ক্রীড়া ডেস্ক
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ইনিংসের ১৯তম ওভারে ডেভিড মিলারের টানা পাঁচ ৬ মারার স্মৃতিটা এখনো হয়তো অনেকের স্মরণে থাকতে পারে। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচের স্মৃতি এখনো বেশ মনে আছে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারের। আজ যখন সাইফউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো সেই ম্যাচের স্মৃতি আরেকবার মনে পড়ে গেল তাঁর। বিপিএলে এখন দুজনই সতীর্থ। এবারের বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচের আগে ‘কিলার মিলার’কে উড়িয়ে এনেছে ফরচুন বরিশাল।
মিলারের মতো একজন ‘হার্ড হিটার’ থাকা মানে দলের শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যাওয়া। তারপরও এলিমিনেটরের সাঁকো পাড়ি দেওয়া হবে তো বরিশালের? নাকি এই ম্যাচটি খেলেই আবার দেশে ফিরতে হয় মিলারকে! সেটি জানা যাবে আগামীকাল। মিরপুরে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে কোয়ালিফায়ারে ওঠার লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের বরিশাল।
বরিশাল দলে তারকার অভাব নেই। সবচেয়ে তারকাবহুল দল তারাই। অভিজ্ঞ ও উদীয়মানদের মিশেলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ হলেও তামিমরা প্লে অফে উঠেছে সবার শেষে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে। অবশ্য সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আগামী কালকের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের চেয়ে রানরেটের হিসেবে বরিশালই এগিয়ে। কিন্তু সে হিসাব যে এলিমিনেটরে কোনো কাজ দেবে না, সেটি ভালোই জানা তামিমদের। তার মধ্যে আজ চট্টগ্রামের ব্যাটিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোমের কথা শুনে থাকলে ম্যাচটিকে ‘অলিখিত ফাইনাল’ হিসেবে নিয়ে চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে থাকবে বরিশাল। কী সেই কথা, কী বলেছেন শুভাগত—‘প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুই ম্যাচে নকআউটের মতো খেলে আমরা প্লে অফে এসেছি। আমরা অবশ্যই জিতব, জেতার জন্যই মাঠে নামব।’
শুভাগতের কথাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন তো তামিম? চট্টগ্রামের ছেলে হলেও বরিশালকে বাঁচাতে তাঁকেই জ্বলে উঠতে হবে। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ৩৯১ রান তাঁরই। তবে তামিমকে টেক্কা দিতে চাইবেন আরেক তামিম। সেই ‘জুনিয়রের’ নাম তানজিদ হাসান তামিম। চট্টগ্রামকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ৩৮২ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটার, যাঁকে ভাবা হচ্ছে তামিমেরই উত্তরসূরি।
তামিম ব্যর্থ হলেও অবশ্য বরিশালের গভীর ব্যাটিং লাইনআপে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজদের মতো স্বদেশিরা রয়েছেন। বিদেশিদের মধ্যে ফখর জামান ছাড়াও যোগ হলো মিলারের নাম। তারপরও তাদের জেতার অগ্রিম ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিলের। হারলেই বিদায়—এমন ম্যাচের সমীকরণে খেলোয়াড়েরা যতই ফর্মে থাকুক না কেন, চাপে ভেঙে পড়তে পারে। সেই চাপ বরিশাল নাকি চট্টগ্রাম সামলাতে পারে সেটিই দেখার।
তবে এ ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে যেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তামিমদের। এলিমিনেটরে জিতলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা পড়তে পারে সাকিব আল হাসানদের রংপুর রাইডার্স বা লিটন দাসদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সামনে। অবস্থা এমন যে ‘কুমিরের ভয়ে সাঁতরে উঠে দেখি ডাঙায় বাঘ’। আগামীকাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে রংপুর-কুমিল্লা। সেখানে যে হারুক না কেন, সুযোগ হিসেবে পাবে আরেকটি ম্যাচ। সেই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ হবে এলিমিনেটর জয়ী দল। ১ মার্চ মিরপুরের ফাইনালের চিন্তা দূরে থাক, এখন বরিশালের চিন্তায় হলো আগে চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জে পাশ করা।
