বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই বছরে বদলে যাওয়া এক গল্প। দলের সহ-অধিনায়ক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, মাসসেরা—সব মিলিয়ে ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন তিনি, সেই সব গল্পই শোনালেন আজকের পত্রিকাকে। গতকাল তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
প্রশ্ন: ২৩ বছর বয়সেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট দেখতে চান নিজের নামের পাশে?
নাহিদা আক্তার: এটা এখন বলা কঠিন। সব সময় চেষ্টা করি দলে অবদান রাখতে। দলের হয়ে খেলতে পারছি, এটা আমার কাছে অনেক গর্বের ব্যাপার। আসলে ২০০-৩০০ উইকেট...এসব নিয়ে চিন্তা করি না। যতটুকু সম্ভব ক্যারিয়ারটা বড় করতে চাই, যেন ভালো খেলে যেতে পারি। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় গর্বের কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। এই পরিসংখ্যানে আপনার ধারেকাছেও বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। অথচ এর আগের ছয় বছরে উইকেট ছিল মাত্র ৬৩টি। নিজের কোথায় বেশি পরিবর্তন করেছেন এই সাফল্যে?
নাহিদা: আমাদের দল যখন আইসিসির এফটিপিতে ঢুকে যায়, তখন থেকে আমরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আগে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটার একটা প্রভাব আছে। আর যদি পরিবর্তনের কথা বলেন, সবারই একটা লক্ষ্য থাকে—না, আরও যদি সিরিয়াস হওয়া যায়, বেশি ম্যাচ খেলা যায়, আমার পরিকল্পনা সেরকমই ছিল। নিজের বোলিং লাইন-লেংথ কতটুকু ভালো রাখা যায়, বোলিংয়ে কতটা উন্নতি করা যায়, এসব নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আপনার ক্যারিয়ারের ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন?
নাহিদা: আমাদের অনেক ভালো একটা বছর কেটেছে। ২০২৩ সালটা আমার জন্য অনেক ভালো গেছে, দোয়া করবেন যেন প্রতিটি বছর এভাবে যায় (হাসি)। দেশের হয়ে খেলছি, আমার কাছে এটাই অনেক গর্বের ব্যাপার। আমাকে সিনিয়র ক্রিকেটার সালমা, রুমানা, জাহানারা আপু সব সময় সমর্থন করেছে। তাদের সমর্থনেই আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাঁরা যদি আমাকে ভালো পরামর্শ না দিতেন, এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
প্রশ্ন: এ বছর ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী?
নাহিদা: আপনি যত বেশি ম্যাচ খেলবেন, তত বেশি অভিজ্ঞ হবেন। বললেন না, আমি গত দুই বছর অনেক উইকেট পেয়েছি। কীভাবে? অবশ্যই আমি ম্যাচ বেশি খেলেছি, অভিজ্ঞতা বেড়েছে। ওটাই হচ্ছে, আমরা এখন ম্যাচ খেলছি, অভিজ্ঞতা বাড়ছে। জুনিয়র যারা আছে, তারাও ধীরে ধীরে ভালো করছে। এখান থেকেই আসলে আমদের পরিবর্তন। আরেকটা ব্যাপার, আমরা একজনের সাফল্যে আরেকজন উৎসাহিত হচ্ছি। আমাদের দলের বন্ধন আগের চেয়ে অনেক ভালো। দল হিসেবে পারফরম্যান্স করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলের আইসিসির মাসসেরা প্রথম ক্রিকেটার হওয়ার আনন্দটা এখনো কি কাজ করছে মনে?
নাহিদা: এটা দারুণ অনুভূতি। একটা ভালো অর্জন সবারই ভালো লাগে। এই অর্জনের পেছনে আমার সতীর্থ-কোচদের অবদান আছে। সবার সমর্থনেই আমার এই অর্জন।
প্রশ্ন: বছরটা দারুণ কেটেছে দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতলেন। কিন্তু জয় দিয়ে শুরু করেও সিরিজ জেতা হলো না। কোথায় খেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ?
