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ৯০১ গোলের মালিক যে-ই রোনালদো, তাঁর নামই তো থাকবে রেকর্ড বইয়ের পাতায় পাতায়। নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে ১০০ গোলের রেকর্ডে সেরা পাঁচে দুবারই দেখা গেছে তাঁর নাম। জুভেন্টাসের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে রোনালদোর লেগেছিল ১৩১ ম্যাচ। সমান ১৩১ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে কিংবদন্তি রুদ ফন নিস্তেলরয় ১০০ গোলের কীর্তি গড়েন। নিস্তেলরয়-রোনালদো দুজনেই আছেন এই তালিকায় যৌথভাবে পাঁচে।
হালান্ডের রেকর্ড গড়ার ম্যাচটিতে ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য জিততে পারেনি। সিটি-আর্সেনাল ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে, যেখানে হালান্ড ৯ মিনিটে গোলমুখ খোলার পর আর্সেনাল সমতায় ফিরেছে ২২ মিনিটে। সমতাসূচক গোলটি করেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার রিকার্দো ক্যালাফিওরি। প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই গানার্সদের সঙ্গে ঘটে দুটি ঘটনা। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মাগালহেইসের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। গানার্সরা ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন আর্সেনাল স্ট্রাইকার লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। তিনি মাঠ ছেড়েছেন দুটি হলুদ কার্ড দেখে।
ম্যাচে একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল আর্সেনালের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখনই সবকিছু বদলে যায়। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৮ মিনিটে মুখ রক্ষা করেন ম্যানসিটির ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ২-২ গোলের জয়ে ২০২৪-২৫ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রইল সিটি। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট এখন সিটিজেনদের। দুই, তিন ও চারে থাকা লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের পয়েন্ট ১২, ১২ ও ১১।
হালান্ড তাঁর ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত করেছেন ২৩৫ গোল। খেলেছেন ২৭১ ম্যাচ। যেখানে সর্বোচ্চ ১০০ গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। সিটির ১০০ গোলের ৭৩টি এসেছে প্রিমিয়ার লিগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ গোল করেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে। নরওয়ের জার্সিতে হালান্ড ৩৫ ম্যাচে করেছেন ৩২ গোল। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৪ বছর ৬৩ দিন। যেভাবে ‘পাগলা ঘোড়ার’ মতো ছুটে চলেছেন হালান্ড, তাতে রোনালদো-লিওনেল মেসির মতো তারকাদের গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়া অসম্ভব নয়।
কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে দ্রুততম ১০০ গোল (ম্যাচের হিসেবে)
ক্লাব ম্যাচ
আর্লিং হালান্ড ম্যানচেস্টার সিটি ১০৫
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ১০৫
লুইস সুয়ারেজ বার্সেলোনা ১২০
জলাতান ইব্রাহিমোভিচ পিএসজি ১২৪
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাস ১৩১
রুদ ফন নিস্তেলরয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৩১
এডিনসন কাভানি নাপোলি ১৩৫
সিনেমা, নাটক-কোনো কিছুরই তো কমতি ছিল না আজ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের রেফারি অ্যান্ডারসন দারাঙ্কোর একের পর এক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রেফারির সঙ্গে এক চোট হয়েই গেছে মেসির। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে কথাও বলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
২৮ মিনিট আগেভুলে যাওয়ার মতো একটি দিনই কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাও বাজে দিনটা এল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের সময়ই। তাঁর সুযোগ মিসের মহড়ার দিনে ব্রাজিল পারল না জিততে। হতাশা ঝরেছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের কণ্ঠে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে একই টুর্নামেন্টে হারানো তো সহজ কথা নয়। প্যারাগুয়ে এবার সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে প্যারাগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। দুই মাস পর আজ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে প্যারাগুয়ে।
২ ঘণ্টা আগেএই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে