ক্রীড়া ডেস্ক
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম চমক দেখায় আফগানিস্তান। সেই আফগানরা এবার লিখল রূপকথার গল্প। আইসিসি ইভেন্টের ‘রাজা’ অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান।
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানরা ৪৭ রানে হেরেছিল ভারতের কাছে। বার্বাডোজের সেই ম্যাচের পর আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানরা খেলেছে সেন্ট ভিনসেন্টে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ হাসি হাসল আফগানরা। টানা পাঁচ ম্যাচের পর এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হার অজিদের।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপে যে ট্রাভিস হেড ভয়ংকর ব্যাটিং করছেন, তাঁকে ইনিংসের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নাভিন-উল-হক। তিন নম্বরে নেমে মিচেল মার্শ মারমুখী ব্যাটিং করলেও দ্রুত আউট হয়েছেন। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কে ফিরিয়েছেন নাভিন। ৯ বলে ২ চারে ১২ রান করেন মার্শ।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর চারে ব্যাটিং করতে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি এসে দেখলেন আরও এক সতীর্থের বিদায়। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান মোহাম্মদ নবী। ৮ বল খেলে ওয়ার্নার করেন ৩ রান। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান।পাওয়ার প্লের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বেকায়দায় পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে অজিদের স্কোর ৭০ রান।
আইসিসি ইভেন্টে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলিয়ার, তাদের কাছে ৭ উইকেট হাতে রেখে ১০ ওভারে ৭৯ রান কি কঠিন কিছু! তবে ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’ বলে তো একটা কথা আছে। ১১তম ওভার থেকে শুরু হয় ম্যাচের ভোল পাল্টানো। ওভারের তৃতীয় বলে ছন্দে থাকা স্টয়নিসকে ফেরান গুলবদিন নাইব। তাতে ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েল-স্টয়নিসের ৩২ বলে ৩৯ রানের জুটি। স্টয়নিস করেন ১৭ বলে ১১ রান।
এক ওভার বিরতিতে এসে আবারও ধাক্কা দেন নাইব। আফগানিস্তানের পেসার ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টিম ডেভিডকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। নাইব জোড়া ধাক্কা দিলেও আফগানিস্তানের ‘পথের কাঁটা’ ম্যাক্সওয়েল ছিলেন উইকেটে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ম্যাক্সওয়েল কাঁদিয়েছিলেন, সেটার পুনরাবৃত্তি তো আজ হতে পারত। তবে মুম্বাই এবার ফেরেনি সেন্ট ভিনসেন্টে। ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান নাইব। নাইবের চেয়েও এখানে বড় অবদান নুর আহমদ জাদরানের। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন নুর। ৪১ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েলের আউটের পরই আফগানিস্তান যেন জ্বলে ওঠে আপন শক্তিতে। আফগানদের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে খেই হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল ফেরার পর ২১ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। ২০তম ওভারের শেষ বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ফিরিয়ে অজিদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। লং অনে মোহাম্মদ নবী ক্যাচ ধরার পরই উদযাপন শুরু করেন আফগান ক্রিকেটার। ৪ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাইব।
টস জিতে আজও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান গড়েন ১১৮ রানের জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে আফগানরা খেলেছে ৯৫ বল। এখান থেকেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে আফগানদের ইনিংস। এই সুযোগে বিরল এক রেকর্ড গড়েন প্যাট কামিন্স। আফগানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার এখন কামিন্স। সেটা বিশ্বকাপ ইতিহাসে তো প্রথমবার হবেই। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। ৪৯ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় গুরবাজের ৬০ রানের ইনিংসটিই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ। কামিন্স ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম চমক দেখায় আফগানিস্তান। সেই আফগানরা এবার লিখল রূপকথার গল্প। আইসিসি ইভেন্টের ‘রাজা’ অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান।
