ক্রীড়া ডেস্ক
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। বক্সিং ডে টেস্টে এক পর্যায়ে পাকিস্তান জয়ের জন্য অনেকটাই এগিয়ে ছিল। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিতর্কিত আউটের পরই খেই হারায় পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৭৯ রানে ম্যাচ হেরে যায় শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা যখন আজ খেলা শুরু করে, তখন তাদের পাশে এরই মধ্যে ৬২.৩ ওভার। সেখান থেকে স্বাগতিকেরা ২১.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৭৫ রান যোগ করতে হারায় শেষ ৪ উইকেট। ২৬২ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া লিড পায় ৩১৬ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে মার্শ, স্মিথের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফিফটি পেয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ১০১ বলে ৮ চারে ক্যারি করেন ৫৩ রান। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মীর হামজা।
৩১৭ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই ভেঙে যায় পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাসুদ। ইমামকে এলবিডব্লু করে জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তাতে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ৪৯ রান।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন বাবর আজম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর-মাসুদ রান তুলছিলেন দ্রুত গতিতে। দ্রুত গতিতে রান তোলার পথে ৫৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাসুদ। এটা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭২ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন বাবর-মাসুদ। মাসুদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স। পাকিস্তান অধিনায়ক ৭১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন। মাসুদের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন সৌদ শাকিল। শাকিলকে নিয়ে ধীরেসুস্থে এগোতে থাকেন বাবর। তবে চতুর্থ উইকেটে বাবর- শাকিলের জুটি ছিল ৮৩ বলে ৩৬ রানের। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বাবরকে বোল্ড করেন জশ হ্যাজলউড। ৭৯ বলে ৪ চারে ৪০ রান করেন বাবর। বাবরের পর শাকিলও দ্রুত আউট হয়েছেন। ৪৬তম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্ককে কাট করতে যান শাকিল। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি।
বাবর, শাকিল দ্রুত আউট হলে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৬২ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আগা সালমান। ছয় নম্বরে নামা রিজওয়ানের সঙ্গে বেশ সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিলেন সালমান। ২৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে পাকিস্তানের টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা তখন দারুণ ছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে সালমান-রিজওয়ানের ৮৮ বলে ৫৭ রানের জুটি ভেঙে বড় ধাক্কা দেন কামিন্স। রিজওয়ানের উইকেট নিয়ে কামিন্স যে জুটি ভেঙেছেন তাতে ঘটেছে অনেক নাটকীয়তা। ৬১তম ওভারের চতুর্থ বলে রিজওয়ানের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আপিল করেন কামিন্স। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। এরপর অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেওয়ার পর আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার। তাতে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে রিজওয়ানকে। কেননা বল রিস্টব্যান্ড ঘেঁষে চলে যাওয়ায় আল্ট্রাএজে স্পাইক ধরা পড়ে। রিস্টব্যান্ডকেও ধরা হয়েছে গ্লাভসের অংশ। ৬২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন রিজওয়ান।
রিজওয়ান আউট হওয়ার পাকিস্তানের ইনিংসে ভাঙন ধরেছে। ১৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারালে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২৩৭ রানে। ৭৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাচে ৯৭ রান খরচ করে নিয়েছেন ১০ উইকেট। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রান খরচায়।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদ। প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন মারনাস লাবুশেন। এরপর পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। বক্সিং ডে টেস্টে এক পর্যায়ে পাকিস্তান জয়ের জন্য অনেকটাই এগিয়ে ছিল। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিতর্কিত আউটের পরই খেই হারায় পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৭৯ রানে ম্যাচ হেরে যায় শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা যখন আজ খেলা শুরু করে, তখন তাদের পাশে এরই মধ্যে ৬২.৩ ওভার। সেখান থেকে স্বাগতিকেরা ২১.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৭৫ রান যোগ করতে হারায় শেষ ৪ উইকেট। ২৬২ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া লিড পায় ৩১৬ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে মার্শ, স্মিথের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফিফটি পেয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ১০১ বলে ৮ চারে ক্যারি করেন ৫৩ রান। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মীর হামজা।
