তাসনীম হাসান, ঢাকা
বড় আশা নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই আশার সমাধি হয়েছে সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে। এর মধ্যে অন্তত দুটি ম্যাচে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কখনো দৃষ্টিকটু আউট, কখনো বাজে ফিল্ডিং, কখনো আবার শেষের বাজে বোলিংয়ে পথ হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল।
মুশির একই ভুল
৪০ বলে দরকার ৫২ রান। হাতে তখনো সাতটি উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে কী আর এমন লক্ষ্য! দেখেশুনে খেললেই তো জয়টা হাতের মুঠোয় ভরা যায়। কিন্তু সেই সহজ লক্ষ্যটিই কঠিন করে দিলেন মুশফিকুর রহিম। রবি রামপালের নিরীহ একটি ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে উপহার দিলেন উইকেট। বাংলাদেশের সম্ভাবনার অপমৃত্যুও সেখানে।
শুধু এই ম্যাচে নয়, আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও মুশফিক ‘আত্মাহুতি’ দিয়েছিলেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। বাংলাদেশের জন্য মলিন হয়ে থাকা এই বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তো বটেই, সবার চেয়ে বেশি রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনাও সইতে হচ্ছে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে।
মুশফিকের শট নির্বাচনে দক্ষতা ও অপরিকল্পনার ছাপ দেখতে পাচ্ছেন তাঁর ছোটবেলার গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। এই ক্রিকেট বিশ্লেষক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘স্কুপ শট খেলতে গেলে উইকেটের কন্ডিশন সম্পর্কে আগে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বলে একটু বাউন্স থাকলে এই শটটা ভালো খেলা যায়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলছি, সেখানে তেমন একটা বাউন্স ছিল না। ওর হাতে কিন্তু অনেক শট আছে। এত দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে যাওয়াটা উচিত হয়নি।’
ব্যয়বহুল ফিজ
শুরুতে মোস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত বোলিং করলেও শেষে এসে যেন হয়ে পড়ছেন ‘পাড়ার বোলার’। একসময়ে ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া এই বোলারকে শেষের দিকে পেলে যেন হাসি ফোটে ব্যাটারদের মুখে। ফিজকে ছক্কা মারাটা এতটাই সহজ হয়ে গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা শেষ ওভারেই মেরেছেন তিনটি। শুধু এই ম্যাচ নয়, ফিজ পুরো টুর্নামেন্টেই শেষ দিকে এসে একের পর এক ছক্কা খাচ্ছেন। তাতে হয়ে গেছে এক লজ্জার রেকর্ডও। এই বিশ্বকাপে এর মধ্যেই ১০টা ছক্কা দিয়ে ফেলেছেন বাঁহাতি পেসার।
ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ের জন্য জাতীয় দলের সাবেক কোচ সরোয়ার ইমরান দুষছেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটকে। তিনি বলেন, ‘এই দুটি সিরিজে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে মোস্তাফিজকে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। কিন্তু এখানে (বিশ্বকাপ) যখন যে ধরনের বল করা উচিত, সে ধরনের বল করতে পারছে না। অনেক বেশি ফুলটস ও হাফ ভলি করছে। কাটার ধরছে না। সে কারণে সে ভালোও করতে পারছে না।’
ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু বিশ্বকাপে যেতেই যেন ক্যাচ ধরা ভুলে গেছেন লিটন-আফিফের মতো দুর্দান্ত ফিল্ডাররাও। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তো বলতে গেলে ‘মাখন মাখানো হাত’ নিয়েই নেমেছিলেন ফিল্ডাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটা ক্যাচ মিস করেছেন আফিফ, মেহেদীরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন লিটন। ফিল্ডিং মিস তো হচ্ছে প্রায় সময়ই। তাতে হাতছাড়া হচ্ছে জেতা ম্যাচও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের আমদানি যাঁর হাত ধরে, সেই আফতাব আহমেদ বুঝতে পারছেন না কেন এমন হচ্ছে। সাবেক এই ক্রিকেটার বললেন, ‘এখন আমাদের ফিল্ডিং কোচ যিনি আছেন, তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত কয়েক বছর ধরে। এরপরও ফিল্ডিংয়ের কোনো উন্নতি হচ্ছে না? ক্রিকেটাররা কি আলাদা করে ফিল্ডিং অনুশীলন করে না, না কোচ অনুশীলন করান না? বুঝে উঠতে পারছি না। এমন গরিবি ফিল্ডিং দিয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন।’
পাওয়ার প্লেতে মন্থর ব্যাটিং
বলা হয়ে থাকে ওপেনাররা ইনিংসের সুর বেঁধে দেন। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা দাঁড়িয়েছে উল্টো। শুরুতেই ওপেনার ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নে ফিরে অন্যদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার কাজটাই করে যাচ্ছেন নিয়মিত।
কি করলে পাওয়ার প্লে’র ঠিকঠাক ব্যবহার করা যাবে সেটি জানিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে উইকেটের উন্নতি করতে হবে। যেখানে ১৮০–২০০ রান তাড়া করতে হবে নিয়মিত। আমরা কিন্তু এমন উইকেট খুব বেশি পাই না। যার জন্য আমরা পাওয়ার হিটার তৈরি করতে পারছি না। সে জন্য পাওয়ার প্লের ব্যবহারও ঠিকঠাক হচ্ছে না।’
