আহমেদ রিয়াদ, কানপুর থেকে
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম থেকে ৬ কিলোমিটারের দূরত্বে জাজমু কলোনি। স্থানীয়দের কাছে এটা ডিফেন্স কলোনি নামে পরিচিত। পুরোনো ইটের প্রাচীরঘেরা বিশাল মাঠ। মাঠের মাঝে ফোয়ারায় পানি দেওয়া হচ্ছে ঘাসের সজীবতা ফেরাতে। মাঠের দুই প্রান্তের দুটি কংক্রিটের উইকেটে ছেলে-মেয়েদের অনুশীলন চলছিল পুরোদমে।
অনুশীলনে ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে আঠারো বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী। কানপুরের এই একাডেমি বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে একজনের সৌজন্যে—কুলদীপ যাদব। কাল বিকেলে কুলদীপের আঁতুড়ঘর খ্যাত ‘কপিল ক্রিকেট একাডেমি’তে যাওয়া সে কারণেই। একাডেমির প্রধান কোচ কপিল দেব পান্ডে। কানপুরের এ কোচের ছোঁয়ায় বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার থেকে কুলদীপ বনে গেছেন ভারতের প্রথম ‘চায়নাম্যান’ বোলারে, যিনি এখন ভারতীয় স্পিন বিভাগের এক বড় সম্পদ।
একাডেমির মাঠটি অনুশীলনের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত না হলেও মাঠ সংস্কারে কুলদীপের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। নতুন উইকেট তৈরির ব্যবস্থার পাশাপাশি পিচ কাভার কিনতে অর্থ জোগান দিয়েছেন বলে জানালেন একাডেমির প্রধান কোচ কপিল পান্ডের বড় ছেলে অর্জুন পান্ডে। তিনিও একাডেমির কোচ। কুলদীপকে নিয়ে অর্জুন বললেন, ‘কুলদীপ সময় পেলেই একাডেমিতে আসে। ক্রিকেটারদের অনুশীলনের খবরাখবর নেয়। কোভিডের সময় সব জায়গায় যখন ক্রিকেট বন্ধ ছিল, তখন এখানে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। আমরা খুব গর্বিত এমন ক্রিকেটারকে পেয়ে।’
কুলদীপের গুরু কপিল দেব পান্ডে অবশ্য একাডেমিতে ছিলেন না। তিনি উত্তর প্রদেশের দল গঠনের কাজে নয়ডায় রয়েছেন। একাডেমিতে না পেয়ে তাই ফোনে ধরা, তাঁর কাছে শুনতে চাওয়া শিষ্যের গল্প। কপিল কিছুটা শোনালেনও সে গল্প, ‘এটি সম্পূর্ণ মানসিক শক্তি আর কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছা, যা তাকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছে। কুলদীপ শুরুতে বাঁহাতি স্লো মিডিয়াম পেসারের ভূমিকায় ছিল। রানআপে সমস্যা হওয়ায় ভিন্ন কিছু করতে চাওয়া থেকে রানআপকে কিছুটা সোজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যাতে সে ব্যাটার দেখতে একটি পরিষ্কার দৃষ্টি পেতে পারে। এবং বলের ঘূর্ণি, গতি নিয়ে কাজ করতে পারে। সে এখন দ্রুতগতিতে বল ডেলিভারি দিতে পারে; যা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দারুণ সমস্যায় ফেলে। এটাই তাকে অনেকের কাছ থেকে আলাদা করছে।’ কুলদীপ আরও যোগ করলেন, ‘শুরুর দিকে কুলদীপের সামনে শেন ওয়ার্নকে রোল মডেল হিসেবে রেখে প্রজেক্ট করেছিলাম। কারণ, ভারতে কোনো চায়নাম্যান বোলার ছিল না। এখন শুধু উত্তর প্রদেশেই অন্তত ৫০ জন ছেলে কুলদীপকে অনুকরণের চেষ্টা করছে।’
বিকেলে একাডেমিতে দেখা মিলল বেশ কয়েকজন খুদে স্পিনারের, যারা কুলদীপের মতো চায়নাম্যান হতে এখন থেকেই নেটে হাত ঘোরাচ্ছে। ২০২২ সালে এই একাডেমি থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়েছেন অর্চনা দেবী। সম্প্রতি এই একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা এক নারী ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কুলদীপের আঁতুড়ঘরটা যেন ধীরে ধীরে কানপুরের খুদে ক্রিকেটারদের বাতিঘরে রূপ নিচ্ছে।