নাহিদা: আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিগত দিনে দেশের বাইরে রেকর্ড আমাদের অত ভালো ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল এবার যেন ভালো কিছু করতে পারি। ভালো ছন্দে ছিলাম, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি, আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল ভালো একটা অবস্থায় এসেছে। সবাই বলেছে, দলের রান বেশি হচ্ছে না, ফর্মে নেই। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা সেখানে ভালো করেছে, ফর্মে ফিরেছে। পিংকির সেঞ্চুরি, মুরশিদার ৯০ রানের একটা ইনিংস। অধিনায়কেরও ভালো অবদান ছিল। এটাও আমাদের একটা অর্জন। আমরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছি। প্রথম দুই ওয়ানডে অসাধারণ খেলেছি। শেষ ম্যাচ দ্রুত অলআউট হয়েছি, হতেই পারে। সব মিলিয়ে বলব, আমরা ভালো খেলেছি।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আর ২০-৩০ রান বেশি হলেই তো ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। নারী দলের ব্যাটারদের সব সময় কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়। কেউ কেউ বলেন, এটা স্কিলের সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী করণীয়?
নাহিদা: সবাই এ কথাটা বলে। আগে থেকে অনেক উন্নতি করেছি আমরা এই জায়গায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৫০ রান করেছি। তখন কিন্তু এ রকম কথা আসেনি। অনেক সময় উইকেটের আচরণও সেরকম থাকে। সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হয়। সব সময় যে ২৪০-২৫০ রান হবে, সেটাও না। এসব বিবেচনায় এই সিরিজে আমাদের ব্যাটাররা অনেক ভালো খেলেছে।
প্রশ্ন: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার তিন বছর হতে চলল। মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেট শুরু করতে বিসিবি আরও সময় নেওয়ার পক্ষে। আপনিও তা-ই মনে করেন?
নাহিদা: সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। কিন্তু টেস্ট খেলার আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে চার দিন খেলতে পারব না। এর জন্য ঘরোয়া লিগে ভালো খেলতে হবে। বিসিবি গত মৌসুমে আমাদের দুই দিনের ম্যাচ দিয়েছে। এভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আমরা ফিট হয়ে তারপর টেস্ট খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখনো স্পিনারদেরই দাপট। পুরুষ দলের মতো নারী দলেও কবে দেখা যেতে পারে পেস বিপ্লব?
নাহিদা: অবশ্যই আমাদের পেসাররা ভালো করছে। একসঙ্গে এত উন্নতি চাইলে হবে না। ধীরে ধীরে আমাদের এগোতে হবে। এখন আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছি। ব্যাটাররা ভালো করছে, বোলাররা ভালো করছে। আমি বলব, স্পিনারদের সঙ্গে পেসাররা অনেক সাপোর্ট দিচ্ছে। পেসাররা অনেক দিন ধরে খুব ভালো পরিশ্রম করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পেসাররা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাজত্ব করবে।
প্রশ্ন: অনেক দেশেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। ভারতে মেয়েদের আইপিএল যথেষ্ট জমজমাট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আরও উন্নতি করতে বিপিএল কিংবা এমন টুর্নামেন্টের প্রয়োজন কতটা অনুভব করেন?
নাহিদা: অবশ্যই এটা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিন্তা করছে। ভারতের ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের ক্রিকেটের তুলনা কখনো সম্ভব নয়। তবু বলব, ক্রিকেট বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা করছে, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, সামনে হয়তো এ রকম কোনো টুর্নামেন্ট হতে পারে। আমরা আশাবাদী, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল এখন যেভাবে খেলছে, তখন হয়তো আরও ভালো ক্রিকেট খেলব।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক সাফল্যের পরও মাঝে নারী দলের পাঁচ মাসের বেতন আটকে থাকল। এটা কতটা দুঃখজনক?
নাহিদা: এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। বোর্ড তো বেতন দিয়ে দিয়েছে পরে। কোনো না কোনো সমস্যা হয়তো হয়েছিল।
প্রশ্ন: উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাহিদা: আমাদের লক্ষ্য সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। ওভাবেই আমরা খেলছি। সবার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, বাছাইপর্ব যেন না খেলা লাগে, সরাসরি যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি। আমাদের আরও অনেক সিরিজ আছে, আমরা চেষ্টা করব সিরিজ ধরে ধরে এগোতে।
বয়স তাঁর ২৩। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর কাটিয়ে দেওয়া নাহিদা আক্তারের ২০২৩ সালটা গেল সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। এ বছরই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন তিনি। কিশোরগঞ্জের নাহিদা যেন গত দুই বছরে বদলে যাওয়া এক গল্প। দলের সহ-অধিনায়ক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, মাসসেরা—সব মিলিয়ে ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন তিনি, সেই সব গল্পই শোনালেন আজকের পত্রিকাকে। গতকাল তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
প্রশ্ন: ২৩ বছর বয়সেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট দেখতে চান নিজের নামের পাশে?
