রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
মাঠের বাইরের বিতর্ক নিয়ে গত পরশু কোনো প্রশ্ন করা হয়নি নাসুম আহমেদকে। তবু নিজে থেকেই বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘বাইরে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না।’ বলছেন ভাবছেন না, তবে দলের পরিবেশ যে কিছুতেই হালকা হচ্ছে না, বরং একেকটা হারের পর তা শুধু ভারীই হচ্ছে।
টুর্নামেন্টে সংবাদ সম্মেলনে দলের খেলোয়াড়দের বিস্ফোরক মন্তব্যে গরম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দলের বাইরে থাকা তারকা খেলোয়াড়েরাও চুপ নেই। তাঁদের কেউ বিস্ফোরক পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে, প্রশ্ন তুলছেন বর্তমান কোচিং স্টাফের ভূমিকা নিয়ে। কেউ আবার টিভি ও অনলাইন টক শোতে অংশ নিয়ে দলের একাদশ নির্বাচন, ব্যাটিং পজিশন, অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কিংবা সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। অবশ্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের পত্রিকায় কলাম লেখা কিংবা সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের বাইরে টক শোতে অংশ নেওয়ায় (গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চলার সময় তো অবশ্যই) বিধিনিষেধ থাকার কথা।
কথায় কথা বাড়ছে, বাড়ছে বিতর্ক। দলের পরিবেশ তাতে ভারী হচ্ছে আরও। অবাক করার মতো বিষয়, খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যও জড়িয়ে পড়ছেন এই বিতর্কে। গতকাল সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির যেমন ২০১৯ বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের উদাহরণ টেনে লিখেছেন, ‘যদি সেই ভুলগুলো নিয়ে টকশো হতো, তাহলে আজ আমাদের এই ব্যর্থতা দেখতে হতো না...।’ শিশির তাঁর আলোচিত পোস্টে ‘গতি তারকারা’, ‘কথিত সেরা উদ্বোধনী জুটি’ ও ‘টকশো’ বলতে কার বা কাদের ইঙ্গিত করেছেন, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শিশিরের পাল্টা জবাবও অবশ্য এরই মধ্যে এসেছে এক তারকা ক্রিকেটারের পরিবার থেকে। এসব দেখে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য গতকাল একরাশ হতাশা নিয়ে হোয়াটসআপ বার্তায় বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আমরাই যদি এমন করি, তাহলে আর সাধারণ মানুষের দোষ দিয়ে লাভ কী!’
আলোচনা-সমালোচনা সাধারণত দর্শক-সমর্থক কিংবা সংবাদমাধ্যমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এবার এটি আসছে চারদিক থেকে। বাদ থাকছেন না বর্তমান খেলোয়াড়, ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এমনকি খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরাও! আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে এসব বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।
মাহমুদউল্লাহদের কঠিন পরিস্থিতি সামলে ওঠার একটাই উপায়—জয়, শুধুই জয়। গলফ কিংবদন্তি টাইগার উডসের একটা বিখ্যাত মন্তব্য আছে, ‘উইনিং টেকস কেয়ার অব এভরিথিং’। মাহমুদউল্লাহ অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা থেকেও। ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০৯ সালে ভারত যখন ব্যর্থ হলো, তখন ধোনির দিকে ছুটে যাচ্ছিল সমালোচনার তির। তখন ধোনির উত্তর ছিল, ‘ভালো সময়ে পরীক্ষা দিতে হয় না। খারাপ সময়েই আসল পরীক্ষা, সেটি যেমন নিজের তেমনি দলেরও।’
গতকাল দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নুরুল হাসান সোহানের আশা, দ্রুত এই পরীক্ষায় উতরে যাবেন তাঁরা, ‘এটা নতুন কিছু নয়। আমরা যখন খারাপ করেছি, সমালোচনা হয়। তবে গঠনমূলক সমালোচনা হলে ভালো। অনেকবার এমন হয়েছে, এই খারাপ সময় থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখনো আমাদের তিনটা ম্যাচ আছে।’