৩১৭ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই ভেঙে যায় পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাসুদ। ইমামকে এলবিডব্লু করে জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তাতে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ৪৯ রান।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন বাবর আজম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর-মাসুদ রান তুলছিলেন দ্রুত গতিতে। দ্রুত গতিতে রান তোলার পথে ৫৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাসুদ। এটা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭২ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন বাবর-মাসুদ। মাসুদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্স। পাকিস্তান অধিনায়ক ৭১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন। মাসুদের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন সৌদ শাকিল। শাকিলকে নিয়ে ধীরেসুস্থে এগোতে থাকেন বাবর। তবে চতুর্থ উইকেটে বাবর- শাকিলের জুটি ছিল ৮৩ বলে ৩৬ রানের। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বাবরকে বোল্ড করেন জশ হ্যাজলউড। ৭৯ বলে ৪ চারে ৪০ রান করেন বাবর। বাবরের পর শাকিলও দ্রুত আউট হয়েছেন। ৪৬তম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্ককে কাট করতে যান শাকিল। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি।
বাবর, শাকিল দ্রুত আউট হলে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৬২ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আগা সালমান। ছয় নম্বরে নামা রিজওয়ানের সঙ্গে বেশ সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিলেন সালমান। ২৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে পাকিস্তানের টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা তখন দারুণ ছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে সালমান-রিজওয়ানের ৮৮ বলে ৫৭ রানের জুটি ভেঙে বড় ধাক্কা দেন কামিন্স। রিজওয়ানের উইকেট নিয়ে কামিন্স যে জুটি ভেঙেছেন তাতে ঘটেছে অনেক নাটকীয়তা। ৬১তম ওভারের চতুর্থ বলে রিজওয়ানের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আপিল করেন কামিন্স। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। এরপর অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেওয়ার পর আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার। তাতে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে রিজওয়ানকে। কেননা বল রিস্টব্যান্ড ঘেঁষে চলে যাওয়ায় আল্ট্রাএজে স্পাইক ধরা পড়ে। রিস্টব্যান্ডকেও ধরা হয়েছে গ্লাভসের অংশ। ৬২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন রিজওয়ান।
রিজওয়ান আউট হওয়ার পাকিস্তানের ইনিংসে ভাঙন ধরেছে। ১৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারালে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২৩৭ রানে। ৭৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাচে ৯৭ রান খরচ করে নিয়েছেন ১০ উইকেট। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রান খরচায়।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদ। প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন মারনাস লাবুশেন। এরপর পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক।
পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাজে খেললে কোনো কথাই নেই। আহমেদ শেহজাদ তখন সামাজিক মাধ্যমে তখন করতে থাকেন একের পর এক বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর পাকিস্তানকে আবারও খোঁচা মারলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেঅর্থের ঝনঝনানি, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন—কী থাকে না আইপিএলে! ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার। তবে রিশাদ হোসেন আইপিএল নিয়ে বেশি একটা ভাবছেন না।
২ ঘণ্টা আগেফ্রান্স ও ইতালি—দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। সে হিসেবে উয়েফা নেশনস লিগে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইটা নিছক নিয়মরক্ষার। কিন্তু ফরাসি ডিফেন্ডার লুকাস দিনিয়ে মনে করেন না সেটি। তাঁর কাছে এটি ফ্রান্সের প্রতিশোধের ম্যাচ।
৩ ঘণ্টা আগেঝামেলা যেন পিছুই ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। মাঠের পারফরম্যান্সে সাম্প্রতিক অবস্থা তো ভালো নয়ই। এমনকি ফুটবলারদের চোটও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।। জরুরি পরিস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছে দিয়েগো সিমিওনের ছেলে গিলিয়ানো সিমিওনেকে।
৩ ঘণ্টা আগে