নাহিদা আক্তার: এটা এখন বলা কঠিন। সব সময় চেষ্টা করি দলে অবদান রাখতে। দলের হয়ে খেলতে পারছি, এটা আমার কাছে অনেক গর্বের ব্যাপার। আসলে ২০০-৩০০ উইকেট...এসব নিয়ে চিন্তা করি না। যতটুকু সম্ভব ক্যারিয়ারটা বড় করতে চাই, যেন ভালো খেলে যেতে পারি। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় গর্বের কিছু হতে পারে না।
প্রশ্ন: গত দুই বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। এই পরিসংখ্যানে আপনার ধারেকাছেও বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। অথচ এর আগের ছয় বছরে উইকেট ছিল মাত্র ৬৩টি। নিজের কোথায় বেশি পরিবর্তন করেছেন এই সাফল্যে?
নাহিদা: আমাদের দল যখন আইসিসির এফটিপিতে ঢুকে যায়, তখন থেকে আমরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আগে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটার একটা প্রভাব আছে। আর যদি পরিবর্তনের কথা বলেন, সবারই একটা লক্ষ্য থাকে—না, আরও যদি সিরিয়াস হওয়া যায়, বেশি ম্যাচ খেলা যায়, আমার পরিকল্পনা সেরকমই ছিল। নিজের বোলিং লাইন-লেংথ কতটুকু ভালো রাখা যায়, বোলিংয়ে কতটা উন্নতি করা যায়, এসব নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: এ বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আপনার ক্যারিয়ারের ২০২৩ সালকে কোথায় রাখবেন?
নাহিদা: আমাদের অনেক ভালো একটা বছর কেটেছে। ২০২৩ সালটা আমার জন্য অনেক ভালো গেছে, দোয়া করবেন যেন প্রতিটি বছর এভাবে যায় (হাসি)। দেশের হয়ে খেলছি, আমার কাছে এটাই অনেক গর্বের ব্যাপার। আমাকে সিনিয়র ক্রিকেটার সালমা, রুমানা, জাহানারা আপু সব সময় সমর্থন করেছে। তাদের সমর্থনেই আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাঁরা যদি আমাকে ভালো পরামর্শ না দিতেন, এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
প্রশ্ন: এ বছর ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী?
নাহিদা: আপনি যত বেশি ম্যাচ খেলবেন, তত বেশি অভিজ্ঞ হবেন। বললেন না, আমি গত দুই বছর অনেক উইকেট পেয়েছি। কীভাবে? অবশ্যই আমি ম্যাচ বেশি খেলেছি, অভিজ্ঞতা বেড়েছে। ওটাই হচ্ছে, আমরা এখন ম্যাচ খেলছি, অভিজ্ঞতা বাড়ছে। জুনিয়র যারা আছে, তারাও ধীরে ধীরে ভালো করছে। এখান থেকেই আসলে আমদের পরিবর্তন। আরেকটা ব্যাপার, আমরা একজনের সাফল্যে আরেকজন উৎসাহিত হচ্ছি। আমাদের দলের বন্ধন আগের চেয়ে অনেক ভালো। দল হিসেবে পারফরম্যান্স করছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নারী দলের আইসিসির মাসসেরা প্রথম ক্রিকেটার হওয়ার আনন্দটা এখনো কি কাজ করছে মনে?
নাহিদা: এটা দারুণ অনুভূতি। একটা ভালো অর্জন সবারই ভালো লাগে। এই অর্জনের পেছনে আমার সতীর্থ-কোচদের অবদান আছে। সবার সমর্থনেই আমার এই অর্জন।
প্রশ্ন: বছরটা দারুণ কেটেছে দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতলেন। কিন্তু জয় দিয়ে শুরু করেও সিরিজ জেতা হলো না। কোথায় খেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ?