তবে এসেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত মিলার। আজ অনুশীলনের পাশাপাশি যখন সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন সেই কথায় বললেন প্রোটিয়া তারকা, ‘কাল খুব ভালো খেলে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিতে হবে। যতটা সম্ভব দলে অবদান রাখতে চাই।’ কয়েক দিন আগে ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ ২০ খেলে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তবে গত কয়েক দিন ব্যস্ততার কারণে খেলা দেখতে না পারলেনও বরিশাল প্লে অফে উঠেছে কি না সেটির খেয়াল রাখছিলেন তিনি। আজ সেসবই জানালেন মিলার, সঙ্গে দিলেন বিয়ের খবরটাও, ‘সত্যি বলতে, কয়েক দিন কোনো খেলা দেখিনি। কিছুদিন বিরতিতে ছিলাম। সামনে আমার বিয়ে, সেসব নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে ক্রিকইনফোতে চোখ রাখছিলাম, কোথায় আছি, প্লে অফে উঠেছি কি না।’
প্রথম চার ম্যাচের তিন হারের মাশুল দিতে গিয়ে বরিশালকে প্লে অফের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চার জয়ে শেষ পর্যন্ত এলিমিনেটর নিশ্চিত করেন তামিমরা। কিন্তু চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে অস্বস্তিতে থেকেই মাঠে নামতে হবে তাদের। জুনিয়র তামিমদের সঙ্গে আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই যে হেরেছে তামিমের দল! সেটির প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারবে তো বরিশাল?
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ইনিংসের ১৯তম ওভারে ডেভিড মিলারের টানা পাঁচ ৬ মারার স্মৃতিটা এখনো হয়তো অনেকের স্মরণে থাকতে পারে। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচের স্মৃতি এখনো বেশ মনে আছে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারের। আজ যখন সাইফউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো সেই ম্যাচের স্মৃতি আরেকবার মনে পড়ে গেল তাঁর। বিপিএলে এখন দুজনই সতীর্থ। এবারের বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচের আগে ‘কিলার মিলার’কে উড়িয়ে এনেছে ফরচুন বরিশাল।
মিলারের মতো একজন ‘হার্ড হিটার’ থাকা মানে দলের শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যাওয়া। তারপরও এলিমিনেটরের সাঁকো পাড়ি দেওয়া হবে তো বরিশালের? নাকি এই ম্যাচটি খেলেই আবার দেশে ফিরতে হয় মিলারকে! সেটি জানা যাবে আগামীকাল। মিরপুরে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে কোয়ালিফায়ারে ওঠার লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের বরিশাল।
বরিশাল দলে তারকার অভাব নেই। সবচেয়ে তারকাবহুল দল তারাই। অভিজ্ঞ ও উদীয়মানদের মিশেলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ হলেও তামিমরা প্লে অফে উঠেছে সবার শেষে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে। অবশ্য সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আগামী কালকের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের চেয়ে রানরেটের হিসেবে বরিশালই এগিয়ে। কিন্তু সে হিসাব যে এলিমিনেটরে কোনো কাজ দেবে না, সেটি ভালোই জানা তামিমদের। তার মধ্যে আজ চট্টগ্রামের ব্যাটিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোমের কথা শুনে থাকলে ম্যাচটিকে ‘অলিখিত ফাইনাল’ হিসেবে নিয়ে চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে থাকবে বরিশাল। কী সেই কথা, কী বলেছেন শুভাগত—‘প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুই ম্যাচে নকআউটের মতো খেলে আমরা প্লে অফে এসেছি। আমরা অবশ্যই জিতব, জেতার জন্যই মাঠে নামব।’
শুভাগতের কথাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন তো তামিম? চট্টগ্রামের ছেলে হলেও বরিশালকে বাঁচাতে তাঁকেই জ্বলে উঠতে হবে। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ৩৯১ রান তাঁরই। তবে তামিমকে টেক্কা দিতে চাইবেন আরেক তামিম। সেই ‘জুনিয়রের’ নাম তানজিদ হাসান তামিম। চট্টগ্রামকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ৩৮২ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটার, যাঁকে ভাবা হচ্ছে তামিমেরই উত্তরসূরি।