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম থেকে ৬ কিলোমিটারের দূরত্বে জাজমু কলোনি। স্থানীয়দের কাছে এটা ডিফেন্স কলোনি নামে পরিচিত। পুরোনো ইটের প্রাচীরঘেরা বিশাল মাঠ। মাঠের মাঝে ফোয়ারায় পানি দেওয়া হচ্ছে ঘাসের সজীবতা ফেরাতে। মাঠের দুই প্রান্তের দুটি কংক্রিটের উইকেটে ছেলে-মেয়েদের অনুশীলন চলছিল পুরোদমে।
অনুশীলনে ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে আঠারো বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী। কানপুরের এই একাডেমি বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে একজনের সৌজন্যে—কুলদীপ যাদব। কাল বিকেলে কুলদীপের আঁতুড়ঘর খ্যাত ‘কপিল ক্রিকেট একাডেমি’তে যাওয়া সে কারণেই। একাডেমির প্রধান কোচ কপিল দেব পান্ডে। কানপুরের এ কোচের ছোঁয়ায় বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার থেকে কুলদীপ বনে গেছেন ভারতের প্রথম ‘চায়নাম্যান’ বোলারে, যিনি এখন ভারতীয় স্পিন বিভাগের এক বড় সম্পদ।
একাডেমির মাঠটি অনুশীলনের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত না হলেও মাঠ সংস্কারে কুলদীপের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। নতুন উইকেট তৈরির ব্যবস্থার পাশাপাশি পিচ কাভার কিনতে অর্থ জোগান দিয়েছেন বলে জানালেন একাডেমির প্রধান কোচ কপিল পান্ডের বড় ছেলে অর্জুন পান্ডে। তিনিও একাডেমির কোচ। কুলদীপকে নিয়ে অর্জুন বললেন, ‘কুলদীপ সময় পেলেই একাডেমিতে আসে। ক্রিকেটারদের অনুশীলনের খবরাখবর নেয়। কোভিডের সময় সব জায়গায় যখন ক্রিকেট বন্ধ ছিল, তখন এখানে নিজেকে প্রস্তুত করেছে। আমরা খুব গর্বিত এমন ক্রিকেটারকে পেয়ে।’
কুলদীপের গুরু কপিল দেব পান্ডে অবশ্য একাডেমিতে ছিলেন না। তিনি উত্তর প্রদেশের দল গঠনের কাজে নয়ডায় রয়েছেন। একাডেমিতে না পেয়ে তাই ফোনে ধরা, তাঁর কাছে শুনতে চাওয়া শিষ্যের গল্প। কপিল কিছুটা শোনালেনও সে গল্প, ‘এটি সম্পূর্ণ মানসিক শক্তি আর কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছা, যা তাকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছে। কুলদীপ শুরুতে বাঁহাতি স্লো মিডিয়াম পেসারের ভূমিকায় ছিল। রানআপে সমস্যা হওয়ায় ভিন্ন কিছু করতে চাওয়া থেকে রানআপকে কিছুটা সোজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যাতে সে ব্যাটার দেখতে একটি পরিষ্কার দৃষ্টি পেতে পারে। এবং বলের ঘূর্ণি, গতি নিয়ে কাজ করতে পারে। সে এখন দ্রুতগতিতে বল ডেলিভারি দিতে পারে; যা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দারুণ সমস্যায় ফেলে। এটাই তাকে অনেকের কাছ থেকে আলাদা করছে।’ কুলদীপ আরও যোগ করলেন, ‘শুরুর দিকে কুলদীপের সামনে শেন ওয়ার্নকে রোল মডেল হিসেবে রেখে প্রজেক্ট করেছিলাম। কারণ, ভারতে কোনো চায়নাম্যান বোলার ছিল না। এখন শুধু উত্তর প্রদেশেই অন্তত ৫০ জন ছেলে কুলদীপকে অনুকরণের চেষ্টা করছে।’
বিকেলে একাডেমিতে দেখা মিলল বেশ কয়েকজন খুদে স্পিনারের, যারা কুলদীপের মতো চায়নাম্যান হতে এখন থেকেই নেটে হাত ঘোরাচ্ছে। ২০২২ সালে এই একাডেমি থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়েছেন অর্চনা দেবী। সম্প্রতি এই একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা এক নারী ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কুলদীপের আঁতুড়ঘরটা যেন ধীরে ধীরে কানপুরের খুদে ক্রিকেটারদের বাতিঘরে রূপ নিচ্ছে।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
২ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৩ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৩ ঘণ্টা আগে