ক্রীড়া ডেস্ক
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকে বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলের কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন; শিরোপা তো পরের ব্যাপার। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারায় ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো কঠিন সমীকরণের ওপর। কেন ভরাডুবি হলো ভারতের? সেই কারণ খুঁজেছেন টেলিগ্রাফের ক্রীড়া সাংবাদিক টিম উইগমোর।
সিনিয়রদের ওপর অধিক আস্থা
টেস্টে সাধারণত সেরা টপ অর্ডারই খুঁজে নেওয়া হয়। এটি বহুদিনের একটি সাধারণ অনুশীলন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার বাছাই করা আরও জটিল। এখানে কাজটি কেবল সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা নয়; এখানে খেলোয়াড়দের ভারসাম্যের সমন্বয়ও করতে হয়।
গত মার্চে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে নেমে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর তিনি ঘোষণা দেন বিশ্বকাপে অবশ্যই রোহিত শর্মাকে ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে দেখতে চান। আইপিএলেও প্রতিটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সমস্যা হলো, কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মাও তাঁদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ওপেন করেছেন। এই তিনজনের ব্যাটিংয়ের ধরনও আবার একই। কৌশলের দিক থেকে তাঁরা তিনজনেই সেরা, কিন্তু তিনজনই থিতু হতে কিছুটা সময় নেন। তারপর চালিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। একটি সমস্যায় আবার এক বিন্দুতে মিলেছেন তিনজন—সুইংয়ের বিপক্ষে তিনজনেরই দুর্বলতা রয়েছে, যা পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড উভয়ই নির্মমভাবে কাজে লাগিয়েছে।
এতে দলের ভারসাম্য কিছুটা নড়বড়ে হচ্ছে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করার জন্য বাঁহাতি স্পিন ও লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাট করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছিল। কিন্তু এটি আবার অন্যদিকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কোহলি, যিনি ওপেন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তাকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪ নম্বরে। ভারসাম্যের চেয়ে সিনিয়রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোলিংয়েও ঠিক একই।
পরিকল্পনা
পাঁচ বছর আগে, ২০১৬ সালে ভারত তাদের অত্যধিক রক্ষণশীল ব্যাটিং পরিকল্পনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে মুম্বাইতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোহিত ও কোহলি ভারতকে ১৯২–২ ইনিংস গড়তে নেতৃত্ব দেন। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জিতেছিল। কেননা, ভারতের ৪ ছক্কার বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন।
এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাউন্ডারি মারার হারে অনেক পিছিয়ে ছিল। চূড়ান্ত ফলে যেটি প্রভাব রেখেছে। ভারত যেখানে ৭১ বলে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি, সেখানে নিউজিল্যান্ড ৯.৫ ওভারে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছে।
এই বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে কে সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। কেননা, পিচ ধীরে ধীরে মন্থর হবে এবং তাতে রান তোলা আরও কঠিন হবে। কিন্তু ভারত তাদের দুই ম্যাচেই বলের চেয়ে রান বেশি করতে ব্যর্থ হয়েছে। উইকেট হারানোর পর ভারত ম্যাচে ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় নিয়েছে। সুপার ১২-এর কোনো দলই এভাবে খেলেনি। ভারতের এমন পরিকল্পনায় উইকেট সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রান বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া হয়নি।
সংকীর্ণমনা
আইপিএল ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অসাধারণ সুবিধা দেয়—এতে সন্দেহ নেই। এখানে যদিও বিদেশি সেরা খেলোয়াড়দেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাটি পারস্পরিক নয়। ভারতের খেলোয়াড়দের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে বাধা দেওয়া হয়।
আইপিএলের বাণিজ্যিক আকর্ষণ সর্বাধিক করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপিয়ে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উদীয়মান টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের ক্ষতি করছে। কেননা, তাঁরা বিদেশের কন্ডিশন, বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির সুযোগটা সেভাবে পাচ্ছে না।
এটি তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের বিকল্পগুলোকেও সীমিত করে দিচ্ছে। আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, টি-টোয়েন্টিতে পারদর্শী হওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলো সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কেননা, এই লিগগুলোই বড়জোর চার মাস। বাকি আট মাস তো ক্রিকেটারদের অন্য সংস্করণের ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএল থেকে আসা কেউ যদি থাকেন, তিনি বরুণ চক্রবর্তী।
ক্লান্তি
২০০৯ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে এসেছিল, তবু সেমিফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তখন ভারতের কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন আমরা অপেক্ষাকৃত ক্লান্ত দল ছিলাম।’ তিনি বিশ্বকাপের আগে হওয়া আইপিএলকে এর জন্য দায়ী করেন।
বারো বছর পরে ভারত আবার সেই ক্লান্তি নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে ভারতের সব সংস্করণের ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বায়ো-বাবলের মধ্যে আছেন।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর জাসপ্রিত বুমরাহ বলেছেন, ‘কখনো কখনো বায়ো-বাবলে ক্লান্তি, মানসিক অবসাদও আসে। কখনো কখনো আপনার বিরতি প্রয়োজন। আপনি মাঝে মাঝে আপনার পরিবারকে মিস করেন। আপনি ছয় মাস ধরে খেলার মধ্যে আছেন। তাই এসব কিছু মাঝে মাঝে আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।’
আইসিসি ইভেন্টে টানা চতুর্থবার ভারতকে পরাজিত করা নিউজিল্যান্ড কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পর বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে আসার পরিবর্তে বিশ্বকাপ জিততে নিউজিল্যান্ড এই সময়ে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে পেরেছে, পরিকল্পনাও সাজাতে পেরেছে।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকে বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলের কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন; শিরোপা তো পরের ব্যাপার। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারায় ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো কঠিন সমীকরণের ওপর। কেন ভরাডুবি হলো ভারতের? সেই কারণ খুঁজেছেন টেলিগ্রাফের ক্রীড়া সাংবাদিক টিম উইগমোর।
সিনিয়রদের ওপর অধিক আস্থা
টেস্টে সাধারণত সেরা টপ অর্ডারই খুঁজে নেওয়া হয়। এটি বহুদিনের একটি সাধারণ অনুশীলন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার বাছাই করা আরও জটিল। এখানে কাজটি কেবল সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা নয়; এখানে খেলোয়াড়দের ভারসাম্যের সমন্বয়ও করতে হয়।
গত মার্চে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে নেমে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর তিনি ঘোষণা দেন বিশ্বকাপে অবশ্যই রোহিত শর্মাকে ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে দেখতে চান। আইপিএলেও প্রতিটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সমস্যা হলো, কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মাও তাঁদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ওপেন করেছেন। এই তিনজনের ব্যাটিংয়ের ধরনও আবার একই। কৌশলের দিক থেকে তাঁরা তিনজনেই সেরা, কিন্তু তিনজনই থিতু হতে কিছুটা সময় নেন। তারপর চালিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। একটি সমস্যায় আবার এক বিন্দুতে মিলেছেন তিনজন—সুইংয়ের বিপক্ষে তিনজনেরই দুর্বলতা রয়েছে, যা পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড উভয়ই নির্মমভাবে কাজে লাগিয়েছে।
এতে দলের ভারসাম্য কিছুটা নড়বড়ে হচ্ছে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করার জন্য বাঁহাতি স্পিন ও লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাট করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছিল। কিন্তু এটি আবার অন্যদিকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কোহলি, যিনি ওপেন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তাকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪ নম্বরে। ভারসাম্যের চেয়ে সিনিয়রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোলিংয়েও ঠিক একই।
পরিকল্পনা
পাঁচ বছর আগে, ২০১৬ সালে ভারত তাদের অত্যধিক রক্ষণশীল ব্যাটিং পরিকল্পনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে মুম্বাইতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোহিত ও কোহলি ভারতকে ১৯২–২ ইনিংস গড়তে নেতৃত্ব দেন। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জিতেছিল। কেননা, ভারতের ৪ ছক্কার বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন।
এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাউন্ডারি মারার হারে অনেক পিছিয়ে ছিল। চূড়ান্ত ফলে যেটি প্রভাব রেখেছে। ভারত যেখানে ৭১ বলে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি, সেখানে নিউজিল্যান্ড ৯.৫ ওভারে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছে।
এই বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে কে সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। কেননা, পিচ ধীরে ধীরে মন্থর হবে এবং তাতে রান তোলা আরও কঠিন হবে। কিন্তু ভারত তাদের দুই ম্যাচেই বলের চেয়ে রান বেশি করতে ব্যর্থ হয়েছে। উইকেট হারানোর পর ভারত ম্যাচে ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় নিয়েছে। সুপার ১২-এর কোনো দলই এভাবে খেলেনি। ভারতের এমন পরিকল্পনায় উইকেট সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রান বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া হয়নি।
সংকীর্ণমনা
আইপিএল ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অসাধারণ সুবিধা দেয়—এতে সন্দেহ নেই। এখানে যদিও বিদেশি সেরা খেলোয়াড়দেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাটি পারস্পরিক নয়। ভারতের খেলোয়াড়দের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে বাধা দেওয়া হয়।
আইপিএলের বাণিজ্যিক আকর্ষণ সর্বাধিক করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপিয়ে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উদীয়মান টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের ক্ষতি করছে। কেননা, তাঁরা বিদেশের কন্ডিশন, বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির সুযোগটা সেভাবে পাচ্ছে না।
এটি তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের বিকল্পগুলোকেও সীমিত করে দিচ্ছে। আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, টি-টোয়েন্টিতে পারদর্শী হওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলো সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কেননা, এই লিগগুলোই বড়জোর চার মাস। বাকি আট মাস তো ক্রিকেটারদের অন্য সংস্করণের ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএল থেকে আসা কেউ যদি থাকেন, তিনি বরুণ চক্রবর্তী।
ক্লান্তি
২০০৯ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে এসেছিল, তবু সেমিফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তখন ভারতের কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন আমরা অপেক্ষাকৃত ক্লান্ত দল ছিলাম।’ তিনি বিশ্বকাপের আগে হওয়া আইপিএলকে এর জন্য দায়ী করেন।
বারো বছর পরে ভারত আবার সেই ক্লান্তি নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে ভারতের সব সংস্করণের ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বায়ো-বাবলের মধ্যে আছেন।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর জাসপ্রিত বুমরাহ বলেছেন, ‘কখনো কখনো বায়ো-বাবলে ক্লান্তি, মানসিক অবসাদও আসে। কখনো কখনো আপনার বিরতি প্রয়োজন। আপনি মাঝে মাঝে আপনার পরিবারকে মিস করেন। আপনি ছয় মাস ধরে খেলার মধ্যে আছেন। তাই এসব কিছু মাঝে মাঝে আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।’
আইসিসি ইভেন্টে টানা চতুর্থবার ভারতকে পরাজিত করা নিউজিল্যান্ড কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পর বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে আসার পরিবর্তে বিশ্বকাপ জিততে নিউজিল্যান্ড এই সময়ে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে পেরেছে, পরিকল্পনাও সাজাতে পেরেছে।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৪ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৪ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৫ ঘণ্টা আগে