মাঠের বাইরের বিতর্ক নিয়ে গত পরশু কোনো প্রশ্ন করা হয়নি নাসুম আহমেদকে। তবু নিজে থেকেই বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘বাইরে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না।’ বলছেন ভাবছেন না, তবে দলের পরিবেশ যে কিছুতেই হালকা হচ্ছে না, বরং একেকটা হারের পর তা শুধু ভারীই হচ্ছে।
টুর্নামেন্টে সংবাদ সম্মেলনে দলের খেলোয়াড়দের বিস্ফোরক মন্তব্যে গরম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দলের বাইরে থাকা তারকা খেলোয়াড়েরাও চুপ নেই। তাঁদের কেউ বিস্ফোরক পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে, প্রশ্ন তুলছেন বর্তমান কোচিং স্টাফের ভূমিকা নিয়ে। কেউ আবার টিভি ও অনলাইন টক শোতে অংশ নিয়ে দলের একাদশ নির্বাচন, ব্যাটিং পজিশন, অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কিংবা সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। অবশ্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের পত্রিকায় কলাম লেখা কিংবা সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের বাইরে টক শোতে অংশ নেওয়ায় (গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চলার সময় তো অবশ্যই) বিধিনিষেধ থাকার কথা।
কথায় কথা বাড়ছে, বাড়ছে বিতর্ক। দলের পরিবেশ তাতে ভারী হচ্ছে আরও। অবাক করার মতো বিষয়, খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যও জড়িয়ে পড়ছেন এই বিতর্কে। গতকাল সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির যেমন ২০১৯ বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের উদাহরণ টেনে লিখেছেন, ‘যদি সেই ভুলগুলো নিয়ে টকশো হতো, তাহলে আজ আমাদের এই ব্যর্থতা দেখতে হতো না...।’ শিশির তাঁর আলোচিত পোস্টে ‘গতি তারকারা’, ‘কথিত সেরা উদ্বোধনী জুটি’ ও ‘টকশো’ বলতে কার বা কাদের ইঙ্গিত করেছেন, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শিশিরের পাল্টা জবাবও অবশ্য এরই মধ্যে এসেছে এক তারকা ক্রিকেটারের পরিবার থেকে। এসব দেখে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য গতকাল একরাশ হতাশা নিয়ে হোয়াটসআপ বার্তায় বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আমরাই যদি এমন করি, তাহলে আর সাধারণ মানুষের দোষ দিয়ে লাভ কী!’
আলোচনা-সমালোচনা সাধারণত দর্শক-সমর্থক কিংবা সংবাদমাধ্যমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এবার এটি আসছে চারদিক থেকে। বাদ থাকছেন না বর্তমান খেলোয়াড়, ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এমনকি খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরাও! আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে এসব বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।
মাহমুদউল্লাহদের কঠিন পরিস্থিতি সামলে ওঠার একটাই উপায়—জয়, শুধুই জয়। গলফ কিংবদন্তি টাইগার উডসের একটা বিখ্যাত মন্তব্য আছে, ‘উইনিং টেকস কেয়ার অব এভরিথিং’। মাহমুদউল্লাহ অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা থেকেও। ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০৯ সালে ভারত যখন ব্যর্থ হলো, তখন ধোনির দিকে ছুটে যাচ্ছিল সমালোচনার তির। তখন ধোনির উত্তর ছিল, ‘ভালো সময়ে পরীক্ষা দিতে হয় না। খারাপ সময়েই আসল পরীক্ষা, সেটি যেমন নিজের তেমনি দলেরও।’
গতকাল দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নুরুল হাসান সোহানের আশা, দ্রুত এই পরীক্ষায় উতরে যাবেন তাঁরা, ‘এটা নতুন কিছু নয়। আমরা যখন খারাপ করেছি, সমালোচনা হয়। তবে গঠনমূলক সমালোচনা হলে ভালো। অনেকবার এমন হয়েছে, এই খারাপ সময় থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখনো আমাদের তিনটা ম্যাচ আছে।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
২ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৩ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৪ ঘণ্টা আগে