তামিম ব্যর্থ হলেও অবশ্য বরিশালের গভীর ব্যাটিং লাইনআপে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজদের মতো স্বদেশিরা রয়েছেন। বিদেশিদের মধ্যে ফখর জামান ছাড়াও যোগ হলো মিলারের নাম। তারপরও তাদের জেতার অগ্রিম ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিলের। হারলেই বিদায়—এমন ম্যাচের সমীকরণে খেলোয়াড়েরা যতই ফর্মে থাকুক না কেন, চাপে ভেঙে পড়তে পারে। সেই চাপ বরিশাল নাকি চট্টগ্রাম সামলাতে পারে সেটিই দেখার।
তবে এ ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে যেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তামিমদের। এলিমিনেটরে জিতলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা পড়তে পারে সাকিব আল হাসানদের রংপুর রাইডার্স বা লিটন দাসদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সামনে। অবস্থা এমন যে ‘কুমিরের ভয়ে সাঁতরে উঠে দেখি ডাঙায় বাঘ’। আগামীকাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে রংপুর-কুমিল্লা। সেখানে যে হারুক না কেন, সুযোগ হিসেবে পাবে আরেকটি ম্যাচ। সেই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ হবে এলিমিনেটর জয়ী দল। ১ মার্চ মিরপুরের ফাইনালের চিন্তা দূরে থাক, এখন বরিশালের চিন্তায় হলো আগে চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জে পাশ করা।
তবে এসেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত মিলার। আজ অনুশীলনের পাশাপাশি যখন সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন সেই কথায় বললেন প্রোটিয়া তারকা, ‘কাল খুব ভালো খেলে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিতে হবে। যতটা সম্ভব দলে অবদান রাখতে চাই।’ কয়েক দিন আগে ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ ২০ খেলে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তবে গত কয়েক দিন ব্যস্ততার কারণে খেলা দেখতে না পারলেনও বরিশাল প্লে অফে উঠেছে কি না সেটির খেয়াল রাখছিলেন তিনি। আজ সেসবই জানালেন মিলার, সঙ্গে দিলেন বিয়ের খবরটাও, ‘সত্যি বলতে, কয়েক দিন কোনো খেলা দেখিনি। কিছুদিন বিরতিতে ছিলাম। সামনে আমার বিয়ে, সেসব নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে ক্রিকইনফোতে চোখ রাখছিলাম, কোথায় আছি, প্লে অফে উঠেছি কি না।’
প্রথম চার ম্যাচের তিন হারের মাশুল দিতে গিয়ে বরিশালকে প্লে অফের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চার জয়ে শেষ পর্যন্ত এলিমিনেটর নিশ্চিত করেন তামিমরা। কিন্তু চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে অস্বস্তিতে থেকেই মাঠে নামতে হবে তাদের। জুনিয়র তামিমদের সঙ্গে আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই যে হেরেছে তামিমের দল! সেটির প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারবে তো বরিশাল?
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন টিম সাউদি। নতুন অধিনায়ক টম লাথামের নেতৃত্বে ভারতকে পরে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে নিউজিল্যান্ড। ভারত সিরিজ শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অবসরের খবরটা জানিয়েই দিলেন সাউদি।
৩২ মিনিট আগেবার্বাডোজে ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর উড়ছে ভারত। জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে। ভারতের সামনে এবার টানা চারটি সিরিজ জয়ের সুযোগ।
১ ঘণ্টা আগেসার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠে হট্টগোলের ঘটনা খুবই পরিচিত দৃশ্য এখন। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ইউরোর মতো মেজর ইভেন্টে দর্শকদের মধ্যে মারাত্মক হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও লেগেছে তার ছোঁয়া। গত রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
২ ঘণ্টা আগে