রানা আব্বাস, কলকাতা থেকে
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকার যন্ত্রণাটা কী, এখন দুটি দল সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে—একটি ইংল্যান্ড, আরেকটি বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক পাকিস্তান খেলবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড। দুটি দলই টুর্নামেন্টে একটি করে ম্যাচ জিতে আছে ৯ আর ১০-এ।
অথচ সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। এখন সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই যদি বাংলাদেশের খেলা না হয়, সাকিব কী করবেন, ভেবেছেন? গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের উত্তর, ‘না, এখনো ভাবিনি।’ ইডেন গার্ডেনসে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর সাকিবই প্রথম সামনে এনেছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা আর শীর্ষ আটে থাকার প্রসঙ্গ। গত দুই দিনে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা। যদিও বাংলাদেশ দল নিয়মটি সম্পর্কে বিশ্বকাপের আগে থেকেই অবগত।
টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ জানিয়েছিল, তাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল। বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন আরব সাগরে মিলিয়ে গিয়েছে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরই। কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর যত চিন্তা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে। গতকাল ইডেনের সংবাদ সম্মেলনে একাধিকবার সাকিবকে তাই বলতে হলো, বিশ্বকাপে নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ তাঁদের ভালো খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোয়ালিফাই করতে আমাদের জিততেই হবে। কত ওপরের দিকে শেষ করা যায়, সেটাও একটা লক্ষ্য। আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম, সেভাবে করতে পারিনি। তবে এখান থেকেও যদি যে কটা ম্যাচ আছে ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো ফলাফল আসে, তাহলে হয়তো স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারব’—বলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের খোঁজের আগে গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীলনে বাংলাদেশের একটু চিন্তা বেড়েছিল সাকিব ঘাড়ে চোট পাওয়ায়। দ্রুত ফিজিওকে স্প্রে করতে দেখা গেল তাঁর ঘাড়ে। এর পরও যখন ঘণ্টাখানেক নেটে ব্যাটিং করেছেন সাকিব, তাতে তাঁকে নিয়ে আর সংশয় থাকার কথা নয়।
পাকিস্তান যতই তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠে খেলুক, কলকাতা সব সময়ই সাফল্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানিদের দিকে। এখানে যে ৬ ওয়ানডে খেলেছে, পাঁচটিই জিতেছে পাকিস্তান। স্বাগতিক ভারত কখনোই ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি এই মাঠে। সেখানে হারতে হারতে ক্লান্ত বাংলাদেশ কীভাবে পারবে আজ? বরং এই মাঠে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান-রেকর্ড একেবারেই মলিন। গত ৩৩ বছরে এই মাঠে যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, প্রতিটিতেই বাজেভাবে হার সঙ্গী হয়েছে। সর্বশেষ লজ্জাটা দিয়েছে ডাচরা। দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা নেই এখানে খেলার। সাকিবের কাছে কলকাতা তাই বাংলাদেশের খুব নিকটবর্তী হওয়ার পরও মাঠটা ‘অপরিচিত’ই লাগে।
তবু সাকিবকে যখন এক ভারতীয় সাংবাদিক মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে কলকাতার মাটিকে বাংলাদেশের কাছে ‘ভেরি স্পেশাল ল্যান্ড’ বললেন, সাকিব ক্রিকেটীয় যুক্তি সামনে এনে বললেন, ‘আমরা এখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে এসেছি। সব ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কালকের (আজ) ম্যাচের সঙ্গে অন্য ম্যাচগুলোর কোনো পার্থক্য নেই।’ সাকিব কলকাতায় কোনো দলকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখতে আগ্রহী নন, ‘আমি কাউকে এগিয়ে-পিছিয়ে রাখতে চাই না। গুরুত্বপূর্ণ যেটা, আমরা জিততে চাই। আমি নিশ্চিত পাকিস্তানও জিততে মুখিয়ে আছে। আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের চেয়ে ভালো খেলার।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই আর জয়ের দেখা পায়নি। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা পাঁচটিতে হেরেছে। দুই দলের পরিস্থিতি প্রায় সমান—প্রসঙ্গটা আসতেই হাসলেন সাকিব। হাসতে হাসতেই বললেন, ‘মাঝে মাঝে হাসির দরকার আছে।’
হাসির দরকার আছে, কিন্তু জয়ের হাসিটাই তো ভুলে গেছে বাংলাদেশ। আর সেই হতাশায় ফেসবুকে বাংলাদেশ দলসংক্রান্ত যেকোনো কনটেন্ট, ছবি, ভিডিওতে পড়ছে সমানে ‘হা-হা-হা’ রিঅ্যাকশন! এ প্রতিক্রিয়া বাড়তেই থাকবে; যতক্ষণ না বাংলাদেশ পারছে জয়ের হাসি হাসতে।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকার যন্ত্রণাটা কী, এখন দুটি দল সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে—একটি ইংল্যান্ড, আরেকটি বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক পাকিস্তান খেলবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড। দুটি দলই টুর্নামেন্টে একটি করে ম্যাচ জিতে আছে ৯ আর ১০-এ।