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানরা ৪৭ রানে হেরেছিল ভারতের কাছে। বার্বাডোজের সেই ম্যাচের পর আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানরা খেলেছে সেন্ট ভিনসেন্টে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ হাসি হাসল আফগানরা। টানা পাঁচ ম্যাচের পর এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হার অজিদের।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপে যে ট্রাভিস হেড ভয়ংকর ব্যাটিং করছেন, তাঁকে ইনিংসের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নাভিন-উল-হক। তিন নম্বরে নেমে মিচেল মার্শ মারমুখী ব্যাটিং করলেও দ্রুত আউট হয়েছেন। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কে ফিরিয়েছেন নাভিন। ৯ বলে ২ চারে ১২ রান করেন মার্শ।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর চারে ব্যাটিং করতে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি এসে দেখলেন আরও এক সতীর্থের বিদায়। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান মোহাম্মদ নবী। ৮ বল খেলে ওয়ার্নার করেন ৩ রান। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান।পাওয়ার প্লের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বেকায়দায় পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে অজিদের স্কোর ৭০ রান।
আইসিসি ইভেন্টে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলিয়ার, তাদের কাছে ৭ উইকেট হাতে রেখে ১০ ওভারে ৭৯ রান কি কঠিন কিছু! তবে ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’ বলে তো একটা কথা আছে। ১১তম ওভার থেকে শুরু হয় ম্যাচের ভোল পাল্টানো। ওভারের তৃতীয় বলে ছন্দে থাকা স্টয়নিসকে ফেরান গুলবদিন নাইব। তাতে ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েল-স্টয়নিসের ৩২ বলে ৩৯ রানের জুটি। স্টয়নিস করেন ১৭ বলে ১১ রান।
এক ওভার বিরতিতে এসে আবারও ধাক্কা দেন নাইব। আফগানিস্তানের পেসার ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টিম ডেভিডকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। নাইব জোড়া ধাক্কা দিলেও আফগানিস্তানের ‘পথের কাঁটা’ ম্যাক্সওয়েল ছিলেন উইকেটে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ম্যাক্সওয়েল কাঁদিয়েছিলেন, সেটার পুনরাবৃত্তি তো আজ হতে পারত। তবে মুম্বাই এবার ফেরেনি সেন্ট ভিনসেন্টে। ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান নাইব। নাইবের চেয়েও এখানে বড় অবদান নুর আহমদ জাদরানের। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন নুর। ৪১ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েলের আউটের পরই আফগানিস্তান যেন জ্বলে ওঠে আপন শক্তিতে। আফগানদের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে খেই হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল ফেরার পর ২১ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। ২০তম ওভারের শেষ বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ফিরিয়ে অজিদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। লং অনে মোহাম্মদ নবী ক্যাচ ধরার পরই উদযাপন শুরু করেন আফগান ক্রিকেটার। ৪ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাইব।
টস জিতে আজও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান গড়েন ১১৮ রানের জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে আফগানরা খেলেছে ৯৫ বল। এখান থেকেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে আফগানদের ইনিংস। এই সুযোগে বিরল এক রেকর্ড গড়েন প্যাট কামিন্স। আফগানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার এখন কামিন্স। সেটা বিশ্বকাপ ইতিহাসে তো প্রথমবার হবেই। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। ৪৯ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় গুরবাজের ৬০ রানের ইনিংসটিই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ। কামিন্স ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
ভুলে যাওয়ার মতো একটি দিনই কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাও বাজে দিনটা এল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের সময়ই। তাঁর সুযোগ মিসের মহড়ার দিনে ব্রাজিল পারল না জিততে। হতাশা ঝরেছে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের কণ্ঠে।
১২ মিনিট আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে একই টুর্নামেন্টে হারানো তো সহজ কথা নয়। প্যারাগুয়ে এবার সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে প্যারাগুয়ে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। দুই মাস পর আজ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে প্যারাগুয়ে।
১ ঘণ্টা আগেএই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১৩ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ ঘণ্টা আগে