বড় আশা নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই আশার সমাধি হয়েছে সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে। এর মধ্যে অন্তত দুটি ম্যাচে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কখনো দৃষ্টিকটু আউট, কখনো বাজে ফিল্ডিং, কখনো আবার শেষের বাজে বোলিংয়ে পথ হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল।
মুশির একই ভুল
৪০ বলে দরকার ৫২ রান। হাতে তখনো সাতটি উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে কী আর এমন লক্ষ্য! দেখেশুনে খেললেই তো জয়টা হাতের মুঠোয় ভরা যায়। কিন্তু সেই সহজ লক্ষ্যটিই কঠিন করে দিলেন মুশফিকুর রহিম। রবি রামপালের নিরীহ একটি ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে উপহার দিলেন উইকেট। বাংলাদেশের সম্ভাবনার অপমৃত্যুও সেখানে।
শুধু এই ম্যাচে নয়, আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও মুশফিক ‘আত্মাহুতি’ দিয়েছিলেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। বাংলাদেশের জন্য মলিন হয়ে থাকা এই বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তো বটেই, সবার চেয়ে বেশি রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনাও সইতে হচ্ছে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে।
মুশফিকের শট নির্বাচনে দক্ষতা ও অপরিকল্পনার ছাপ দেখতে পাচ্ছেন তাঁর ছোটবেলার গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। এই ক্রিকেট বিশ্লেষক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘স্কুপ শট খেলতে গেলে উইকেটের কন্ডিশন সম্পর্কে আগে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বলে একটু বাউন্স থাকলে এই শটটা ভালো খেলা যায়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলছি, সেখানে তেমন একটা বাউন্স ছিল না। ওর হাতে কিন্তু অনেক শট আছে। এত দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে যাওয়াটা উচিত হয়নি।’
ব্যয়বহুল ফিজ
শুরুতে মোস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত বোলিং করলেও শেষে এসে যেন হয়ে পড়ছেন ‘পাড়ার বোলার’। একসময়ে ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া এই বোলারকে শেষের দিকে পেলে যেন হাসি ফোটে ব্যাটারদের মুখে। ফিজকে ছক্কা মারাটা এতটাই সহজ হয়ে গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা শেষ ওভারেই মেরেছেন তিনটি। শুধু এই ম্যাচ নয়, ফিজ পুরো টুর্নামেন্টেই শেষ দিকে এসে একের পর এক ছক্কা খাচ্ছেন। তাতে হয়ে গেছে এক লজ্জার রেকর্ডও। এই বিশ্বকাপে এর মধ্যেই ১০টা ছক্কা দিয়ে ফেলেছেন বাঁহাতি পেসার।
ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ের জন্য জাতীয় দলের সাবেক কোচ সরোয়ার ইমরান দুষছেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটকে। তিনি বলেন, ‘এই দুটি সিরিজে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে মোস্তাফিজকে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। কিন্তু এখানে (বিশ্বকাপ) যখন যে ধরনের বল করা উচিত, সে ধরনের বল করতে পারছে না। অনেক বেশি ফুলটস ও হাফ ভলি করছে। কাটার ধরছে না। সে কারণে সে ভালোও করতে পারছে না।’
ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু বিশ্বকাপে যেতেই যেন ক্যাচ ধরা ভুলে গেছেন লিটন-আফিফের মতো দুর্দান্ত ফিল্ডাররাও। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তো বলতে গেলে ‘মাখন মাখানো হাত’ নিয়েই নেমেছিলেন ফিল্ডাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটা ক্যাচ মিস করেছেন আফিফ, মেহেদীরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন লিটন। ফিল্ডিং মিস তো হচ্ছে প্রায় সময়ই। তাতে হাতছাড়া হচ্ছে জেতা ম্যাচও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের আমদানি যাঁর হাত ধরে, সেই আফতাব আহমেদ বুঝতে পারছেন না কেন এমন হচ্ছে। সাবেক এই ক্রিকেটার বললেন, ‘এখন আমাদের ফিল্ডিং কোচ যিনি আছেন, তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত কয়েক বছর ধরে। এরপরও ফিল্ডিংয়ের কোনো উন্নতি হচ্ছে না? ক্রিকেটাররা কি আলাদা করে ফিল্ডিং অনুশীলন করে না, না কোচ অনুশীলন করান না? বুঝে উঠতে পারছি না। এমন গরিবি ফিল্ডিং দিয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন।’
পাওয়ার প্লেতে মন্থর ব্যাটিং
বলা হয়ে থাকে ওপেনাররা ইনিংসের সুর বেঁধে দেন। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা দাঁড়িয়েছে উল্টো। শুরুতেই ওপেনার ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নে ফিরে অন্যদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার কাজটাই করে যাচ্ছেন নিয়মিত।
কি করলে পাওয়ার প্লে’র ঠিকঠাক ব্যবহার করা যাবে সেটি জানিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে উইকেটের উন্নতি করতে হবে। যেখানে ১৮০–২০০ রান তাড়া করতে হবে নিয়মিত। আমরা কিন্তু এমন উইকেট খুব বেশি পাই না। যার জন্য আমরা পাওয়ার হিটার তৈরি করতে পারছি না। সে জন্য পাওয়ার প্লের ব্যবহারও ঠিকঠাক হচ্ছে না।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৮ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
৯ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
৯ ঘণ্টা আগে