অথচ সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পাকিস্তানে হতে যাওয়া ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। এখন সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই যদি বাংলাদেশের খেলা না হয়, সাকিব কী করবেন, ভেবেছেন? গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের উত্তর, ‘না, এখনো ভাবিনি।’ ইডেন গার্ডেনসে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর সাকিবই প্রথম সামনে এনেছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা আর শীর্ষ আটে থাকার প্রসঙ্গ। গত দুই দিনে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা। যদিও বাংলাদেশ দল নিয়মটি সম্পর্কে বিশ্বকাপের আগে থেকেই অবগত।
টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ জানিয়েছিল, তাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল। বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন আরব সাগরে মিলিয়ে গিয়েছে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরই। কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর যত চিন্তা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে। গতকাল ইডেনের সংবাদ সম্মেলনে একাধিকবার সাকিবকে তাই বলতে হলো, বিশ্বকাপে নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ তাঁদের ভালো খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোয়ালিফাই করতে আমাদের জিততেই হবে। কত ওপরের দিকে শেষ করা যায়, সেটাও একটা লক্ষ্য। আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম, সেভাবে করতে পারিনি। তবে এখান থেকেও যদি যে কটা ম্যাচ আছে ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো ফলাফল আসে, তাহলে হয়তো স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারব’—বলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ের খোঁজের আগে গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীলনে বাংলাদেশের একটু চিন্তা বেড়েছিল সাকিব ঘাড়ে চোট পাওয়ায়। দ্রুত ফিজিওকে স্প্রে করতে দেখা গেল তাঁর ঘাড়ে। এর পরও যখন ঘণ্টাখানেক নেটে ব্যাটিং করেছেন সাকিব, তাতে তাঁকে নিয়ে আর সংশয় থাকার কথা নয়।
পাকিস্তান যতই তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠে খেলুক, কলকাতা সব সময়ই সাফল্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানিদের দিকে। এখানে যে ৬ ওয়ানডে খেলেছে, পাঁচটিই জিতেছে পাকিস্তান। স্বাগতিক ভারত কখনোই ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি এই মাঠে। সেখানে হারতে হারতে ক্লান্ত বাংলাদেশ কীভাবে পারবে আজ? বরং এই মাঠে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান-রেকর্ড একেবারেই মলিন। গত ৩৩ বছরে এই মাঠে যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, প্রতিটিতেই বাজেভাবে হার সঙ্গী হয়েছে। সর্বশেষ লজ্জাটা দিয়েছে ডাচরা। দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা নেই এখানে খেলার। সাকিবের কাছে কলকাতা তাই বাংলাদেশের খুব নিকটবর্তী হওয়ার পরও মাঠটা ‘অপরিচিত’ই লাগে।
তবু সাকিবকে যখন এক ভারতীয় সাংবাদিক মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে কলকাতার মাটিকে বাংলাদেশের কাছে ‘ভেরি স্পেশাল ল্যান্ড’ বললেন, সাকিব ক্রিকেটীয় যুক্তি সামনে এনে বললেন, ‘আমরা এখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে এসেছি। সব ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কালকের (আজ) ম্যাচের সঙ্গে অন্য ম্যাচগুলোর কোনো পার্থক্য নেই।’ সাকিব কলকাতায় কোনো দলকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখতে আগ্রহী নন, ‘আমি কাউকে এগিয়ে-পিছিয়ে রাখতে চাই না। গুরুত্বপূর্ণ যেটা, আমরা জিততে চাই। আমি নিশ্চিত পাকিস্তানও জিততে মুখিয়ে আছে। আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের চেয়ে ভালো খেলার।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই আর জয়ের দেখা পায়নি। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা পাঁচটিতে হেরেছে। দুই দলের পরিস্থিতি প্রায় সমান—প্রসঙ্গটা আসতেই হাসলেন সাকিব। হাসতে হাসতেই বললেন, ‘মাঝে মাঝে হাসির দরকার আছে।’
হাসির দরকার আছে, কিন্তু জয়ের হাসিটাই তো ভুলে গেছে বাংলাদেশ। আর সেই হতাশায় ফেসবুকে বাংলাদেশ দলসংক্রান্ত যেকোনো কনটেন্ট, ছবি, ভিডিওতে পড়ছে সমানে ‘হা-হা-হা’ রিঅ্যাকশন! এ প্রতিক্রিয়া বাড়তেই থাকবে; যতক্ষণ না বাংলাদেশ পারছে জয়ের হাসি হাসতে।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সফরের অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হবে ২ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মূল টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও বাড়তে পারে তাঁদের। ম্যাচটি হবে অ্যান্টিগায়র স্যার ভিভ
৯ ঘণ্টা আগেভারতের আপত্তিতে পাকিস্তানের তিন শহরে ট্রফি সফর বাতিল করেছে আইসিসি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। তবে শুরু থেকেই বিভিন্ন আপত্তি তুলছে ভারত।
১০ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের ছন্দ ধরে রেখে আজ তৃতীয় দিন বাকি দুই উইকেটও নিজের ঝুলিতে নিলেন আনশুল কাম্বোজ। সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক রেকর্ড তাঁর নামের পাশে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাই ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হরিয়ানার এই পেসার।
১০ ঘণ্টা আগে