নাহিদা: আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিগত দিনে দেশের বাইরে রেকর্ড আমাদের অত ভালো ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল এবার যেন ভালো কিছু করতে পারি। ভালো ছন্দে ছিলাম, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি, আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল ভালো একটা অবস্থায় এসেছে। সবাই বলেছে, দলের রান বেশি হচ্ছে না, ফর্মে নেই। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা সেখানে ভালো করেছে, ফর্মে ফিরেছে। পিংকির সেঞ্চুরি, মুরশিদার ৯০ রানের একটা ইনিংস। অধিনায়কেরও ভালো অবদান ছিল। এটাও আমাদের একটা অর্জন। আমরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছি। প্রথম দুই ওয়ানডে অসাধারণ খেলেছি। শেষ ম্যাচ দ্রুত অলআউট হয়েছি, হতেই পারে। সব মিলিয়ে বলব, আমরা ভালো খেলেছি।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আর ২০-৩০ রান বেশি হলেই তো ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। নারী দলের ব্যাটারদের সব সময় কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়। কেউ কেউ বলেন, এটা স্কিলের সমস্যা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী করণীয়?
নাহিদা: সবাই এ কথাটা বলে। আগে থেকে অনেক উন্নতি করেছি আমরা এই জায়গায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৫০ রান করেছি। তখন কিন্তু এ রকম কথা আসেনি। অনেক সময় উইকেটের আচরণও সেরকম থাকে। সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হয়। সব সময় যে ২৪০-২৫০ রান হবে, সেটাও না। এসব বিবেচনায় এই সিরিজে আমাদের ব্যাটাররা অনেক ভালো খেলেছে।
প্রশ্ন: টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার তিন বছর হতে চলল। মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেট শুরু করতে বিসিবি আরও সময় নেওয়ার পক্ষে। আপনিও তা-ই মনে করেন?
নাহিদা: সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। কিন্তু টেস্ট খেলার আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে চার দিন খেলতে পারব না। এর জন্য ঘরোয়া লিগে ভালো খেলতে হবে। বিসিবি গত মৌসুমে আমাদের দুই দিনের ম্যাচ দিয়েছে। এভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আমরা ফিট হয়ে তারপর টেস্ট খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে এখনো স্পিনারদেরই দাপট। পুরুষ দলের মতো নারী দলেও কবে দেখা যেতে পারে পেস বিপ্লব?
নাহিদা: অবশ্যই আমাদের পেসাররা ভালো করছে। একসঙ্গে এত উন্নতি চাইলে হবে না। ধীরে ধীরে আমাদের এগোতে হবে। এখন আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছি। ব্যাটাররা ভালো করছে, বোলাররা ভালো করছে। আমি বলব, স্পিনারদের সঙ্গে পেসাররা অনেক সাপোর্ট দিচ্ছে। পেসাররা অনেক দিন ধরে খুব ভালো পরিশ্রম করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পেসাররা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাজত্ব করবে।
প্রশ্ন: অনেক দেশেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। ভারতে মেয়েদের আইপিএল যথেষ্ট জমজমাট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আরও উন্নতি করতে বিপিএল কিংবা এমন টুর্নামেন্টের প্রয়োজন কতটা অনুভব করেন?
নাহিদা: অবশ্যই এটা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চিন্তা করছে। ভারতের ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের ক্রিকেটের তুলনা কখনো সম্ভব নয়। তবু বলব, ক্রিকেট বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা করছে, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, সামনে হয়তো এ রকম কোনো টুর্নামেন্ট হতে পারে। আমরা আশাবাদী, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল এখন যেভাবে খেলছে, তখন হয়তো আরও ভালো ক্রিকেট খেলব।
প্রশ্ন: ধারাবাহিক সাফল্যের পরও মাঝে নারী দলের পাঁচ মাসের বেতন আটকে থাকল। এটা কতটা দুঃখজনক?
নাহিদা: এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। বোর্ড তো বেতন দিয়ে দিয়েছে পরে। কোনো না কোনো সমস্যা হয়তো হয়েছিল।
প্রশ্ন: উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাহিদা: আমাদের লক্ষ্য সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। ওভাবেই আমরা খেলছি। সবার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, বাছাইপর্ব যেন না খেলা লাগে, সরাসরি যেন বিশ্বকাপ খেলতে পারি। আমাদের আরও অনেক সিরিজ আছে, আমরা চেষ্টা করব সিরিজ ধরে ধরে এগোতে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
১ ঘণ্টা আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
২ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৩ ঘণ্টা আগে